ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিপিসির ৫৭ কোটি টাকা দুই কর্মকর্তার একাউন্টে

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিপিসির ৫৭ কোটি টাকা দুই কর্মকর্তার একাউন্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ৫৭ কোটি টাকা দুই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ও  মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহেদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের অনুসন্ধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেন জানান তিনি।

এ বিষয়ে দুদক জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড-এর পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহেদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে উক্ত কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনপূর্বক তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ‘পিরামিড এক্সিম লিমিটেড’ এবং ‘গুডউইন’ নামের কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে অবৈধভাবে জমা করার এক অভিযোগ দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আসে।

দুদক গত ২৮ জানুয়ারি উপ পরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান এবং মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমানের সমন্বিত এনফোর্সমেন্ট টিম যথাক্রমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে হিসাবের অনুসন্ধান করে।

টিম প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোম্পানির পরিচালক ও তার স্ত্রীর পিরামিড এক্সিম লিমিটেড কোম্পানির নামে গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে সর্বমোট ৪৩ কোটি টাকার বেশি এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের ব্যক্তি মালিকানাধীন গুডউইন কোম্পানির নামে গত তিন বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এরপরই কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এ দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই দুদক আইনি ব্যবস্থা নেবে। পুরো অনুসন্ধান প্রক্রিয়া কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়