কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জোনা ক্যাম্পকার্স।
বুধবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় কৃষিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হয়।
সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা, অবকঠামো, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও কৃষিসহ সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের সাথে ‘বাইল্যাটেরাল ট্রেড’ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা ও যুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় মন্ত্রী নিউজিল্যান্ড সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার দিয়েছে। কৃষিতে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণের লক্ষ্যে কৃষি য্ন্ত্রপাতিতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভতুর্কির কথা উল্লেখ করেন।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটন ও কৃষি খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আমাদেরও পর্যটন ও কৃষি সম্ভাবনাময় খাত। যৌথভাবে এ খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ লাভজনক হবে। দেশে এখন অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকিকরণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকিকরণে বিনিয়োগে নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের মানুষ বেশ পরিশ্রমী বলে উল্লেখ্য করেন রাষ্ট্রদূত। তাদের দেশের উন্নতমানের শস্যের বিজ বাংলাদেশে মাঠে প্রয়োগের কথা বলেন। এছাড়া তাদের দেশে উন্নত মানের ঘাস চাষের সম্পর্কে অবহিত করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি বিজ্ঞানী ও টেকনিশিয়ানদের নিউজিল্যান্ডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। কৃষিবিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবিলায় নতুন নতুন শস্যের জাত উদ্ভাবন করছে। আমাদের শস্যের উৎপাদন বাড়ছে কিন্তু কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এজন্য প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত ও মূল্য সংযোজন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে তাদের সহায়তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আসাদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন