ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের জনসমুদ্রে পরিণত

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২০ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের জনসমুদ্রে পরিণত

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বেসিস সফটএক্সপোর ২য় দিনে আজ দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প।

লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্পকে তিনটি অধিবেশনে ভাগ করা হয়। ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার সংযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তিন ব্যক্তিত্ব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। উপস্থিত ছিলেন কাজি আইটির কান্ট্রি ডিরেক্টর জারা মাহবুব, অগমেডিক্সের জিএম রাশেদ নোমান এবং বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের মালয়েশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জারিফ মুনীর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম এবং বেসিস পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক দিদারুল আলম।

পরবর্তীতে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিম অলিকের সদস্যবৃন্দ এবং ব্লেজ টেকের সিইও আবদুল্লাহ জায়েদ নিজেদের সফলতার গল্প তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন প্রথম বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার মিলিয়নিয়ার শরীফ মোহাম্মদ শাহজাহান।

বক্তারা বলেন, আইসিটি এমন একটি বিষয় যা ভালো করে শিখলে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যেকোনো দেশেই এটা কাজে লাগবে এবং চাকরি পাওয়া সম্ভব। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। এই শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আইওটি, রোবোটিক্স, ব্লক চেইন, এসে গেছে। আগামীতে এই সেক্টরে অনেক চাকরির সুযোগ রয়েছে। এই চাকরি পেতে হলে তরুণ-তরুণীদের এখন থেকে যেকোনো একটি বিষয় ভালোমতো দক্ষ হতে হবে। চাকরির জন্য ভালো ইংরেজি, যোগাযোগে দক্ষতাসহ সফটস্কিলে নিজেদের দক্ষ করতে হবে, সমসাময়িক বিষয়ে নিজেদের হালনাগাদ রাখতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি বিষয়েও সমান তালে দক্ষ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সফটএক্সপোর যাবতীয় আয়োজন এবং সফটএক্সপোতে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষে আয়োজিত ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভিশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ)মুশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলআইসিটির ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম।

বেসিস সফটএক্সপোতে আগামীকাল থাকছে বিজনেস লিডারশীপ মিট। বেসিস সফটএক্সপোতে অংশগ্রহণের জন্য ভিজিট করুন: http://softexpo.com.bd/visitor-registration-2019

বেসিস সফটএক্সপোর ২য় দিনে সেমিনারসমূহ

ডেটা সুরক্ষা : পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক আইন
আইসিসিবির সেমিনার হলে ‘ডেটা সুরক্ষা: পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক আইন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, থাইল্যান্ডের ম্যাজিক সফটওয়্যার লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার বুনচুয়ায় সাংগুয়ানভোরাপং, ভারতের খইতান অ্যান্ড কোং এর পার্টনার, সুপ্রতিম চক্রবর্তী এবং একই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল অ্যাসোসিয়েট সুহানা ইসলাম মুর্শিদ ও বাংলাদেশের লিগ্যাল কাউন্সিলের লিগ্যাল কনসালটেন্ট ব্যারিস্টার এম সালাউদ্দিন হাসান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিগুলো ডেটা সুরক্ষা আইন সম্পর্কে এখনও ততটা সচেতন না যা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ শুধুমাত্র একজনের ডেটা থেকে একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ সময় তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী জিডিপিআর প্রাইভেছি এলিমেন্টস, পার্সোনাল ডাটা স্পেশাল ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা করেন। স্পেশাল ক্যাটাগরির মধ্যে স্বাস্থ্য, বায়োমেট্রিক, জেনেটিক, কনজ্যুমার বিহ্যাবিউর নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ডেটারাইটস, অ্যাক্সেস, পোর্টেবোলিটি, অবজেক্ট বাই কন্ট্রোলার, ক্রসবর্ডারডেটা ট্রান্সফার এবং এগুলোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ভারতের বর্তমান লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, ডেটা প্রটেকশন আইন, রাইট অব প্রাইভেসি, প্রাইমারি লিগালাইজেশন, বাংলাদেশের আইসিটি আইন ২০০৬, তথ্য আইন ২০০৯ এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আরোপিত বর্তমান ভ্যাট ব্যবস্থা
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর এর ভ্যাট পলিসি বিভাগের মেম্বার রেজাউল হাসান। মূল বক্তব্য প্রদান করেন এনালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কো-চেয়ারম্যান কে এ এম রাশিদুল মজিদ, বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম সানি, মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, এসএসএল ওয়্যারলেসের চিফ অপারেটিং অফিসার আশীষ চক্রবর্তী এবং এরা ইনফোটেক লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।

বক্তারা বলেন, গত দুই বছরে দেশের ই-কমার্স মার্কেটিংয়ের পরিসর বেশ বেড়েছে। কিন্তু অনলাইনে পেমেন্টের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা কাজ করছে। এ সমস্যা দূর করতে একটু সময় লাগবে। বেশির ভাগ ই-কমার্স এর লেনদেন হয় ক্যাশ অন ডেলিভারি যা ইলেকট্রনিক্স ট্রানজেকশনের ধরা হয় না। ই-কমার্স নিয়ে আইসিটি ডিভিশনের গাইডলাইন রয়েছে। কিন্তু এই গাইডলাইন ই-কমার্স সেক্টর সম্প্রসারণের জন্য কোনো সম্মিলিত বা নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। ই-কমার্স  ইন্ডান্ট্রিকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে হলে নির্দিষ্ট পেমেন্ট সিস্টেম দরকার। দরকার  পরিকল্পিত গাইডলাইনের। যেটি অনুসরণ করে গোটা ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত হবে। সেইসঙ্গে সরকারের কাছে ডিজিটাল  মার্কেটিংয়ে খাতের উন্নয়নে এর ওপর আরোপিত ভ্যাট ৫ বছরের জন্য রহিত করা দাবি জানান বক্তারা।

ইউজ অব আইসিটি ইন এনহেন্সিং ডোমেস্টিক রেভিনিউ মোবিলাইজেশন
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর এর ভ্যাট পলিসি বিভাগের মেম্বার রেজাউল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর এর ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কমিশনার ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, বেসিসের সহ সভাপতি ফারহানা এ রহমান, বেসিসের সহ সভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদসহ আরো অনেকে।

বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নেয়ার যে রূপকল্প হাতে নিয়েছেন তা অর্জনে রাজস্ব আয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজস্ব আয় এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করতে হলে এর প্রবৃদ্ধিও হার ৩০% উন্নতি করতে হবে। বর্তমান প্রবৃদ্ধিও হার ৭% সুতরাং ৩০% প্রবৃদ্ধিও হার বাড়াতে হলে বাড়াতে হবে ৪ গুণ। এর বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হতে পারে যুগোপযোগী সমাধান। রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন ও ট্যাক্সঅনলাইন সেবায় প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হলেও এখন বহু বিষয়ে সুযোগ প্রযুক্তি প্রয়োগের। যার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কার্যক্রম গতিশীল হবে এক্ষেত্রে সাহায্যে করতে পারে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তিসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টম প্রসেসিং সফটওয়্যার, কাস্টম টেক্সসহ কাস্টম সেবাকে ইন্টারকানেকশন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার সুপারিশ করেন বক্তারা। এছাড়া রাজস্ব বোর্ডের বিগডাটা এ্যানালিটিক এর প্রয়োগে ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। ব্যবসা পরিচালনায় ভ্যাট কার্যক্রম পরিচালনায় সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং অনলাইন লেনদেনকে উৎসাহিত করতে ব্যবহারকারীকে উৎসাহিত করতে এনবিআরের সহযোগিতা কামনা করেন বেসিস সদস্যরা। এক্ষেত্রে ভোক্তা ইনসেনটিভ সুপারিশ করেন বক্তারা। এছাড়াও গণমাধ্যমে প্রচারণা করার আহ্বান জানান।

উইমেন্স কনফারেন্স
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএপির চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি আইপিডিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম এবং বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সহ সভাপতি ফারহানা এ রহমান, টাই বাংলাদেশের সভাপতি রুবাবা দৌলা, আইপিডিসির হেড অব আলেয়া আর ইকবালসহ তরুণ নারী উদ্যোক্তারা।

আলোচনায় বক্তারা জানান, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী মেয়েদের অংশগ্রহণ তুলনামুলকভাবে কম। তবে মেয়েরা ক্রমেই প্রতিযোগিতা ও প্রতিবন্ধকতা  পার করে নিজেদের বিভিন্ন সেক্টরে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে। তারা আরো বলেন, মেয়েরা বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু পেশা যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকতা থেকে বের হয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে নিজেদের উদ্দোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে। বর্তমানের মেয়েদেরকে আরো বেশি করে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। এ প্রসঙ্গে আরো জানানো হয়, ‘মেয়েদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি কাজে অনুপ্রাণিত করার জন্য বেসিস মহিলা কর্মচারীদের ২৫℅ ইনসেন্টিভ প্রদান করে থাকে।’ এছাড়াও আলোচকরা কর্মক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং তা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

ই-কমার্স পলিসি : চ্যালেঞ্জসমুহ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের সাবেক পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির, ইক্যাবের মহাসচিব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সিন্দাবাদ ডটকমের সিইও জিসান কিংশুক, পাঠাও লিমিটেডের সিইও ইলিয়াস হোসেন, এসএসএল ওয়্যারলেসের সিইও আশীষ চক্রবর্তী। সেমিনার সঞ্চালনা করেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এখন অনেক অবদান রাখছে। এই ইন্ড্রাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই একটি নীতিমালা করা হয়েছে। কিন্তু এই নীতিমালা তৈরি করতে গিয়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যার মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাসের স্থান, ভোক্তা অধিকার আইন, প্রতিযোগিতা আইন এই বিষয়গুলো সমন্বয় করতে গিয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এছাড়াও এই পলিসি তৈরি করতে গিয়ে আমাদের দুই বছরে প্রায় ৬০টিরও বেশি পলিসি ডায়ালগ, ওয়ার্কশপসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রির স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে আমরা এই নীতিমালা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। যেখানে ৫ হাজার উদ্যোক্তা করার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছিল। যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই সংখ্যা ৫ হাজার থেকে যেন আরো বাড়ানো হয়। সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়।

সভায় বক্তারা বর্তমান পলিসিতে থাকা বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ‘আমাদের দেশের ই-কমার্স নীতিমালায় অনেক কিছু বলা হলেও, ৪৯:৫১ অনুপাতে তে যে বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে, তা আদৌ আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ভালো কি না তা নিয়ে ভাবা উচিৎ। যেখানে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ১০০ ভাগ প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ই-কমার্সের ক্ষেত্রে তা ৪৯:৫১ অনুপাতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিভক্তিগুলো নিয়ে পূনরায় আলোচনা করে তা নিয়ে সহায়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়। ইতিমধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয় এই বৈঠকে।

এছাড়াও ই-কমার্স নীতিমালার মধ্যে ডেটা প্রাইভেসি, নেট ইউটিলিটি, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারনেট পেনিট্রেশন, ডেটা প্রটেকশন ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এছাড়াও এই সবকিছুই বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা।

জাপান ডে পার্ট-২
অনুষ্ঠানে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস, জাইকা, জেট্রো, জাপান চেম্বার অব কমার্সসহ জাপানের ১৯টি কোম্পানি ও সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশ জাপানের অনেক ভালো বন্ধু এবং নিজেদের পাশাপাশি বন্ধু দেশের জন্যও জাপান কাজ করতে চায় বলে জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জনসংখ্যা (গড় ২৩ বছর), দক্ষ জনশক্তি, ভালো ইংরেজি জানা এবং আউটসোর্সিং ক্যাপাবিলিটির দিক থেকে জাপানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। যেহেতু এসব দিকে জাপানের দূর্বলতা আছে, তাই জাপানের এই অভাব পূরণ করতে জাপান ও বাংলাদেশ একসঙ্গে ভালো কাজ করতে পারে।

জাপানিজদের সঙ্গে কাজ করে সফল হওয়ার বিষয়ে বক্তারা বলেন, জাপানিজদের সঙ্গে কাজ করতে হলে, ভদ্রতা, সময়জ্ঞান, গুণগতমান বজায় রাখা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, জাপানের ভাষা এবং ব্যবসায়িক সংস্কৃতি শেখা ও জাপানিজদের হৃদয় জয় করে নিতে পারলে তাদের সঙ্গে কাজ করে সফল হওয়া যাবে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিজেআইটি, জেট্রো, রাকটিন ও সোর্স নেক্সট কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মযজ্ঞ ও বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তুলে ধরেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়