ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আফরোজার ব্যাংক হিসাব ও সোয়া লাখ শেয়ার জব্দ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২২ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আফরোজার ব্যাংক হিসাব ও সোয়া লাখ শেয়ার জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের ঢাকা ব্যাংকের হিসাব ও দুই প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে গত ৭ জানুয়ারি শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার হিসাব জব্দ করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

আফরোজা আব্বাসের জব্দ হওয়া সম্পত্তির বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আফরোজা আব্বাসের নামে ঢাকা ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাবে প্রায় সাত লাখ টাকা এবং একই ব্যাংকে বিও হিসাবের ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার ও তার নামে ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিতে থাকা এক লাখ শেয়ার জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, আসামির বিও হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব ও শেয়ারের সম্পত্তি হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত হওয়ার চেষ্টা করছেন, এ কারণে আদালতের নির্দেশে এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজার নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তার নেই।

আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে  তিনি টাকার মালিক হন। এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলণ্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে এবং আফরোজা ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে আব্বাস তার নামে ৫৬ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৬ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য দিয়েছিলেন; বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৯ টাকা।

আর আফরোজা ৩৫ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫৩ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়ে হলফনামায় বলেছেন, তার আয় বছরে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৬৯০ টাকা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়