ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাশরাফির জন্য হলেও বিশ্বকাপ স্মরণীয় করতে চান মুশফিক

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাশরাফির জন্য হলেও বিশ্বকাপ স্মরণীয় করতে চান মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। নয়তো পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে যেত নড়াইল এক্সপ্রেসের।

২০০৩ সালের পর ২০০৭, ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন মাশরাফি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। ২০০৭ বিশ্বকাপে মুশফিক, সাকিব ও তামিমের পথচলা শুরু। ত্রিরত্নের সেটাই ছিল প্রথম বিশ্বকাপ।

ওই বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বকাপে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেছে। প্রতিটিতেই ছিলেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এবারের বিশ্বকাপেও দেখা যাবে তাদেরকে। ‘চতুষ্টয়’- এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায়।

হতে পারে এটাই মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ানো মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। চতুষ্টয়ের একসঙ্গে তৃতীয় ও শেষ বিশ্বকাপ। এমন মঞ্চে মাশরাফির জন্য বিশেষ কিছু করতে চান মুশফিকুর রহিম।

‘এটাই একসাথে হয়তো বা আমাদের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। মাশরাফি ভাই যদি এরপরে আর বিশ্বকাপ খেলতে না পারে এটাই আমাদের এক সঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ। আমি চাই…আমরা সবাই চাইব মাশরাফি ভাই’র জন্য হলেও যেন বিশেষ কিছু করতে পারি। যেটা কি না স্মরণীয় হতে পারে। আমার মনে হয় এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ। একই সাথে আমাদের সুযোগও অনেক বেশি আছে এই বিশ্বকাপে ভালো করার।’ – বলেছেন মুশফিক।

 



২০০৭ বিশ্বকাপে মুশফিকের পথ চলা শুরু।  ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে জেতাতে বড় অবদান রাখেন মুশফিক।  মিরপুরে আজ প্রথম সেশনের অনুশীলন শেষে মুশফিক ফিরে যান নিজের প্রথম বিশ্বকাপ স্মৃতিতে, ‘২০০৭ সালে…পুরোটা সময় আসলে ঘোরের মধ্যেই ছিলাম। কখন যাব কখন খেলব, অনেক ইয়াং ছিলাম। এত বড় স্টেজ, আর গ্রেট গ্রেট প্লেয়ার ছিল তখন। শচীন টেন্ডুলকার বলেন, ব্রায়ান লারা বলেন, পন্টিং বলেন, তাদের সাথে খেলা, যাদের টিভিতে দেখেছি তাদের সাথে খেলা, এগুলো ভেবে অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম।’

বিশ্বকাপে ২১টি করে ম্যাচ খেলা মুশফিক, সাকিব ও তামিমের পারফরম্যান্স বেশ কাছাকাছি। মুশফিক ব্যাটিংয়ে ৫১০ রান করেছেন। সাকিব ২৩ উইকেটের সঙ্গে রান করেছেন সর্বোচ্চ ৫৪০। তামিমের রান ৪৮৩। মাশরাফির ১৬ ম্যাচে রান ১৬৫, উইকেট ১৮টি। মুশফিকের মতে এটাই হবে তাদের পারফরম্যান্স প্রদর্শনের সেরা মঞ্চ।

‘বিশ্বকাপ এমন একটা ইভেন্ট সবাই চায় সেরা পারফরম্যান্স দিতে। আমিও ব্যতিক্রম নই।  তবে কন্ডিশন একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে, প্রতিপক্ষ একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। হিউজ ক্রাউড থাকবে।  সব কিছু মিলিয়ে এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। ’

‘চতুর্থবারের মতো আমি খেলতে যাচ্ছি।  শেষ তিনটি বিশ্বকাপে আমি রান করেছি, আমার নিজেরও একটা ব্যক্তিগত লক্ষ্য আছে।  এই বিশ্বকাপে যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে যেতে পারি। আমি মনে করি সুযোগ আছে, সামর্থ্যও আছে। আমি সেভাবেই চেষ্টা করব। যদি সুযোগ থাকে তাহরে চেষ্টা করব বাংলাদেশকে দুহাত ভরে দিতে।’- বলেছেন মুশফিক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়