ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্য আটক

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৮ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত  ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্যকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ৩৮ জন, গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ ওয়ারীর জয় কালী মন্দির নামক এলাকা থেকে ৪ জন, গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন, গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৮ জন ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ উত্তরা এলাকা থেকে ৫ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে আটক করে।’

মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের জানিয়েছে- পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট, রেলস্টেশন এলাকায় আগত ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করে। এরপর তাদের অপর সদস্যরা ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খেতে আমন্ত্রণ জানায়। টার্গেট ব্যক্তি রাজি হলে, ট্যাবলেট মিশ্রিত সেই খাদ্যদ্রব্য তাকে খাওয়ানো হয়। খাদ্য গ্রহণের পর অচেতন হলে তার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট খাওয়ায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মামলার সাক্ষীর অভাবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খুব দ্রুত জামিন পায়। জামিনে বাইরে এসে আবারও প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়ে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। তারা কারাগারে যায় আবার খুব দ্রুত মুক্তি পায়। প্রথমত ভিকটিম মামলা করতে আগ্রহী হয় না। আর মামলা হলেও পর্যাপ্ত সাক্ষীর অভাবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বারবার ছাড়া পেয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এরা শুধু অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করে না। তারা ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্য দ্রব্য টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের খাওয়ায়। তাদের কাছে যা আছে সব নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ওই অচেতন ব্যক্তিকে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের মোবাইল ফোন দিয়েই তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।’

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা /১৮ মে ২০১৯/নূর/ইভা 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ