ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গতি দানব বোল্টের অজানা তথ্য (প্রথম পর্ব)

শামীম হোসেন পাটোয়ারি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গতি দানব বোল্টের অজানা তথ্য (প্রথম পর্ব)

শামীম পাটোয়ারী : কিংবদন্তির বিদায়ও এমন হতে পারে? ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্টে দৌড়াতে নেমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রহের সেরা দৌড়বিদ উসাইন বোল্টকে।

লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শুরুতে হারেন বোল্ট। গতকাল রাতে ৪x১০০ মিটারে রিলেতে নেমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে লুটিয়ে পড়ে বেদনাময় সমাপ্তি হয় ৮ বারের অলিম্পিক ও ১১ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এ অ্যাথলেটের।

এক সময় ট্র্যাকে নেমেই বিদ্যুৎ গতির ঝলক দেখিয়েছেন বোল্ট। গ্রহের সেরা এ গতি তারকার শেষটা হয়েছে অবিশ্বাস্যভাবে। বোল্ট যুগের শেষ হয়েছে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ আসরে হতাশার মধ্য দিয়ে। চলুন জ্যামাইকান এ কিংবদন্তি অ্যাথলেট সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নেই।

 



জীবনের প্রথম বাজিতেই বিনামূল্যের
লাঞ্চ :
মাত্র ১২ বছর বয়সে জ্যামাইকান গতি তারকা রিকার্ডো গেডসের সঙ্গে বোল্টকে বাজিতে নামিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় যাজক রেভারেন্ড নুজেন্ট। বাজির আগে নুজেন্ট জানিয়েছিলেন ওই দৌড়ে বিজয়ী ব্যক্তি পুরস্কার হিসেবে দুপুরের লাঞ্চ বিনামূল্যে পাবে। দৌড়ে রিকার্ডোকে হারিয়ে সবার নজর কাড়েন বোল্ট। বোল্টের পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে ধর্মযাজক বলেছিলেন, ‘রিকার্ডোকে যখন হারিয়েছ, তুমি যে কাউকেই হারাতে পারো।’ সেই বোল্ট ধীরে ধীরে আরো পরিণত হলেন, বিশ্বজয় করলেন। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত অলিম্পিকে জিতলেন ৮টি স্বর্ণপদক।

বোল্ট তড়িৎ :
ট্র্যাকে যে কোনো অ্যাথলেটের চেয়ে দ্রুত শুরু করতে পারতেন বোল্ট। বেইজিংয়ে ১০০ মিটারে রেকর্ড গড়ার সময়ও তার সেরাটা ধরা পড়ে। ২০০৮ সালে ওই ১০০ মিটারের দৌড়ে শুরুর ৬০ মিটারের গতি বর্তমান বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে দ্রুত ছিল। ক্যারিয়ারে মোট নয়বার বোল্ট ৯.৭৭ থেকে কম অথবা এর বেশি টাইমিংয়ে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন। ২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ৯.৫৮ টাইমিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতেছিলেন ৩১ বছর বয়সি এ তারকা।

 



ক্রিকেট
ও ফুটবলে অনুরাগ :
ট্র্যাকে গতির ঝড় তোলার পাশাপাশি ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে বোল্টের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল তার প্রিয় ক্রিকেটার। এছাড়া পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস ও ভারতের শচীন টেন্ডুলকারও তার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। পুমার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ২০০৯ সালে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে যুবরাজদের সঙ্গে ভারতের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন বোল্ট।

ফুটবলে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত বোল্ট। ২০১১ সালে ম্যানইউ ও বার্সেলোনার মধ্যকার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন ডাকলে দলটির হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও একবার জানিয়েছিলেন তিনি।

 



বোল্ট ভিডিও গেম :

‘বোল্ট’ ভিডিও গেমটি রকেট জ্যামাইকান টপ চার্টের শীর্ষে রয়েছে। রকলাইভ নামে একটি ভিডিও গেমিং কোম্পানি এই গেমের অ্যাপ তৈরি করে। অ্যানিমেটেড ভার্সনে উইন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য বোল্টকে চ্যালেঞ্জ নিতে দেখা যায় ওই গেমে। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে শীর্ষ ফ্রি অ্যাপের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‘বোল্ট’ গেমটি। কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ করা পছন্দ নয় বোল্টের। তবে তার নামের অ্যাপের যে কোনো অবস্থানে সন্তুষ্ট ছিলেন জ্যামাইকা এ গতিদানব।

 



জ্যামাইকা
বোল্টের রেস্টুরেন্ট :
জ্যামাইকাতে ‘ট্র্যাক এন্ড রেকর্ডস’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে বোল্টের। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায় মিউজিক ও স্পোর্টস বারের জন্য বেশ জনপ্রিয় সেটি। ক্যারিবীয় অঞ্চলের ঐতিহ্যের সঙ্গে ফিউশানধর্মী বিভিন্ন মেন্যু রয়েছে সেখানে। ৭ হাজার স্কয়ার ফিটের ওই রেস্টুরেন্টে মাল্টিপল বার, লাউঞ্জ অ্যারিয়াসহ রিটেইল শপে বোল্টের এক্সক্লুসিভ ব্যান্ডের পণ্য পাওয়া যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৭/শামীম/টিপু/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়