ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘নির্বাচনে না এলে দোষ কী গণতন্ত্রের?’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘নির্বাচনে না এলে দোষ কী গণতন্ত্রের?’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনি নির্বাচনে এলেন না, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করলেন অনেককে। তার দোষ কী গণতন্ত্রের? তার দোষ কী নির্বাচনের?’

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক জমায়েতে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগ এ জমায়েত ও আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি হিসেবে এস কে সিনহা এই সংসদকে অবৈধ ও অকার্যকর হিসেবে রায় দিতে পারেন, সেই আশঙ্কা থেকেই সরকার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বলে মন্তব্য করেন।

এর জবাবে সেতুমন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ করলাম, এখানে বৈধতার কোনো সংকট নেই’। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালত কী উনাদের মতো ঘোড়ার ঘাস খায় নাকি? যেকোনো  ব্যাপারে রায় দিয়ে দেবে। এখন তো বোধহয় আদালতের একটি রায় দেওয়া উচিত? যেকোনো মূল্যে নির্বাচন কমিশনকে আদালতের একটি ম্যান্ডেট দেওয়া উচিত; দেশে শান্তি চাইলে। না হলে তো আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু হয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ মানুষ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের লুটপাট, খুন, আগুন, সন্ত্রাসের যে ইতিহাস, তা পাপে পাপে এতো পাপ জমে গেছে, এটা ধৌত করবে এমন শক্তি কার? বিএনপি যদি পাপ যদি ধৌত করতে যায় তাহলে বুড়িগঙ্গা আরো ময়লা হয়ে যাবে, ধলেশ্বরীও ময়লা হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে নিজেরা শুদ্ধ হোন, তারপরও অন্যকে বলুন অন্যকে শুদ্ধ হওয়ার জন্য। আপনাদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। আমরা একেবারে শতভাগ শুদ্ধ বলবো না, ভুল-ত্রুটি আছে কিন্তু আপনারা তো শতভাগের কাছাকাছি অশুদ্ধ। কাজেই নিজেদের আগে ঠিক করুন।’

আগামী নির্বাচনে অশনি সংকেত বিএনপির জন্যই অপেক্ষা করছে। যেভাবে নেতিবাচক রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে। তাতে নির্বাচনে না এলে তাদের ভবিষ্যতে অশনি সংকেত বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিরোধীদলে যখন আমরা থাকি। তখন নানান প্রতিবন্ধতার মধ্যে সভা-সমাবেশ করতে হয়। এখন তো সেই অবস্থা নেই। কাজেই আমাদের এখনি দল হিসেবে শৃঙ্খলা প্রদর্শন করতে হবে। রাজনীতিকে ডিসিপ্লিনের মধ্যে আনতে হবে।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ করেছেন। আমরা তার নেতৃত্বে বিজয়ী হয়েছি। আল্লাহপাক বোধহয় এটা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা আনবেন বঙ্গবন্ধু মুক্তি আনবেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। কারণ আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়ন অর্জনের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ভাষণ কেউ কেউ স্বীকার না করলেও সারা দুনিয়া স্বীকার করেছে। সারা দুনিয়া আজ স্বীকৃতি দিয়েছে। সারবিশ্ব এই ভাষণকে বুকে ধারণ করেছে।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মিন্টু প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/নৃপেন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়