ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

গেইল-ম্যাককালামের উইকেট ‘টার্গেট’ করেছিলেন মেহেদী

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৯ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গেইল-ম্যাককালামের উইকেট ‘টার্গেট’ করেছিলেন মেহেদী

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাকিব আল হাসানের কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বেশি পরিচিত। কারণ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে যে তৈরি করেছেন বিকেএসপি এবং জাতীয় দলের প্রাক্তন সহকারী এই কোচ। সালাউদ্দিনের হাত ধরেই উত্থান মেহেদী হাসানেরও।

মেহেদী হাসান মিরাজ নয়। এ আরেক মেহেদী হাসান। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ মেহেদী খেলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলেও। ২২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার আলোচনায় এসেছেন বিপিএলের সর্বশেষ ম্যাচে নিজের বোলিং নৈপুণ্যের কারণে। ডানহাতি অফ স্পিনার ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের যেভাবে ভড়কে দিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবিদার। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪ রানে হারায় রংপুর রাইডার্সকে। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে রীতিমতো ‘টক অফ দ্য টাউন’ মেহেদী।

প্রতিভাবান এ ক্রিকেটারও হতে পারেন জাতীয় দলের আরেক কাণ্ডারি। ২০১৬ সালে নেটে ব্যাটিংয়ের সময় কোচ সালাউদ্দিনের মন জয় করে নেন খুলনার মেহেদী। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মেহেদীকে। সালাউদ্দিন গাজী গ্রুপের হয়ে খেলিয়ে নেন আনকোরা মেহেদীকে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করেন মেহেদী। তাও আবার রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান ও দিলশান মুনাবীরাদের বিপক্ষে। সেই শুরু, এরপর থেকে সালাউদ্দিন এ ক্রিকেটারকে রেখেছেন নিজের কাছে।



বিপিএলের গত আসরে চিটাগং ভাইকিংসে ভালো করতে পারেননি। শনিবার কুমিল্লার হয়ে প্রথম মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন তরুণ তুর্কি। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে মেহেদী হাসান আসেন সংবাদ সম্মেলনে, তার চুম্বক অংশ রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য দেয়া হলো:

প্রশ্ন: আপনি কি জানতেন, আজ খেলবেন?
মেহেদী হাসান: গত দুই দিন থেকেই শুনছিলাম আমি এই ম্যাচ খেলব। নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে রাতে আমার ঘুম আসছিল না। অনেক দিন পর, তাও গেইল ও ম্যাককালামের সামনে। রাতে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলাম। তখন দেখি ওদের দুর্বল জায়গাই নেই! ওরা সব বল ছয়-চারই মারে।  আজ সকাল বেলা স্যারকে বলছিলাম, ‘‘স্যার ওদের তো দুর্বল জায়গাই নেই, ওরাতো সব ছয় চারই মারে”। তখন উনি বলেন, ‘‘তোর খেলা লাগবে না”।  আমি বললাম, ‘‘না না আমি পারবো”।,

প্রশ্ন: প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল?
মেহেদী হাসান: আসলে টি-টোয়েন্টিতে আমি উইকেটের আশা করিনি। আমি চেয়েছিলাম ৪ ওভারে ২০ রান দিলেই খুশি থাকব। সাথে ২টা উইকেটও পেয়েছি। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্।

প্রশ্ন: গেইলের বিপক্ষে বিপক্ষে বোলিং করার পরিকল্পনা কী ছিল?
মেহেদী হাসান: চিন্তাটা ছিল ভালো জায়গায় বল করা। ওটা করতে পারলে, মানে ওর দুর্বল জায়গায় বল করলে ও আউট হয়ে যাবে। সেটাই বারবার করছিলাম।



প্রশ্ন
: প্রথম বলেই তো গেইলকে আউটের সুযোগ এসেছিল...
মেহেদী হাসান:  অনেক ক্লোজ কল ছিল আসলে। গেইলের মতো একটা উইকেট পাওয়া অনেক বড় বিষয় ছিল।

প্রশ্ন:গেইলের উইকেট পেলে কি ষোলোকলা পূর্ণ হতো?
মেহেদী হাসান: ম্যাককালামের উইকেট পেয়েছি। গেইলের উইকেট পেলে দুইটাই খুশি হতাম। টার্গেট ছিল আমিই দুইটা নিব।

প্রশ্ন: আপনি তো ব্যাটসম্যান বোলিংয়ের হাতেখড়ি কীভাবে?
মেহেদী হাসান: আসলে আমাকে বোলার বানানোর পেছনে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্যারের অবদান সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত উনিই আমার সবকিছু ঠিক করিয়েছেন। আমাকে বোলার হিসেবে তৈরি করানোর ক্ষেত্রে উনার অনুপ্রেরণা অনেক বেশি।

প্রশ্ন: এত দর্শকের মাঝে খেললেন নার্ভাসনেস কাজ করেছে?
মেহেদী হাসান: এত দর্শকের মাঝে খেললে একটু নার্ভাস হয়ই। পরে একটা দুইটা বল করার পর সব ঠিক হয়ে গেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়