ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তুমুল লড়াই শেষে কুষ্টিয়ার চূড়ান্ত বিজয়

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তুমুল লড়াই শেষে কুষ্টিয়ার চূড়ান্ত বিজয়

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার প্রায় সমস্ত এলাকা শত্রুমুক্ত হলেও ‘কুষ্টিয়া শহর’ মুক্ত হয়েছিল আরো দুইদিন পর।

কুষ্টিয়া শহর মুক্ত করতে তুমুল লড়াই’র মুখোমুখি হতে হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। এ লড়াইতে উভয় পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক।অনেক প্রাণের বিনিময়ে ১১ ডিসেম্বর আসে চূড়ান্ত বিজয়।

একদিকে স্বজনের লাশ, অন্যদিকে সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ- এতো বেদনা বয়েও সেদিন মানুষ বিজয়ের আনন্দে  রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুষ্টিয়া জেলা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ভোর রাতেই পাক হানাদারদের আক্রমনের শিকার হয় কুষ্টিয়া। প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখে ১ এপ্রিল রাতে পাকবাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়ে ১৬ দিন পর আবারো কুষ্টিয়া দখল করে নেয় পাকবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল লড়াই চলে। এরমধ্যে ২৬ নভেম্বর সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুব আলী বলেন, ৯ মাস ধরে যখন থেমে থেমে যুদ্ধ হয়, তখন বাঙ্গালী নিধন আর গণহত্যার উৎসবে মেতে উঠে পাকবাহিনী। ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ কুষ্টিয়া শহরের বিহারি কলোনির কোহিনুর ভিলার ১৬ জন শহীদ হন। এটি এ জেলার একটি পরিবারের উপর সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা।

প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বলেন, ‘দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে হানাদারদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করে যে সব বীরযোদ্ধারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।’

এ বিজয়ের দিনটিকে উদযাপন করতে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ বধ্যভূমিগুলিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র্যা লি, আলোচনা সভাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

 

 

রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১১ ডিসেম্বর ২০১৭/কাঞ্চন কুমার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়