ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

লাঠি খেলা দেখতে সব বয়সী মানুষের ভিড়

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ১২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লাঠি খেলা দেখতে সব বয়সী মানুষের ভিড়

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। জেলা উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। হারিয়ে যাওয়া এই লাঠি খেলা দেখতে সব বয়সী মানুষ ভিড় জমান।

একটা সময় লাঠি খেলা ছিল গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত খেলা। এটি ছিল মানুষের বিনোদনের উৎস। বৈশাখী মেলা, বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষকে আনন্দ দিতে এই খেলার আয়োজন করা হতো।



গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন মেলায় আসা সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিতে শুক্রবার বিকেলে আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার। কাঁসার শব্দে চারপাশে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঢোলের তালে নেচে নেচে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন লাঠিয়ালরা। খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে লাঠিযুদ্ধে লিপ্ত হন। লাঠি দিয়ে অন্যের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন। বিভিন্ন কসরত দেখিয়ে উপস্থিত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় ছোট্ট এক শিশু। ক্ষুদে লাঠিয়ালের কসরত শেষ হতেই আবির্ভূত হন প্রবীণ লাঠিয়ালরা। দল বেঁধে আগত দর্শকদের সালাম বিনিময় করেন। দর্শকরা করতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগান।

লাঠিয়াল মেহেদী আক্তার, অমিত খান জানান, পুরস্কার বা টাকার জন্য তারা লাঠি খেলেন না। ঐতিহ্যবাহী খেলাটি ধরে রাখতে ও দর্শকদের আনন্দ দিতে তারা মাঠে নামেন। যে যা দেয়, তা আনন্দে গ্রহণ করেন।



দর্শনার্থী ফাহমিদা আক্তার, সালমা আক্তার কেয়া, নিউটন মোল্যা জানান, মাঠের স্বল্পতা আর ভিডিও গেমের প্রভাবে শিশুরা আজ ঘরে বন্দি। প্রথমবারের মতো তারা গ্রামীণ এই খেলা দেখলেন। লাঠি খেলাসহ গ্রাম্য খেলাকে টিকিয়ে রাখতে ও আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মাঝে মধ্যে এর আয়োজন করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার জানান, লাঠি খেলা ঐতিহ্যবাহী খেলা। পৌর পার্কে তিন দিনবাপী উন্নয়ন মেলা হচ্ছে। এই মেলা দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন। তাদের  বিনোদন দিতে ও ঐতিহ্যবাহী খেলা টিকিয়ে রাখতেই এর আয়োজন করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১২ জানুয়ারি ২০১৮/বাদল সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়