ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্লেয়ার ড্রাফট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্লেয়ার ড্রাফট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক: এমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার ড্রাফটে খেলোয়াড়দের উপস্থিতি এবং নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড় বসছেন ক্লাবের টেবিলে। আজ শামসুর রহমান শুভকে মোহামেডানের এবং মুক্তার আলীকে কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাবের তাঁবুতে দেখা যায়।

দুজনই দল সাজাতে রেখেছেন বড় অবদান। কিন্তু অভিজাত হোটেলের প্লেয়ার ড্রাফট রুম থেকে বের হতেই মুখের হাসি নেই। কারণ, মন মতো তো পারিশ্রমিক তারাও পাচ্ছেন না। শামসুর রহমান শুভ সরাসরি বলেছেন,‘কিছু করার নেই। বোর্ডের নির্ধারণ করা নিয়ম। কম পারিশ্রমিক পেলেও খেলতে হবে।’

আর মুক্তার আলী মুখ খুলতেই রাজী হলেন না। জমে থাকা চাপা ক্ষোভ মুখ দেখেই স্পষ্ট হচ্ছিল। তবে দল গঠন করে গাজী গ্রুপের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্লেয়ার ড্রাফট নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে,‘আমি কখনোই প্লেয়ার ড্রাফটের পক্ষে নয়। আমি চিন্তা করি খেলোয়াড়েরা যেন স্বাধীনভাবে খেলতে পারে। ইচ্ছে মতো দল বেছে নিয়ে খেলতে পারে। এখানে অনেক খেলোয়াড় খুশি না। আমি নিজেও খুশি নই। এখানে খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।’



তবে আয়োজক বলছেন ভিন্ন কথা। তারা খেলোয়াড় নন বরং ক্লাবের সার্থকেই বড় করে দেখছেন। ব্যয় কমাতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বেঁধে দিয়েছেন। সিসিডিএমের নতুন চেয়ারম্যান ও বিসিবির পরিচালক কাজী ইনাম বলেছেন,‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ব্যয় অনেক ক্লাবের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। খেলোয়াড়দের যে চাহিদা ছিল সেটা ক্লাবগুলো ম্যানেজ করতে পারছিল না।’

মূলত পারিশ্রামের নিশ্চয়তার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাইতো খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন,‘অনেক ক্রিকেটার ৩০ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হয়। তাকে ২২ লাখ টাকা দেওয়ার পর আর টাকা দেয় না। ৮ লাখ টাকা আর কোনোদিনও পায়নি। এসব তো প্লেয়ার ড্রাফটে হচ্ছে না।’ ৫ ফেব্রুয়ারি লিগ শুরুর আগেই ৫০ ভাগ পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন ক্রিকেটাররা। এর নিশ্চয়তাও দিচ্ছে বোর্ড ও সিসিডিএম।

আজকের প্লেয়ার ড্রাফটে ১২টি ক্লাবই নিজেদের সামর্থের মধ্যে সেরা দল গঠন করেছে। তবে অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এতে পারফরম্যান্সে অনেক প্রভাব পড়বে মনে করেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় যখন নিজের স্বাধীন মতো দল পছন্দ করে খেলতে পারবে না সে তখন মানসিক চাপে থাকবে। আগের মৌসুমে ক্লাবের সঙ্গে তাদের বাজে অভিজ্ঞতা হতে পারে, পেমেন্টে সমস্যা হতে পারে, অফিশিয়াল, কোচিং-স্টাফকে পছন্দ নাও হতে পারে! তাদের তো ইচ্ছে থাকতে পারে আরেকটা ক্লাবে যাওয়ার। এখানে তো সেই সুযোগটা খেলোয়াড়কে দেওয়া হচ্ছে না।’



দল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক আর নাই থাকুক মাঠের খেলায় এখন মনযোগী হওয়ার পরামর্শ কোচদের। গাজী গ্রুপকে প্রথম শিরোপার স্বাদ দেওয়া সালাউদ্দিন বলেছেন,‘আমার প্রথম লক্ষ্য রেলিগেশন বাঁচানো। কীভাবে রেলিগেশন বাঁচাব সেটা নিয়ে চিন্তাই আছি খুব! আমার কাছে মনে হয় এটা পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার।’

প্রাইম ব্যাংকের কোচের খালেদ মাসুদ পাইলট বলেছেন,‘প্রাইম ব্যাংক দল ভালো হয়েছে। আইকন হিসেবে মাহমুদউল্লাহকে পেয়ে ভীষণ খুশি। পেস বোলার রুবেলকে পেয়েছি। প্রতিটা দলই ভালো, এই সংস্করণে প্রতিটি দলের ব্যবধান কম থাকে। আশা করি ভালো হবে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ।’

শাইনপুকুরের কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একজনকে আইকন হিসেবে পাওয়া যে সবাইকে গাইড করতে পারবে। তাই মাশরাফিকে আমরা নিয়েছি। আমাদের বাকিরা প্রায় সবাই উদীয়মান খেলোয়াড়। মোটামুটি ভালো দলই হয়েছে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়