ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঘুরে আসুন নাটেশ্বরের বৌদ্ধ নগরীতে

শেখ মো. রতন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘুরে আসুন নাটেশ্বরের বৌদ্ধ নগরীতে

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : নরসিংদীতে প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো দুর্গ-নগরী ‘উয়ারী বটেশ্বর’ আবিষ্কৃত হওয়ার পর এবার মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে নান্দনিক এক বৌদ্ধ নগরীর সন্ধান মিলল।

প্রায় ৫ বছর ধরে খনন শেষে আবিস্কৃত হলো শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান চর্চায় উন্নত হাজার বছর আগের এই বৌদ্ধনগরী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চীনের একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ-গবেষক মিলে অবিরাম কাজ করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে বের করেন।

গবেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার সমতট ভুমি প্রাচীন বিক্রমপুর। এ অঞ্চলে প্রত্নখননে বেরিয়ে এসেছে হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধ মন্দির, অষ্টাকোনাকৃতি দেয়াল, শৈল্পিক ইট ও রাস্তাঘাট। এখানে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি সময়ের ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতার স্থাপত্য শৈলী খুঁজে পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালের শেষের দিকে নাটেশ্বরে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধান পাওয়া যায়। চলতি বছর মাত্র ২ মাসের উৎখনন কাজের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় প্রাচীন বৌদ্ধনগরী। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রনে সদ্য আবিস্কৃত বৌদ্ধ নগরী স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি. মা মিয়াংচ্যাং।
 


উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একাধারে একটি নগর ও সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র। নাটেশ্বরেও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। হাজার বছর আগের পুরাকীর্তির সঙ্গে কাটাতে যে কাউকে প্রলুব্ধ করবে মুন্সীগঞ্জের সদ্য আবিস্কৃত বৌদ্ধ নগরী। উৎসব পার্বনে কিংবা ছুটির অবসরে ঢাকার কাছের এই বৌদ্ধ নগরী দেখে আসতে পারেন যে কেউ।

কিভাবে যাবেন : রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান বা ফুলবাড়িয়া চৌরাস্তা থেকে বাসে চড়ে চলে আসুন মুন্সীগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকার ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর পাদদেশে।

মৈত্রী সেতু থেকে টেম্পো বা স্কুটারে মাত্র ২০ টাকা খরচে আপনি চলে যান নাটেশ্বরে। অথবা অটোরিকশা বা সিএনজিতে চড়ে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় নাটেশ্বরে চলে আসতে পারেন।

মুক্তারপুরে সেতুর পাদদেশ থেকে রিকশায় অতীশ দীপঙ্করের জন্মভূমি বজ্রযোগিনীর বাস্তুভিটায়ও ঘুরে আসতে পারেন। ভাড়া লাগবে ১০০ টাকা। অটোরিকশায়ও একই খরচ পড়বে। বজ্রযোগিনী ও রঘুরামপুরের দুরত্ব কাছাকাছি। তাই এই খরচে যেতে পারেন রঘুরামপুরের বৌদ্ধ বিহারেও।



রাইজিংবিডি/মুন্সীগঞ্জ/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শেখ মোহাম্মদ রতন/শাহ মতিন টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়