ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

কওমি সনদের জন্য সংসদে আইন পাসের দাবি

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কওমি সনদের জন্য সংসদে আইন পাসের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান দিতে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে আইন পাসের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) সভাপতি মাওলানা শাহ আহমদ শফী।

সোমবার ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসায় বেফাকের মজলিসে উমুমি (কাউন্সিল) অধিবেশনে তিনি এ দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আহমদ শফী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১১ এপ্রিল গণভবনে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের সাথে বৈঠকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন, কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংসদে ও মন্ত্রিসভায় তা পাস করা হয়নি।

বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এবং মুফতি ফয়জুল্লাহর পরিচালনায় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা নুরুল আমীন, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

কাউন্সিল অধিবেশনে মাওলানা আহমদ শফীকে সভাপতি, মাওলানা আশরাফ আলীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে মহাসচিব করে ১১৬ সদস্য বিশিষ্ট বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

বেফাকের নতুন সভাপতি মাওলানা আহমদ শফী বলেন, দুনিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। এ অবস্থায় উলামায়ে কেরামকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদার ওপর অটল থাকা অপরিহার্য। আমাদের আকিদা-বিশ্বাসে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন মাওলানা আহমদ শফী।

অধিবেশনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের যাবতীয় অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত, জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা, ইসলামবিরোধী এনজিওদের সব অপতৎপরতা বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব গৃহিত হয়।

দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষাসহ দেশের প্রতিটি গ্রাম ও মসজিদ এবং প্রয়েজনীয় স্থানগুলোতে মক্তব প্রতিষ্ঠা, দ্বীনি ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা চালুসহ সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়