চেলসি-বার্সা দ্বৈরথের আলোচিত ৫ ঘটনা
ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগে পঞ্চম সর্বোচ্চ ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে চেলসি ও বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পাল্লা চেলসির দিকেই ভারী। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে চেলসির ফর্ম ভালো নয়। অন্যদিকে বার্সেলোনা রয়েছে দারুণ ছন্দে।
তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক চেলসি ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াইয়ের আলোচিত ৫ ঘটনা :
রিভালদোতে রক্ষা বার্সার : ২০০০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও চেলসি। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি। বার্সেলোনার হয়ে স্টামফোর্ড ব্রিজে একটি গোল করেছিলেন রিভালদো। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে নির্ধারিত সময়ে ৩-১ জিতেছিল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে বার্সা আরো দুটি গোল পায়। তাতে ৫-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে যায় বার্সা। প্রথম লেগে এক গোলের পর ফিরতি লেগেও ২ গোল করেন রিভালদো।
মরিনহো ও রেফারির দ্বন্দ্ব : বার্সেলোনার সহকারী কোচ হোসে মরিনহো ২০০৪ সালে চেলসির কোচ হন। ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা হয় চেলসি ও বার্সেলোনার। ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগে শুরুতেই ১-০ গোলে লিড নেয় চেলসি। কিন্তু চেলসির দিদিয়ের দ্রগবাকে সুইডিশ রেফারি আন্দ্রেস ফ্রিস্ক লাল কার্ড দেখান। রেফারির উপর খুবই ক্ষিপ্ত হন মরিনহো। এক মাসের মাথায় ফ্রিস্ক রেফারিং থেকে অবসর নেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দ্রগবা লাল কার্ড দেখার পর দশজনের চেলসির বিপক্ষে বার্সা জয় পায় ২-১ গোলে। তবে ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় চেলসি। বার্সার হয়ে রোনালদিনহো জোড়া গোল করেছিলেন।
বার্সার জয় : ২০০৫ সালে হারার পর ২০০৬ সালে এসে জয় পায় বার্সা। এই জয়ে অবশ্য মেসি কোনো অবদান রাখতে পারেননি। প্রথম লেগে চেলসির মাঠে ২-১ গোলে জয় পায় বার্সা। এই ম্যাচে দুটি আত্মঘাতি গোল হয়। একটি করেন চেলসির জন টেরি। অপরটি করেন বার্সার থিয়াগো মোত্তা। কিন্তু ৮০ মিনিটে স্যামুয়েল ইতো গোল করে বার্সাকে ২-১ ব্যবধানের জয় এনে দেন। ফিরতি লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়। রোনালদিনহো ৭৮ মিনিটে গোল করেন। ল্যাম্পার্ড ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করেন। কিন্তু চেলসির হার এড়াতে পারেননি।
বার্সার মাঠে পেনাল্টি বাতিলের হিড়িক : ২০০৯ সালে সেমিফাইনালে দেখা হয় চেলসি ও বার্সার। প্রথম লেগ হয় বার্সার মাঠে। এই লেগে চার-চারটি শক্তিশালী পেনাল্টির আবেদন করে চেলসি। কিন্তু নরওয়ের রেফারি সেগুলোতে কর্ণপাত করেননি। তাতে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথম লেগ। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি। কিন্তু যোগ করা সময়ে (৯০+৩) ইনিয়েস্তা গোল করে ফাইনালে তোলেন বার্সাকে। আর ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় কাতালানরা।
তোরেসের গোলে ফাইনালে চেলসি : ২০১২ সালে আবারো সেমিফাইনালে দেখা হয় চেলসি ও বার্সার। প্রথম লেগ হয় চেলসির মাঠে। দিদিয়ের দ্রগবা গোল করে ১-০ গোলে এগিয়ে রাখেন দলকে। ফিরতি লেগে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল বার্সা। কিন্তু যোগ করা সময়ে (৯০+২) ফার্নান্দো তোরেস গোল করে ফাইনালে তোলেন চেলসিকে। আর ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ব্লুজরা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন