ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মিতুর মরদেহ আনতে নেপালে ভাই ও স্বামী

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মিতুর মরদেহ আনতে নেপালে ভাই ও স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : কাঠমান্ডুর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বিলকিস আরা মিতুর মরদেহ আনতে নেপাল গেছেন তার ভাই মাসুদ রানা মনির ও স্বামী আজিজুল হক।

মিতু রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার গোলাম কিবরিয়া ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে। তার পাসপোর্ট নম্বর বিসি-০০৪৯০৩০।

মুঠোফোনে মিতুর বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান, মিতুর লাশ আনতে শুক্রবার তার ছেলে ও জামাই ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে নেপালে গেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার মিতুর স্বামী আজিজুল হক নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ আসেন।

গোলাম কিবরিয়া জানান, গত ৯ মার্চ নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন মিতু। তবে তারা বিষয়টি জানতেন না। মিতু তাদের জানিয়েছিলেন, ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি নিউইয়র্ক থেকে দেশে আসবেন। এ জন্য মিতু তাদের ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ডেকেছিলেন।

মিতুর বাবা জানান, ১৫ মার্চ মিতুর জন্মদিন ছিল। ঢাকায় তিনি পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য আগে আগেই তারা স্বামী-স্ত্রী রাজশাহী থেকে ঢাকায় চলে যান। এখন তারা জানতে পেরেছেন, নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় আসার পর মিতু তার এক বান্ধবীর সঙ্গে নেপাল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।

মিতুর স্বামী আজিজুল হক ফায়ারম্যানস অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য স্টেট অব নিউইয়র্কের একজন স্টাফ নার্স। তার দেশের বাড়ি চট্টগ্রামে। তবে আজিজুল মিতুর দ্বিতীয় স্বামী। রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা এমরান হোসেনের সঙ্গে মিতুর প্রথম বিয়ে হয়।  তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আজিজুলকে বিয়ে করে নিউইয়র্ক পাড়ি দিয়েছিলেন মিতু।

গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানে  মিতু ছাড়াও রাজশাহীর আরও তিন দম্পতি ছিলেন।

এরা হলেন- শিরোইল এলাকার বাসিন্দা হাসান ঈমাম, তার স্ত্রী নাহার বিলকিস বানু, উপশহর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী আক্তারা বেগম এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরানা কবির হাসি ও তার স্বামী রকিবুল হাসান। এদের মধ্যে হাসি ছাড়া বাকি সবাই মারা গেছেন।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১৮ মার্চ ২০১৮/তানজিমুল হক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়