ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের মুম্বাইয়ের বিদায়

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২০ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের মুম্বাইয়ের বিদায়

২০ বলে ৩৭ রান করেও মুম্বাইকে জেতাতে পারলেন না বেন কাটিং

ক্রীড়া ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৮ রান। হার্শাল প্যাটেলের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন বেন কাটিং। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আশাটা টিকে থাকল ভালোমতোই। প্লে অফে যেতে ৫ বলে চাই ১২ রান। কিন্তু দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ধরা পড়লেন কাটিং। মুম্বাইয়ের আশাও শেষ হয়ে গেল সেখানেই। তৃতীয় বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেলেন জাসপ্রীত বুমরাহ। নন স্ট্রাইকে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের স্ট্রাইকেও যাওয়া হলো না। মুম্বাই ম্যাচ হারল ১১ রানে।

জিতলে শেষ দল হিসেবে প্লে অফে উঠে যাবে, হারলে বিদায় নিতে হবে- এমন সমীকরণে আজ আইপিএলের লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মুম্বাই। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। দিল্লি প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছিল আগেই। আজ তাদের জয়ে প্লে অফের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের।

১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে আছে রাজস্থান। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হওয়া কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ১২ পয়েন্ট। পাঞ্জাব জিতলে তাদের পয়েন্টও হবে রাজস্থানের সমান ১৪। তবে নেট রানরেটে রাজস্থানের (-০.২৫০) চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে পাঞ্জাব (-০.৪৯০)। প্লে অফে যেতে হলে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাঞ্জাবকে কমপক্ষে ৫৩ রানে জিততে হবে। আর পাঞ্জাব হেরে গেলে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই প্লে অফে চলে যাবে রাজস্থান। আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় ১৭৫ রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। প্রথম ওভারেই ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। দলের স্কোর তখন ১ উইকেটে ১২। এভিন লুইস ও ইশান কিশানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য সঠিক পথেই ছিল মুম্বাই। ৬ ওভারে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৭। কিন্তু পরপর দুই ওভারে এই দুজনকে ফিরিয়ে মুম্বাইকে বড় ধাক্কা দেন অমিত মিশ্র। স্টাম্পড হওয়ার আগে লুইস করেন ৩১ বলে ৪৮ রান।

দশম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। তিনি চার বলের মধ্যে তুলে নেন কাইরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার উইকেট। মুম্বাইয়ের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৭৮! সেখান থেকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া দলকে ১২১ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ১ রানের মধ্যে ফিরে যান দুজনই। এরপরই মায়াঙ্ক মারকান্দেকে নিয়ে কাটিংয়ের লড়াই শুরু।

শেষ ৩ ওভারে মুম্বাইয়ের দরকার ছিল ৩৮ রান। লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা ১৮তম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে আশা বাঁচিয়ে রাখেন কাটিং। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৯তম ওভারে ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি মুম্বাই। উল্টো শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান মারকান্দে। আর শেষ ওভারে ১৮ রানের প্রয়োজনে কাটিং প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আশা জাগালেও সেটা নিভে যায় পরের বলেই। মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ১৬৩ রানে। 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঋষভ পন্তের ফিফটিতে (৬৪) ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ গড়েছিল দিল্লি। সাত ম্যাচ পর এদিন মুম্বাইয়ের একাদশে ফেরা



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়