ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘সবার ভালোবাসা ও সাড়া আমাদের কাছে বড় পাওয়া’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১২ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সবার ভালোবাসা ও সাড়া আমাদের কাছে বড় পাওয়া’

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সোনারগাঁও হোটেলের লবিরসামনে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজরা। নারী ক্রিকেট দলকে বহনকারী বাস থেকে একে একে নেমে আসছেন ক্রিকেটাররা।

সাকিব, মুশফিক দুজন দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানালেন সালমা, জাহানারা, আয়েশাদের। দুই তারকা ক্রিকেটার গার্ড অন অনার দিলেন এশিয়ার নতুন রাণীদের। হাতে তালি দিয়ে বারবার বলছেন, ‘কনগ্রাচুলেশন, কনগ্রাচুলেশন।’ বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। নারীদের এশিয়া কাপের জেতা ট্রফি উচিয়ে উল্লাসে মাতেন মুশফিক। আরিফুলও ছুঁয়ে দেখেন স্বর্ণালী ট্রফি।

এশিয়ার ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের টাইগ্রেসরা। সোমবার দেশে ফেরার পর তাদেরই সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে উঠেন ক্রিকেটাররা। খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে পুরো দল যোগ দেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

হোটেল রুম থেকে বেরিয়ে লিফটে নামতেই ভিন্ন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের জন্য। সামলা, জাহানারা, রুমানা, আয়েশারা একে একে লাইনে দাঁড়ালেন। সালমা এগিয়ে গেলেন বলরুমের দিকে। তাকে অনুসরণ করল পুরো দল। খাবারের লাইনে দাঁড়ানো রকিবুল হাসান প্লেট রেখে দৌড়ে এলেন।হাত মেলালেন সালমার সাথে। বললেন,‘তোমরা করে দেখিয়েছ। সাবাশ।’ পেছনে রুমানা আহমেদ। তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,‘আমার মেয়ে এটা!সাবাশ বাঘিনী।’ এরপর শুকতারা, আয়েশা, নাহিদা, খাদিজাসহ সবাইকে অভিনন্দন জানালেন রকিবুল হাসান। তাদের বিদায়ের পর বললেন,‘ওরাই তো এশিয়ার রাণী।’

বোর্ড দলকে দুই কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে। আর স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবি নারী ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে দিয়েছে একটি করে আইফোন সিক্স। বিসিবির সংবর্ধনা পেয়ে নারী ক্রিকেটাররা খুশি। অর্থ পুরস্কারের থেকেও দেশের মানুষের ভালোবাসা ও সাড়া পাওয়াটাকেই বড় করে দেখছেন। টাইগ্রেস দলপতি বলেছেন,‘চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরাও অভিভূত। নগদ অর্থ পুরস্কারের চেয়েও আমরা এখন যে সাড়াটা পেয়েছি সেটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।’

এ দিনটি দেখার জন্য নারীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকটা সময়। অধিনায়ক সালমার কন্ঠেও একই সুর,‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। অনেক দিন ধরে এ দিনটি দেখার জন্য অপেক্ষা করেছি, সাধনা করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু অনেক কিছু শিখেছি। সেগুলো আমাদের কাজে এসেছে। সামনেই আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। আমাদের চ্যালেঞ্জ বাছাই পর্ব পেরোনো।’

১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র পাল্টে দিয়েছিলেন আকরাম, নান্নু, পাইলটরা। এবার মেয়েদের পালা। এই অর্জন বদলে দেবে নারী ক্রিকেটকে। এমনটাই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়