অপহৃত নবীনকে খুলনায় পাওয়া গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : ঢাকা থেকে অপহৃত আবাসন নির্মাতা কোম্পানি শেলটেকের স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীনকে চোখ বেঁধে খুলনায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীনের মামা খুলনার খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার।

তিনি বলেন, নবীনের পায়ের তলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে নেশাজাতীয় কিছু সেবন করানো হয়েছে। এ কারণে শারীরিকভাবে সে বেশ অসুস্থ, চিকিসৎক বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এ প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন।

এর আগে ৮ জুলাই সকালে মাহফুজ নবীন ঢাকার কলাবাগানে অফিসে যাওয়ার জন্য ভাষানটেক এলাকার বাসা থেকে বের হওয়ার পর অপহৃত হন। ঘটনার পর দিন ৯ জুলাই তার স্ত্রী জান্নাতুল এশা ভাষানটেক থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর বুধবার রাত ৩টার দিকে তাকে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনার গোয়ালখালী সংলগ্ন আবু নাসের হাসপাতাল এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।

খুলনার খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খবর পেয়ে তিনি নবীনের মামা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বাশারের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় কারা, কেন, কীভাবে তাকে অপহরণ করেছে- সেই বিষয়টি জানা সম্ভব হয়নি। তবে, এ বিষয়ে ভাষানটেক থানা পুলিশ তদন্ত করতে পারে।

মনিরুল ইসলাম বাশার বলেন, বুধবার রাত ৩টার দিকে নবীনকে চোখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনার আবু নাসের হাসপাতাল এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। নামিয়ে দিয়ে বলা হয়, সোজা হাটবি, ডানে-বায়ে, পিছনে তাকাবি না, তাকালে গুলি করবো। এ কারণে সে বেশ কিছুক্ষণ সামনের দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে চোখ খুলে গোয়ালখালী জাহাজ চত্বর দেখতে পেয়ে বুঝতে পারে সে খুলনায়।

বাশার জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে নবীন তার খালিশপুরস্থ মানসি বিল্ডিং’র বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু তারা ঘুমিয়ে থাকায় টের পাননি। পরে পুরাতন থানা রোডস্থ তার ভগ্নিপতি ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে অচেতন হয়ে পড়ে। তখন তাকে আবু নাসের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে কারা মাইক্রোবাসে করে তাকে খুলনায় নিয়ে আসে, গত চার দিন সে কোথায় ছিল- এসব বিষয়ে ধারণা দিতে পারেনি নবীন।



রাইজিংবিডি/খুলনা/১২ জুলাই ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল