ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

দাপট দেখিয়ে জিতল বাংলাদেশ

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১১, ২২ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দাপট দেখিয়ে জিতল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৮ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে লিড নিল বাংলাদেশ।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত।

স্কোর:  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩১/৯, ৫০ ওভার (আলজারি জোসেফ ২৯ , বিশু ২৯ )

বাংলাদেশ ২৭৯/৪, ৫০ ওভার (তামিম ইকবাল ১৩০*, মাহমুদউল্লাহ ৪*)

ব্যাট-বলে বাংলাদেশের দাপট: ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানোর পর বোলিংয়ে অসাধারণ বাংলাদেশ। ব্যাট-বলের দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ জিতল সহজেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ জয়, সব মিলিয়ে অষ্টম।  

মাশরাফি চতুর্থ শিকার নার্স: পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই দ্যুতি ছড়ালেন মাশরাফি। বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার চতুর্থ শিকার আশলে নার্স। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান মাশরাফির কাটারে ক্যাচ দেন লং অনে। ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো ৪ উইকেটের স্বাদ পেলেন মাশরাফি। 

বিস্ফোরক রাসেলকে সাজঘরে পাঠালেন মাশরাফি: মুস্তাফিজের বলে ছক্কা মেরে বল হারিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরে চেন্দা রূপে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। তাকে ফেরালেই জয় নিশ্চিত বাংলাদেশের! কাজের কাজটা করে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেসের স্লোয়ারে বল হাওয়ায় ভাসান রাসেল। লং অনেক ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ। রাসেলের আউটে জয় দেখছে বাংলাদেশ। 

ছক্কা মেরে আউট হোল্ডার: মাশরাফির করা ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন জেসন হোল্ডার। পরের বলে প্রতিশোধ নেন মাশরাফি। তার স্লোয়ারে আবারও বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন হোল্ডার। ১৮ বলে ১৭ রান করে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। 

দুই বলে মুস্তাফিজের দুই উইকেট: হেটমায়ারের বিদায়ের পরের বলেই মুস্তাফিজের শিকার রভম্যান পাওয়েল। মুস্তাফিজের দূর্বোধ্য বোলিংয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন রভম্যান।হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু রাসেল প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। 

হেটমায়ারকে ফেরালেন মুস্তাফিজ: পানি পানের বিরতির পর দ্বিতীয় বলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হেটমায়ারকে ফেরালেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন ৫২ রান করা হেটমায়ার। তার উইকেট হারিয়ে বিপদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

হেটমায়ারের হাফ সেঞ্চুরি: ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সিমরন হেটমায়ার। ওয়ানডেতে একটি সেঞ্চুরি রয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান হেটমায়ার। 

মিরাজের প্রথম সাফল্য: জেসন মোহাম্মদকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি স্পিনারের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ১০ রান করা জেসন মোহাম্মদ। 

শতরান পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
২৬তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকান হেটমায়ার। ৯৯ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পৌঁছে যায় ১০৩ রানে। শতরানে পৌঁছতে ৩ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। 

রান আউটে কাটা পড়লেন গেইল: উইকেটে থিতু হয়ে ছিলেন ক্রিস গেইল। বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণের জবাব ভালোভাবেই দিচ্ছিলেন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। কিন্তু ভাগ্য তাকে সাহায্য করল না। রান আউটে কাটা পড়লেন বাঁহাতি ওপেনার। সিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন গেইল। মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে বোলিং প্রান্তে উইকেট ভাঙেন মোসাদ্দেক। ৬০ বলে ৪০ রান করেন গেইল।  

প্রথম বলে রুবেলের উইকেট: ১৩তম ওভারে রুবেলকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক মাশরাফি। বল হাতে প্রথম আক্রমণেই উইকেট রুবেলের। বাড়তি গতির সঙ্গে হাল্কা সুইং। তাতেই পথ ভুললেন শাই হোপ। এলবিডব্লিউ হয়ে আউট ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 

মাশরাফির হাত ধরে প্রথম সাফল্য: ধারাবাহিক ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন মাশরাফি। তার হাত ধরেই প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ। এভিন লুইসকে ১৭ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন মাশরাফি।ডানহাতি এ পেসারের হাফভলি বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন। দারুণ ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ।  

শুরুতে গেইল-লুইস: উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। স্বাগতিকদের লক্ষ্য ২৮০ রান। জিততে হলে সফরকারীদের শুরুতেই ভাঙতে হবে এ জুটি। তবে দেখেশুনে খেলছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সতর্ক শুরু তাদের। 

শেষ ২ ওভারে ৪৩ রান: জেসন হোল্ডারের করা ৪৯তম ওভারে মুশফিকুর রহিম তোলেন ২২ রান। ২ ছক্কা ও ২ চারের পাশাপাশি নেন ২ রান। তামিম শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে নেন ১৩ রান। মুশফিক পরের বলে চার মেরে আউট হন পঞ্চম বলে। শেষ বলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে ২১ রান। দুই ওভারে ৪৩ রান তুলে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। 

গায়ানায় মুশফিক ঝড়: ঝোড়ো ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দিলেন মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান মাত্র ১১ বলে করেন ৩০ রান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন গোটা গ্যালারি। তার ঝোড়ো ইনিংসে শেষ দিকে লড়াই করে বাংলাদেশ। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২০ বলে ৫৪ রান করেন মুশফিক।  

‘ভুল সিদ্ধান্তে’ আউট সাব্বির: বিশুর বলে স্ট্যাম্পড হন সাব্বির রহমান। আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য না নিয়েই তাকে আউট দেন। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় স্টাম্প থেকে বেল পড়ার সময়ও সাব্বিরের ডান পা ক্রিজের ভেতরে ছিল। পরবর্তীতে তা এগিয়ে যায়। আম্পায়ারের ‘ভুল সিদ্ধান্তে’ ৩ রানে আউট হন সাব্বির। 

সেঞ্চুরির ‘দুই অঙ্কে’ তামিম: তামিমের নামের পাশে ছিল নয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে সেঞ্চুরির ‘দুই অঙ্কে’ পৌঁছলেন তামিম। তবে এটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবথেকে মন্থরতম সেঞ্চুরি। তামিম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১৪৬ বলে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান সেঞ্চুরির ইনিংসটি। ৮৭ বলে ফিফটি ছোঁয়া তামিম তিন অঙ্কে পৌঁছান পরবর্তী ৫৯ বলে।    

৩ রানের আক্ষেপ সাকিবের: দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন সাকিব। খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে তুলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তাকে সঙ্গ দেন তামিম। রেকর্ড রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশ শিবিরে এনে দেন স্বস্তি। কিন্তু আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হলো সাকিবকে। ৯৭ রানে আউট সাকিব। ভাঙল তামিম-সাকিবের ২০৭ রানের জুটি। স্পিনার বিশুর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ১২১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৯৭ রানের ইনিংসটি সাজান সাকিব। 

দুইশ রানের জুটি তামিম-সাকিবের: দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডেতে দুইশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। ২০৭ রানের জুটি গড়েছেন তামিম ও সাকিব। 

রেকর্ড: এর আগে দুবার জুটি বেঁধে শতরান করেছিলেন তামিম ও সাকিব। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে তাদের জুটি। তবে আজ ছাড়িয়ে গেছে তাদের পূর্বের রেকর্ড।  এর আগে দুজন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে করেছিলেন ১৪৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটির এখন পর্যন্ত রান ১৬০। 

তামিমের পর সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি: ২৬তম ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবাল তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪২তম হাফ সেঞ্চুরি। ২৭তম ওভারের শেষ বলে সাকিব স্পর্শ করেন ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬৮ বলে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পান সাকিব। 

তৃতীয় শতরানের জুটি তামিম-সাকিবের: পঞ্চাশ রানের জুটিকে শতরানে রূপ দিল তামিম ও সাকিব। ২৬তম ওভারের চতুর্থ বলে এক রান নেন তামিম। তাতেই তিন অঙ্কে পৌঁছায় তাদের জুটি। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শতরানের জুটি পেল দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এদিকে একই ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে তামিম ইকবাল ছুঁয়েছেন ফিফটি। ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন দেশসেরা ওপেনার।    

তামিম-সাকিব জুটির পঞ্চাশ: সংগ্রাম করে রান তুলতে হচ্ছে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন তারা। ১৫তম ওভারে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয় তাদের। এ নিয়ে নবমবারের মতো পঞ্চাশ রানের জুটি গড়লেন তারা। তাদের শতরানের জুটি আছে দুটি।  

পাওয়ার প্লে’তে ৪৪ ডট বল! টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কি ভুল করলেন মাশরাফি? উত্তরটা জানা যাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষে। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান মাত্র ৩১! পাওয়ার প্লে’তে বাউন্ডারিতে মাত্র ৩টি। রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ৬০ বলে ৪৪ বলই ডট। 

নবম ওভারে প্রথম বাউন্ডারি: আন্দ্রে রাসেলের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করলেন তামিম ইকবাল। বল মাটি কামড়ে গেল বাউন্ডারিতে। ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি এল নবম ওভারের তৃতীয় বলে। দ্বিতীয় বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি এক বলও! চতুর্থ বল লেগ সাইডে ফ্লিক করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠান তামিম। শেষ বলে আরেকটি বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে নবম ওভারে বাংলাদেশ পেল ১৩ রান।  

বৃষ্টির পর খেলা শুরু: বৃষ্টিতে ২৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবার মাঠে নেমেছে দুই দল।  

বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা:  বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল দুপুর থেকে। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই বৃষ্টির বাঁধা। কালো মেঘে ঢেকে গেছে পুরো প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। বৃষ্টিতে বন্ধ দুই দলের মহারণ। পুরো মাঠ ঢেকে রাখা হয়েছে ত্রিপল দিয়ে।   

ব্যর্থ এনামুল: প্রস্তুতি ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস হাঁকিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবুও মূল মঞ্চে সুযোগ পেয়েছিলেন এনামুল। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থ ডানহাতি ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন জেসন হোল্ডার। ডানহাতি পেসারের আউটসুইংয়ে ব্যাটে খোঁচা লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এনামুল। 

টস : টস জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশের একাদশ : তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, জেসন মোহাম্মদ, সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে রাসেল, দেবেন্দ্রা বিশু, আশলে নার্স  ও আলজারি জোসেফ।

ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ : টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। করতে পারেনি ন্যূনতম লড়াইও। সমর্থকদের মতো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ক্রিকেটারদেরও। টেস্টের বিভীষিকা কাটিয়ে ওয়ানডে সিরিজে তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ।

হেড টু হেড : ওয়ানডেতে দুই দল এর আগে মুখোমুখি হয়েছে ২৮ বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ১৯টিতে, বাংলাদেশ জিতেছে ৭টি, বাকি দুই ম্যাচের ফল হয়নি। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ম্যাচ হয়েছে ১০টি। যেখানে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টি। সেটাও ২০০৯ সালে, খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বাকি ৭টিই জিতেছে ক্যারিবীয়রা।

পয়মন্ত গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম : প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এর আগে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে একটি এবং সেটি জিতেছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে সে জয়টা ছিল অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুলাই ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়