হাজারীবাগ হাটে হাবিবের ৬ লাখ টাকার গরু
ছবি : নাসির উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাজারীবাগে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গরু নিয়ে এসেছেন অনেক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে পাবনা থেকে আসা প্রথম গরু ব্যবসায়ী হাবিব। তিনি তার নিজস্ব খামারে পালিত ৯টি গরু নিয়ে এসেছেন এ হাটে। এখন পর্যন্ত হাটের সব থেকে বড় গরুটিও এনেছেন তিনি, দাম চেয়েছেন ৬ লাখ টাকা।
হাট এখনো জমে না ওঠায় বিক্রি নেই বললেই চলে। তাই গরুগুলোর যত্ন নিতেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
হাটে এত আগে আসার কারণ জানতে চাইলে হাবিব বলেন, ‘হাটে একটু তাড়াতাড়ি করে আসার কারণ হচ্ছে, আর দুই এক দিনের মধ্যে সারা দেশ থেকে পশু আসা শুরু হবে ঢাকায়। তখন রাস্তায় অনেক জ্যাম হয়। আর হাটে আসার পর দেখা যায় পছন্দ মত জায়গা পাওয়া যায় না। তাই আগে এসেছি এবং আগে এসে হাটের একদম ঢোকার জায়গাতেই স্থান পেয়েছি। যার ফলে এ হাটে যারাই আসুক না কেন আগে আমার গরুগুলোই চোখে পড়বে। আর এখন পর্যন্ত এই হাটে ওঠা সব গরুর মধ্যে আমার কাছে বড় গরু রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বড় দুটি গরুর দাম প্রতিটি আশা করছি ৬ লাখ, এর পরের যেটি রয়েছে সেটি সাড়ে ৪ লাখ। এছাড়া ৬০ হাজার টাকা দামের গরুও আমার কাছে রয়েছে।’
হাবিব বলেন, ‘বড় শখ করে পালন করা গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছি ভালো মূল্য পাবার আশায়। কেনাবেচা এখনও শুরু হয়নি। অনেকে এসে গরু দেখে দাম শুনে চলে যাছেন। এর মধ্যে একজন এসেছিলেন, তিনি ৫ লাখ টাকা বলেছেন কিন্তু বিক্রি করিনি। সামনে আরো দিন রয়েছে আশা করছি ছয় লক্ষ টাকাতেই বিক্রি করতে পারব।
এখানে থেকে গরুকে খাওয়ানো ও দেখভালে কোন সমস্য হচ্ছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘না তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমি ট্রাকে করে এখানে আসার সময় ওখান থেকে খর, ঘাস নিয়ে এসেছি। এখনো তা আছে, এগুলো শেষ হলে এখান থেকে কিনে খাওয়াবো। আর দেখাশোনার জন্য আমার খামারের দুজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’
এদিকে রাজধানীর দুই তিনটি হাট ঘুরে এখন পর্যন্ত দেশি গরুই দেখা গেছে। রাজশাহী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, মেহেরপুর, জামালপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, পাবনা, কুমিল্লা ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে রাজধানীর হাটে আসছেন গরুর ব্যাপারীরা।
এবার রাজধানীতে মোট ২২টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে দক্ষিণে ১৩টি, উত্তরে ৯টি। কিন্তু এ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে ১৪টি হাটের ইজারা। কোনও দরপত্র না পাওয়ায় ডিএসসিসির ৬টি হাটের ইজারা হয়নি। এ হাটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর উত্তরের একটিতে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করেছে সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার আগেই পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আর দুই সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী ঈদের তিনদিন আগে ঢাকার হাটগুলোতে পশু আনা ও বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম ভেঙে হাটগুলোতে পশু ঢোকাচ্ছেন ইজারাদাররা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ আগস্ট ২০১৮/নাসির/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন