ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উদ্বোধন

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উদ্বোধন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : দীর্ঘদিনের সংস্কারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। এটি আগে হোটেল শেরাটন ও রূপসী বাংলা নামে পরিচিত ছিল।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে অতিশিগগিরই হোটেলটি বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, বিএসএলের (বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু  হয়েছিল এ দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। স্থপতি উইলিয়াম বি ট্যাবলারের চমৎকার নকশার এ হোটেলটি আজও চমৎকার স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন। এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামেই চলে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। তারপর স্টারউড কোম্পানির সাথে চুক্তি হওয়ায় ১৯৮৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা ‘শেরাটন হোটেল’ নামে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। শেরাটনের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘রূপসী বাংলা হোটেল’ নামে পরিচালিত হয়।

২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হোটেলটির মালিক কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপ (এশিয়া প্যাসিফিক) প্রাইভেট লিমিটেডের (আইএইজি) সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের পর ২০১৫ সালের মার্চে সংস্কার কাজ শুরু  হয়।

রূপসী বাংলা হোটেলে কক্ষ ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭২টি। সংস্কারের পর কক্ষের সংখ্যা কমে ২৩১টিতে দাঁড়িয়েছে। আয়তনের দিক থেকে কক্ষের আকার দাঁড়িয়েছে ২৬ থেকে ৪০ স্কয়ার মিটার। বিশ্বমানের অতিথি সেবা নিশ্চিত করতে পরিবর্তন করা হয়েছে সুইমিং পুল ও ডাইনিং হলের অবস্থান। এর আগে হোটেলটির বলরুম ছিল একদিকে, উইন্টার গার্ডেন নামে সবচেয়ে বড় হলরুমের অবস্থান অন্যদিকে। এখন দুটি এক করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলটির মূল ফটকও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভেতরের সুইমিং পুলটিও সরিয়ে নতুন করে সাজানো হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় নিয়ে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। সংস্কার কাজে প্রায় ৬২০ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে জীবন বাজি রেখে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার ছবি ধারণ করেছিলেন তৎকালীন হোটেল শেরাটনে অবস্থানরত বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালি ও সাইমন ড্রিং, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধান আর্নল্ড জেইটলিন, ক্লেয়ার হলিংওর্থ, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ডেভিড গ্রিনওয়ে। এসব ছবির মাধ্যমে বিশ্ব জানতে পেরেছিল বাংলাদেশ কী নৃশংসতার শিকার হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়