ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল ভারত

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক: সবার আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত।

গ্রুপ পর্বের পর পাকিস্তানকে সুপার ফোরের ম্যাচেও হারাল ভারত। এবারও হেসেখেলে জিতেছে শিরোপা প্রত্যাশীরা। ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

প্রথম ম্যাচের মতো এবারও রেকর্ড গড়ে জয় পেয়েছে ভারত। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয় ছিল না ভারতের। সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে জিতেছে একাধিকবার। এবার রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানরা বিশাল জয়ে পাকিস্তানকে লজ্জা দিয়েছে।

পরপর দুই ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা ব্যাট-বলের দাপট দেখিয়েছে। বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ২৩৭ রানে আটকে রাখার পর ভারত জিতেছে ৯ উইকেট হাতে রেখে। ৬৩ বল আগে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে রোহিত শর্মার দল।

ভারতের জয়ের নায়ক দুই ওপেনার রোহিত ও ধাওয়ান। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে ২১০ রান করেন। এশিয়া কাপে উদ্বোধনী জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ ২২৪ রান করেছিলেন হাফিজ ও নাসির জামশেদ, ভারতের বিপক্ষে। ঢাকায় ওই ম্যাচেও হেরেছিল পাকিস্তান। এবারও ফল পাল্টেনি।

দুই ব্যাটসম্যানই তুলেছেন সেঞ্চুরি। ধাওয়ান ১০০ বলে ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রোহিত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১১৯ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১১১ রান করেন ভারতের অধিনায়ক।

পাকিস্তানের কোনো বোলার উইকেটের স্বাদ পায়নি। ধাওয়ান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ আমির, হাসান আলী, শাদাব খান কেউই দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। তাদের বাজে বোলিংয়ে পাকিস্তানকে বড় হারের লজ্জা পেতে হয়েছে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। লেগ স্পিনার চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হন ১০ রান করা ইমাম। এরপর দলকে ৫৫ রান পর্যন্ত টেনে নেন ফখর ও বাবর। ৪৪ বলে ৩১ রান করা ফখরকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন কুলদ্বীপ। ৩ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক সরফরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর (৯)। গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটসম্যান হারিয়ে আবার চাপে পড়ে পাকিস্তান।

চতুর্থ উইকেটে দলকে উদ্ধার করেন সরফরাজ ও শোয়েব মালিক। দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে রানের চাকা সচল থাকে পাকিস্তানের। তবে মন্থর গতিতে রান তুলেছেন তারা। ভারতের স্পিনারদের সামলাতে বেগ পেতে হয় দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থেকে কুলদ্বীপের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সরফরাজ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়ে কভারে রোহিতের হাতে ক্যাচ দেন। ৬৬ বলে মাত্র ২ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

অপরপ্রান্তে থাকা মালিক ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়ার পর ইনিংস বড় করতে থাকেন। কিন্তু ৪৩তম হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। বুমরাহর লেগ স্ট্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন ৭৮ রানে। ৯০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান মালিক।

এরপর আসিফ আলীর ২১ বলে ৩০, শাদাব খানের ১৬ বলে ১০ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৬ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ২৩৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

ভারতের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন বুমরাহ, চাহাল ও কুলদ্বীপ।    

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়