‘নকল ডিম বলে কিছু নেই’
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেছেন, নকল ডিম বলে আদৌ কিছু নেই।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত নকল ডিম নিয়ে আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। নকল ডিম বলে আদৌ কিছু নেই। কারণ, একটা নকল ডিম তৈরি করতে যে পরিমাণ খরচ, তার চেয়ে স্বাভাবিক ডিম উৎপাদনে খরচ কম।
শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হীরেশ রঞ্জন বলেন, এটা মূলত ডিমের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির মানুষের গুজব। যারা গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিম খাওয়ার কোনো বয়স নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ডিম খেতে পারেন। স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বেশি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপুষ্টির চিত্রও আমূল পাল্টে যাবে। নকল ডিম নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে নকল ডিম নেই। বাণিজ্যিকভাবে নকল ডিম উৎপাদন সম্ভব নয়।
বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, বাচ্চারা যেন সপ্তাহে অন্তত দুটি ডিম খায় তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েক বছরে ডিমের দাম না পেয়ে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া, ‘এইচ৯এন১’ ভাইরাসের সংক্রমণে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। দেশে ডিমের উৎপাদন কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। তবে উদ্যোক্তারা উৎপাদন বাড়াতে নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।
এর আগে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালি হয়। র্যালিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড় হয়ে সিরডাপ মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ৩০ হাজার সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়েছে। এসওএস শিশু পল্লী, স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানা, ঢাকা অরফানেজ সোসাইটির শিশুদের জন্য এবং প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে ১৫ হাজার ডিম দেওয়া হয়েছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন