ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাব্বীকে সুযোগ দিতে চান মাশরাফি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাব্বীকে সুযোগ দিতে চান মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরে আসছিলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বী।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। তাই কিছুটা মন খারাপ! তবে পরিচিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হলেন। কথা বললেন হাসিমুখে। রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি টপঅর্ডার। চাতারার লাফিয়ে উঠা বলে ব্যাট সরাতে পারেননি। চার বলে করেন শূন্য রান।

নিজের আউট নিয়ে রাব্বীর ভাষ্য,‘প্রথম তিন বল তো সামনেই খেললাম। পরের বলটাও একই লাইনে ছিল। কিন্তু হঠ্যাৎ লাফিয়ে এল। আমাকেও ব্যাকফুটে খেলতে হল। কিছু আসলে করার ছিল না।’ ‘দুঃখ’ করেই নিজের আউটের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন ৩০ বছর বয়সি রাব্বী। একযুগেরও বেশি সময় ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এসে কাঙ্খিত সুযোগ পেয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচেও ভালো করতে পারেনি। প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যর্থ। তাই মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার সুযোগ মিলবে কিনা তাও অজানা। তবে নিকট অতীতে টিম ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন কোনো খেলোয়াড়কে এক বা দুই ম্যাচে দেখার পক্ষে নন তারা। এর আগে এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার কিংবা সাব্বির রহমানরা পেয়েছে একাধিক সুযোগ। রাব্বীকেও সেই সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মাশরাফি।  



‘ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই মনে করি আরেকটি সুযোগ পাওয়া উচিত। একটা ম্যাচ দিয়ে বিচার করা কঠিন। যদি আপনি বলেন তাকে নেওয়া হলো কেন? তাহলে বলতে পারেন এটা একটা ভুল! কিন্তু নেওয়ার পর অবশ্যই আমি মনে করি তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ একটা ম্যাচ দিয়ে তাকে বিচার করা উচিত নয়। যে বলে আউট হয়েছে সেটাতে ওকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। তাই রাব্বী আরেকটি সুযোগ ডিজার্ভ করে। আমি যদি রাব্বীর জায়গায় থাকতাম তাহলে প্রত্যাশা করতাম যে আমি সামনের ম্যাচে খেলব। এটা রাব্বীর অবস্থান থেকে বলছি। আমার কাছ থেকে অবশ্যই মনে যে, একটা সুযোগ ও ডিজার্ভ করে।’- বলেন মাশরাফি।

তবে এ সিদ্ধান্তটা তার একার কোর্টে নয় সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক,‘সবার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচক আছেন, টিম ম্যানেজম্যান্ট আছে…একা দায়িত্ব নিয়ে তো আর খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। আমরা নিকট অতীতে সব খেলোয়াড়কে ব্যাকআপ করেছি। যতটুকু সম্ভব হয় করেছি। আবার আমাদের বিলাসিতা করার সুযোগও নেই। ওটাও মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু ব্যাকআপ করেছি, এখনও করছি তাই তাকে পূর্ণ সমর্থন দিতেই হবে। যতদূর সম্ভব তাকে সহযোগিতা করা হবে।’

আন্তর্জাতিক অভিষেকে যে চাপগুলো শুরুতে খেলোয়াড়দের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় সেসব নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি। অধিনায়কের মতে, ‘প্রথম চাপ ক্যামেরা। একটা খেলোয়াড় যখন জানে যে, টিভিতে খেলাটা দেখানো হচ্ছে তখন অটোমেটিক চাপ চলে আসে। তারপরে ঘরের মাটিতে খেলা হলে দর্শকচাপ তো থাকেই। আর আমাদের যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে…সেগুলোও চাপ হয়ে দাঁড়ায়। গণমাধ্যম আছে, টিম মেট আছে ও পরিবার আছে। এসব চাপ তো ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। কেউ হয়তো খোঁজও রাখে না। এখানেই আন্তর্জাতিকের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যবধান অনেক বড়। সেই ব্যবধান কিন্তু ১৯-২০ ও না! আমাদের প্রথম শ্রেণির সঙ্গেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যবধান অনেক বড়।’



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৩ অক্টোবর ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়