ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নার্ভাস ছিলেন মুশফিক

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ১২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নার্ভাস ছিলেন মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। আজ সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ১৯৯ রানে খেলেছেন সাত-সাতটি বল। এরপর ১ রান দিয়ে পূর্ণ করেছেন নিজের ডাবল সেঞ্চুরি। ১৯৯ রানের সময় নার্ভাস ছিলেন মুশফিক। শুধু মুশফিক কেন? ৯৯ রানে যেকোনো ব্যাটসম্যানের নার্ভাস হওয়াটা স্বাভাবিক। এমনকী শচীন টেন্ডুলকারের মতো ব্যাটসম্যানও নার্ভাস নাইন্টিজে ভুগেছেন অনেকবার।

দিনশেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘নব্বই এর ঘরে আমার মনে হয় না এমন কেউ আছে যে নার্ভাস ফিল করে না। যদি খেয়াল করে দেখেন, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার; তিনিও অনেকবার নব্বই এর ঘরে আউট হয়েছেন। যদিও আমি তাঁর পর্যায়ে যাইনি। একজন মানুষ ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেই সময়টায় বুঝা যায়। এটা কন্ট্রোলে আনার বিষয়। আর সেটাই চেষ্টা করেছি। আমার মাথায় ছিল আরেকটু হার্ড ওয়ার্ক করলে দুই’শ হতেই পারে। তারচাইতে বড় ছিল বিশ্বাস করে যাওয়া। এটাই চিন্তা করেছি, আর এমন না যে ডাবল সেঞ্চুরি না হলে আমি কালকেই মারা যাব। এটা খেলার অংশ। কপালে থাকলে অবশ্যই হবে, না থাকলে কিছু করার নেই। চেষ্টাটা শুধু আমার হাতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টেস্ট খেলতে গেলে ধৈর্য্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন মিরপুরের উইকেটে খেলবেন ব্যাটসম্যান হিসেবে কখনও বলতে পারবেন না পরে কি আসছে। তবে এটা আজকে আমার জন্য বাড়তি সুবিধা ছিল। কারণ, অন্যান্য উইকেটে দেখা যায়, আমি অন্যান্য শট খেলতে যেতাম বা ভাবতাম এই বলটা এদিক খেলি। সে তুলনায় আমাকে এই উইকেটে প্রতিটি বলে গভীর মনোযোগ দিতে হয়েছে। কারণ, এখানে নতুন বা পুরান যে বলই হোক হঠাৎ করে বাড়তি বাউন্স করেছে বা নিচু হয়ে গেছে। এখানে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। আর এই ব্যাপারটা এক দিক থেকে আমাকে সাহায্য করেছে।’

মুশফিকের মতো মনোযোগের ব্যাপারটা সাধনার ব্যাপার। আর এই মনোযোগটা সব সময় আসে না। কিন্তু তিনি সব সময় চেষ্টা করেন মনোযোগ ধরে রাখতে, ‘মনোযোগের ব্যাপারটা সাধনার ব্যাপার। আর এটা সব সময় আসে না। আমি অনুশীলন সেভাবেই করা চেষ্টা করি যেন ম্যাচে এই ব্যাপারটা পাই। চেষ্টা করি মনোযোগ ধরে রেখে যত বেশিক্ষণ সম্ভব নেটে ব্যাটিং করার। যদি আউট না হলে ব্যাটিং করতে পারি সেটা আমাকে ম্যাচ খুব সাহায্য করে। একেক জনের প্রস্তুতি একেক রকম, তো আমার প্রস্তুতিটা এরকম। এটা আমাকে বড় একটা আত্মবিশ্বাস দেয় যে, আমি আমার কাজটা করেছি। সব ঠিক থাকলে আশা করি ম্যাচেও বাস্তবায়ন করতে পারব।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ নভেম্বর ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়