এবার চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেবে ওয়ালটন
ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের শিরোপা দুবার ঘরে তুলেছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।
ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ওয়ালটন। দুই আসর পর ওয়ালটনের সাফল্যের মুকুটে যোগ হয় আরেকটি পালক, শোকেসে উঠে আরেকটি শিরোপা। সেই সাফল্যধারা গত আসরে ধরে রাখতে পারেনি দলটি। পরীক্ষিত পারফর্মারদের ইনজুরি ও দলের ভারসাম্য না থাকায় পয়েন্ট টেবিলের চারে থেকে বিসিএল মিশন শেষ করেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি।
২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে বিসিএলের সপ্তম আসর। প্রথম রাউন্ডে ওয়ালটনের প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এবার নতুন উদ্যেমে দল গুছিয়ে মাঠে নামছে ওয়ালটন। নিজের জোনের সেরা ৬ খেলোয়াড়কে আগেই দলে ভিড়িয়েছে তারা। শনিবার খেলোয়াড় ড্রাফট থেকে স্কোয়াডে নিয়েছে আরও ১২ ক্রিকেটারকে। সব মিলিয়ে ২০ জনের স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ওয়ালটন পরিবারে ফিরে এসেছেন কোচ জাফরুল এহসান। তার হাত ধরেই দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছিল ওয়ালটন।
নিজের দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট কোচ এহসান,‘ওয়ালটন ভালো দল হয়েছে। খুব চেষ্টা করবো ভালো কাজ করতে।’ নিজের প্রত্যাশার কথা শোনালেন উচ্ছ্বসিত হয়ে,‘অবশ্যই এ দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। আমি যেখানেই কাজ করি চেষ্টা করি দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে। আর কোনো সুযোগ নেই। এখানে আর কোনো অপশন নেই। এখানে রেলিগেশন নেই। তাই বাঁচা-মরার কোনো প্রশ্ন আসে না। শুধু একটাই চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এবার ওয়ালটন চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেবে।’
জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার লিটন কুমার দাশকে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে ওয়ালটন। সাথে আছেন জাতীয় দলের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দল রিটেইন করেছে সাদমান ইসলাম অনিককে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ১০ ইনিংসে ৬৪.৮০ গড়ে সাদমান রান করেছেন ৬৪৮। এছাড়া মার্শাল, মোশাররফ রুবেলকেও রিটেইন করেছে ওয়ালটন।
নতুন করে এ দলে যুক্ত হয়েছেন মোসাদ্দেক, রবিউল হক, জাকির আলী অনিকের মতো তরুণ খেলোয়াড়রা। পেস বোলিং বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। আবু হায়দার রনি জাতীয় দলের পরীক্ষিত পারফর্মার। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল, শহিদুল ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত দ্যুতি ছড়াচ্ছেন।
কাগজে-কলমে ওয়ালটনকে সেরা মানলেও আসল কাজটা মাঠে ভালো পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন এহসান,‘আমার হাতে ভালো খেলোয়াড় আছে। ফলাফলটা আমার হাতে নেই। প্রসেসটা ঠিক মতো ফলো করলে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব। সবাই যেন ভালো সুযোগ সুবিধা পায়,,,ভালোভাবে পরিবেশ ঠিক করে ভালোভাবে খেলার চেষ্টা করবো।’
শেষ বার চতুর্থ হয়ে শেষ করেছিল ওয়ালটন। এবারও দলকে শীর্ষে উঠানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন এহসান,‘এর আগেও যখন আমি এ দলটার দায়িত্ব নেই তখনও দলটা চারে ছিল। ইউ নেভার নো ওয়াট উইল হ্যাপেন। এটা বলবো না যে, এবারও চ্যাম্পিয়ন হবেই হবে! কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে। আমরা শতভাগ চেষ্টা করবো।’
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের স্কোয়াড: সাদমান ইসলাম, আবু হায়দার রনি, শুভাগত হোম, তাইবুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মার্শাল আইয়ুব, নাজমুল হোসেন শান্ত, রবিউল হক, আব্দুল মজিদ, শহীদুল ইসলাম, জাকের আলী, আরাফাত সানী, মোসাদ্দেক হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল, সাইফ হাসান, শরীফউল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, লিটন দাস, জাবিদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ।
প্রথম রাউন্ডে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের দল: সাদমান ইসলাম, আব্দুল মজিদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস,জাকের আলী, মার্শাল আইয়ুব, শুভাগত হোম, তাইবুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল,আবু হায়দার রনি, রবিউল হক, শহীদুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, আরাফাত সানী, সালাউদ্দিন শাকিল।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ নভেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন