ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘অগ্রাধিকার পাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও কল্যাণ’

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অগ্রাধিকার পাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও কল্যাণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নতুন সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মানুষের কল্যাণই অগ্রাধিকার পাবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের সুফল পেয়েছে বলেই মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদের বিভ্রান্তি এবং ভুল রোববারের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী।

সোমবার বিকেলে ঢাকায় গণভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নতুন সরকার হিসেবে শপথ নিয়ে কাজ শুরুর পর কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে বিদেশি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ হলো প্রধান বিচারক। ভালো মন্দ বিচার করেই জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে।’ 

বিএনপির এত কম আসন পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। যারা নির্বাচনে পাস করার মতো ক্যানডিডেট মনোনয়ন না দিয়ে টাকা নিয়ে অন্যদের মনোনয়ন দিয়েছে।’

তিনি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘ধামরাইয়ে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা জিয়াউর রহমান, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার ও সিলেটের ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মতো জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে এমন কিছু নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে; যাদের এলাকার মানুষ চেনে না। এমনিভাবে সারাদেশেই কোনো কোনো স্থানে তিন চারজনও ছিল তাদের প্রার্থী। প্রকৃত পক্ষে কে নির্বাচন করতে পারবে সেটাই তাদের অনেক প্রার্থী বুঝেই উঠতে পারেনি। এ ছাড়াও তাদের আরও অনেক দুর্বলতা ছিল। যে কারণে ঐক্যফ্রন্টের এমন ভরাডুবি হয়েছে।’

এ বিপুল বিজয়ের পেছনের ম্যাজিকটা কী? বিদেশি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ম্যাজিক কিছুই না। দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সে জন্য কাজ করেছি। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষিতের হার বেড়েছে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে ডিগ্রি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা ফ্রি করা হয়েছে।’



‘এ ছাড়া শিশুকে যাতে স্কুলে পাঠায় সে জন্য মায়ের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার হার বেড়েছে। যুবকদের জন্য চাকরির ব্যবস্থাসহ ট্রেনিং দিয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করার কারণে চাকরির সুযোগ বেড়েছে। এ ছাড়া মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে গেছে, ইত্যাদি কারণে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। যে কারণে মেজরিটি আসন পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশবাসী যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। সেজন্য স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই করেছি।’

বিএনপি’র নেতৃত্বের শূন্যতার প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, এটাই ছিল তাদের প্রধানতম দুর্বল দিক। কারণ তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান পলাতক তারেক রহমানও বিদেশে অবস্থান করছেন। কারণ ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে।

‘জনগণ জানেই না বিরোধী দলের নেতা কে, যদিও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বিরোধী ঐক্য জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাদের মূল শরিক বিএনপি,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি সকলেরই প্রধানমন্ত্রী। সকলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করব।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ ডিসেম্বর ২০১৮/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়