আত্মহত্যায় প্ররোচনা : স্বামীর কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৈয়দা অনামিকা ওরফে সোমাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে তার স্বামী মনিরুজ্জামান পলাশকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার আগে মনিরুজ্জামান পলাশকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন জাহানাবাদের কায়সার আহমদের মেয়ে সৈয়দা অনামিকা ওরফে সোমার (২৬) বিয়ে হয় ২০০৪ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়ার মোক্তারুজ্জামান মোল্লার ছেলে মনিরুজ্জামান পলাশের সঙ্গে। মনিরুজ্জামান পলাশ ৫ লাখ টাকা যৌতুকর জন্য সোমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। নির্যাতন সইতে না পেরে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সোমা শ্বশুরবাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনায় ওই বছর ১৬ অক্টোবর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন সোমার বাবা।
মামলা তদন্তের পর ২০১১ সালের ২১ আগস্ট সিআইডির ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন ভুইয়া চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন