ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুশফিক-মোসাদ্দেকের ব্যাটে শীর্ষে চিটাগং

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুশফিক-মোসাদ্দেকের ব্যাটে শীর্ষে চিটাগং

ক্রীড়া প্রতিবেদক, মিরপুর থেকে : দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আরেকটি ফিফটি করলেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেললেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই দুজনের ব্যাটে রাজশাহী কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল চিটাগং ভাইকিংস।

বুধবার মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করেছিল রাজশাহী। চিটাগং সেটি পেরিয়ে যায় ২ বল বাকি থাকতে।

সপ্তম ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে চিটাগং। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা ঢাকা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিন্সের পয়েন্ট সমান ১০। অষ্টম ম্যাচে চতুর্থ হারে পাঁচে আছে রাজশাহী।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। বিপিএলের শুরু থেকেই রানের জন্য ধুঁকতে থাকা সৌম্য সরকার দুই ম্যাচ পর ফিরেছিলেন একাদশে। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ব্যর্থ আরো একবার। তৃতীয় ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্ককে সুইপ করার চেষ্টায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সৌম্য ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রানে। পরের ওভারে খালেদ আহমেদকে উড়াতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন মার্শাল আইয়ুব (১)।

আগের ম্যাচে বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করা লরি এভান্স অবশ্য এদিনও ছিলেন সাবলিল। আগের ম্যাচে মতো এদিনও রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ডেসকাটকে ফিরিয়ে ৫৬ রানের এ জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। পেসারকে ছক্কায় উড়াতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ইয়াসির আলীর দারুণ এক ক্যাচে ফেরার আগে ২০ বলে ৪ চারে ডাচ ব্যাটসম্যান করেন ২৮ রান।

এরপর দ্রতই ফেরেন জাকির হাসান (৫)। পঞ্চম উইকেটে ক্রিস্টিয়ান ইয়নকারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোর একশ পার করেন ইভান্স। সেই সঙ্গে তিনি নিজে ফিফটি তুলে নেন ৪৫ বলে। ফিফটির পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ইভান্স। আবু জায়েদকে এক ওভারেই হাঁকান তিনটি চার। খালেদকে উড়ান ছক্কায়। সেই খালেদকেই পুল করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩১ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭৪ রান।

ইভান্সের বিদায়ের পর দলের স্কোর দেড়শ পার করার কৃতিত্ব ইয়নকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের। শেষ দুই ওভারে দুজন যোগ করেন ৩৬ রান! রাজশাহী শেষ পাঁচ ওভারে ইভান্সের উইকেট হারিয়ে তোলে ৭১ রান। ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়নকার। ৪ বলে ২ চারে মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।

চার ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়ে চিটাগংয়ের সেরা বোলার খালেদ। ফ্রাইলিঙ্ক, আবু জায়েদ ও সানজামুল ইসলামের ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় চিটাগংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট (১)। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ চতুর্থ ওভারে কামরুল ইসলামকে টানা চারটি চার হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। পরের ওভারেই শাদজাদসহ ইয়াসির আলীর উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে বড় ধাক্কা দেন আরাফাত সানী। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পড হয়েছেন ইয়াসির (৩)। ছক্কায় উড়াতে গিয়ে লং অফে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দেন শাহজাদ (১৭ বলে ২৫)।

৩০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও নজিবুল্লাহ জাদরান। ১৯ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করা জাদরানকে ফিরিয়ে এ জুটিও ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার সানী।

এরপর মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৫৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৮ রানের জুটিতে বাকি কাজটা সেরেছেন মুশফিক। শেষ চার ম্যাচের মধ্যে মুশফিক তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৯ বলে। ১৩ বলে ১৮ রানের প্রয়োজনে বাউন্ডারিতে অবশ্য ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু ক্যাচ তো নিতে পারেননি উল্টো সেটিকে ছক্কা বানিয়ে দেন ইয়নকার। ৪৬ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ২৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়