হলি আর্টিজানের মামলায় সাক্ষ্য ১৯ ফেব্রুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই দিন ঠিক করেন।
এদিন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এজন্য হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত তৎকালীন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের বড় ভাই রাজিউদ্দিন খান সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন। কিন্তু এ মামলায় পলাতক আসামি শরিফুল ইসলাম অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। এজন্য তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।
এদিন কারাগারে থাকা আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান অসুস্থ থাকায় উন্নত চিকিৎসার আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
আসামিরা হলেন-তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ৬ জন কারাগারে আছেন। মামলার অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদকে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের একটি বাস থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাকে হলি আর্টিজান রেষ্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
পলাতক আরেক আসামি শরিফুল ইসলামকে গত ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাজধানীর মুগদা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের এক মামলায় আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ড শেষে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে আছেন।
মামলাটিতে গত ৮ আগষ্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। চার্জশিটে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন