ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে আল মাহমুদের জানাজা

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে আল মাহমুদের জানাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের জানাজা শনিবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। আল মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী কবি আবিদ আজম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় কবি আল মাহমুদকে বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। এরপর সোয়া ১২টার দিকে তাকে নেওয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর কবিকে বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার রাত ১১টা ৫মিনিটে ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ‘সোনালী কাবিন’খ্যাত আল মাহমুদ। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

নিউমোনিয়া ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি আল মাহমুদকে ধানমন্ডির শঙ্করের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা কবি আল মাহমুদকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন।

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সক্রিয় থেকে যিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাকভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবিও তিনি। এ ছাড়া, তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

কবি আল মাহমুদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাইস্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করে ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা শুরু করেন এবং একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।

কবি আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আল মাহমুদ।

লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

আল মাহমুদ ১৯৫৪ সালে লেখালেখির সূত্র ধরে ঢাকা আসেন। কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তার কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে স্থান করে দেয়।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়