নরসিংদীর ৩টিতে আ’লীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী

নরসিংদী প্রতিনিধি : জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলা পরিষদের (রায়পুরা, বেলাব, মনোহরদী, শিবপুর) নির্বাচন রোববার (২৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে তিনটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের বিজয়ী তিনজন হলেন- বেলাবতে সমশের জামান ভূঁইয়া রিটন, মনোহরদীতে সাইফুল ইসলাম খান বীরু ও শিবপুরে হারুন অর রশিদ খাঁন। আর রায়পুরায় বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাদেক।

বেলাব উপজেলায় নৌকা প্রতীকে ৪৪ হাজার ৫ শত ১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সমশের জামান ভূঁইয়া রিটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতিকের আমানুল্লাহ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬২৯ ভোট।

এছাড়া চশমা প্রতীকে ২২ হাজার ৪ শত ৮০ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. মনিরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রজাপতি প্রতীকে ২১ হাজার ২০০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন শারমীন আক্তার খালেদা।

মনোহরদীতে নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম খান বীরু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) টেলিফোন প্রতীকে হাবিবুর রহমান রঙ্গু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৫৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে এইচ এম ইকবাল আহমেদ তালা প্রতীকে ৩৮ হাজার ৭১৬ ভোট ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরোজা সুলতানা প্রজাপতি প্রতীকে ৩৬ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

শিবপুরে হারুন অর রশিদ খাঁন ৫১ হাজার ১ শত ৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) আরিফুল ইসলাম মৃধা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯০ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে শরীফ সারোয়ার জুয়েল ২৪ হাজার ৬৮৩ ভোট ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাপসী রাবেয়া ফুটবল প্রতিকে ২৬ হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এয়াড়া রায়পুরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাদেক আনারস প্রতীকে ৬০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৩৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোমেন মিয়া চশমা প্রতীকে ৪৯ হাজার ৪৬ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাহমিনা মানিক হাঁস প্রতীকে ৪৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও চার উপজেলায়ই তুলনামূলকভাবে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

চার উপজেলায় মোট ৪১২টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৮ শত ৮০টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ১১ প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে র‌্যাবের মোবাইল টিম ও পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।



রাইজিংবিডি/নরসিংদী ২৫ মার্চ ২০১৯/গাজী মাহমুদ/এনএ