ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাংসভোজীরা যৌন অপরাধ করে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৮ নভেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাংসভোজীরা যৌন অপরাধ করে!

রাইজিংবিডি২৪.কম:

‘মাংসভোজীরা মিথ্যা বেশি বলে, সহজেই প্রতারণা করে, প্রতিজ্ঞা ভুলে যায়, এমনকি যৌন অপরাধেও জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে বেশি’- চমকাবেন না, প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রনীত একটি পাঠ্যপুস্তকের ভাষ্য এ রকমই।

“নিউ হেলথওয়ে” নামের পাঠ্যপুস্তকটি ১১-১২ বছরের কিশোর কিশোরীদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধির ওপর রচিত। বইটির প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘এস চান্দ’।

এদিকে বইটি প্রকাশের পরপরই ব্যাপক বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে ভারতের সচেতন মহলে। শিক্ষাবিদরা ইতিমধ্যেই বইটির বিতর্কিত অংশগুলোকে কোমলমতি বালক-বালিকাদের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানান তারা।

তবে বিভিন্ন মহল থেকে বইটির ব্যাপারে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিন্তু এখনও নীরব। সরকারের ভাষ্য, ‘পাঠ্যপুস্তক নির্বাচনের দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের, তাদের নয়’।

এ প্রসঙ্গে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোনাকি রাজন বলেন, ‘এটা শিশুদের ওপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলবে।’

এ ব্যাপারে সরকারের উপযুক্ত হস্তক্ষেপ দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার  ক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু ইচ্ছে করেই বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে সরকার।’

বইটিতে “আমাদের মাংস খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি?” শীর্ষক একটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, “মাংস আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান নয়, এর স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দেওয়া যাবে। এমনকি পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম ও হাওয়ার খাদ্য তালিকাতেও মাংস ছিল না। তারা খেতো ফল, বাদাম ও সবজি।”

অধ্যায়টিতে সবজি খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে এবং অ-নিরামিষভোজীদের কিছু বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অ-নিরামিশভোজীরা সহজেই প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে, অসৎ হয়, চুরি করে, এমনকি যৌন অপরাধে তাদের জড়িয়ে পড়ার হার বেশি।’

অধ্যায়টিতে মাংসভোজী হওয়ার অপকারীতা তুলে ধরে বলা হয়, প্রচুর পরিমানে মাংস খাওয়ার কারণেই ‍আসলে এক্সিমোরা অলস হয় এবং স্বল্পায়ু লাভ করে। অন্যদিকে, রুটি ও খেজুরের মত নিরামিষ খাওয়ার কারণেই সুয়েজ খাল তৈরির সময় মাংসভোজী ব্রিটিশদের থেকে আরবরা বেশি কাজ করতে পারত।’

এ ব্যাপারে বইটির প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়