ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চাঁদের আলোয় ঝলমল ঝাউবনে

ফেরদৌস জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাঁদের আলোয় ঝলমল ঝাউবনে

(চর থেকে চিরসবুজের ডাকে: ৯ম কিস্তি)
ফেরদৌস জামান : ঘাট বলতে কেবল একটি মাত্র যাত্রীবাহী নৌকার যাতায়াত। নিকটেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলারগুলো জটলা করে রাখা। মাছ ধরে কেউ ফিরল তো কেউ যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। নৌকাটি ভেড়ানো হয়েছে সেতুর গোড়ায়। প্রায় একশ মিটার দীর্ঘ সেতু, দ্বীপকে উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যে নির্মিত। দুপাশে সংযোগ পথ বিহীন সেতুটি পানির মধ্যে কত দিন হলো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কে জানে? বাঁশের উপর দিয়ে কোনোমতে সেতুতে পা রাখার অনুভূতি মন্দ নয়। আরো ভালো লাগে নিঃসঙ্গ সেতুর উপর খানিকক্ষণ হাঁটতে ও রেলিং ধরে দাঁড়াতে।

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে নিঃসন্দেহে এই সেতুর উল্লেখ করা যেতে পারে। আঙুল দিয়ে একটু শক্ত করে ঘষা দিলে কংক্রিটের রেলিং থেকে ঝুরঝুর করে বালি খসে পড়ে। নিচে সার করে রাখা একের পর একটি নৌকার উপর দিয়ে সেতুর নিচের দিকটায় যাওয়া যায়। গিয়ে যা দেখা গেল তাতে আমার মতো পর্যটক শুধু নয়, যে কেউই পুলকিত না হয়ে ফিরতে পারবে না। নৌকার মাঝির মতো অন্যরাও আশায় বুক বেঁধে আছে, কবে সেতুটি চালু হবে? যেদিন বাস-ট্রাক অনায়াসে চলাচলক করবে, পরিবর্তিত হবে জীবনযাত্রার মান।

অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ধীরে ধীরে নৌকায় উঠতে শুরু করল। তাড়াহুড়ো না করে আমরাও উঠে পড়লাম। মানুষের বেশ চাপ, তার উপর দিয়ে তোলা হয়েছে খড়ি-লাকড়ি ও চালের বস্তা। গতকালই বোধহয় নৌকা বোঝাই করে গরু পরিবহণ করা হয়েছে। চোনা-গোবরের রেশ এখনও বিদ্যমান। দুর্গন্ধে বসে থাকা প্রায় অসম্ভব। মানুষের ভিড়ে অনেক কায়দা করে একটি চালের বস্তার ওপর বসার সুযোগ মিলে গেল। রোদ উঠেছে বেশ। সম্মুখের গুলুইয়ে বসা লোকটি এত মানুষের মধ্যে হৃদয়হীনের মতো ছাতা মেলে আরাম করে বসে আছে। দ্বিতীয় কৌশলের প্রয়োগে সফল হয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গল্পে গল্পে তার ছাতার শীতল ছায়ায় এক টুকরো জায়গা করে নিতে সক্ষম হলাম। ছাতার নিচে জায়গা যখন মিলেই গেছে, এখন একটু গল্প করা উচিৎ। মুরব্বীর দূরদৃষ্টির প্রসংশা করতে হয়। বললেন, এই দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর না কি ছাই হবে। তার আগেই সদরে নিরাপদ জায়গা দেখে বাড়ি করে নিয়েছি। কাজ শুরু হলে ঘটিবাটি আর বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কোথায় যাব? এখন সমুদ্র বন্দর হোক আর বিমান বন্দর, পাততারি গুটিয়ে টুপ করে পালাব।



প্রশস্ত খালের দুপাশে জঙ্গল, জঙ্গলের তলানীজুড়ে শ্বাসমূলের চমৎকার বিন্যাস। ভেতর থেকে সরু খাল এসে মিশেছে বড় খালটায়। পানিতে ভাটার টান ধরেছে, ভেসে আসছে ছোট ছোট রুপালি মাছ। সেই আকর্ষণে নিকটেই গাছের ডালে ফাঁদ পেতে বসে আছে বক আর পানকৌড়ি। তাদের ফাঁকি দিয়ে ফুরুৎ করে উড়ে এসে চৌকশ মাছরাঙ্গার মাছ ধরে পালানোর দৃশ্য অসাধারণ বটে। দুএক দিন পরপরই বৃষ্টি চলমান কিন্তু আজ আকাশে মেঘ নেই, যেন শরৎ কালের নীল আকাশ। নৌকা ঢুকে যাচ্ছে এক খাল থেকে আরেক খালে। মুরুব্বী জানান, জঙ্গলের ভেতর হরিণ রয়েছে, মাঝেমধ্যে বের হয়ে আসে। গল্পে গল্পে পৌঁছে গেছি দ্বীপে। ভাটায় পানি অনেক নিচে নেমে গেছে। নৌকা থেকে হাঁটু পানিতে নেমে কাদা মাড়িয়ে যেতে হলো। দেখলাম আমাদের বরণ করতে দাঁড়িয়ে আছেন মোহাম্মদ ভাই। তিনি পূর্ব পরিচিত হওয়ায় আপাতত তার বাড়িই আমাদের ঠিকানা।

বাড়িতে নিয়ে গাছ থেকে সদ্য পারা দুটি ডাব কেটে দিলেন। সমস্ত শরীর ঠান্ডা করে প্রাথমিক আলাপ সেরে গোসল করতে চাইলে বলল, বাড়ির চাপকল নষ্ট। যেতে হবে মসজিদের কলপাড়ে। গোসল সেরে ঝরঝরে হয়ে বললাম, সৈকতে যাব। বিশ মিনিটের দূরত্ব। বসতি ছেড়ে বেরিয়ে এগুতে হলো বালির ঢিবির মাঝ দিয়ে। জলোচ্ছ্বাস বা ঘুর্ণিঝড়ে সাগর থেকে বালি উঠে এসে এ সমস্ত ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। আগের তুলনায় দ্বীপের পয়োব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উন্মুক্ত জায়গার পরিবর্তে তৈরি হয়েছে পায়খানা। সেক্ষেত্রে ঢিবিগুলোকে তারা উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। বাঁশের মাচায় তৈরি চট অথবা পুরনো কাঁথায় ঘেরা পায়খানা। মাচার নিচে কোনো গর্ত নেই। দশ-পনেরো দিনের সমস্ত বর্জ্য সেভাবেই রয়েছে। দুচার দিন পর জায়গার জিনিস জায়গায় পরে থাকবে শুধু মাচাটা তুলে নিয়ে অন্যত্র বসানো হবে।



লক্ষ্য করলাম, এখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা যার পর নেই খারাপ। ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় এর চেয়ে অধিক স্বাস্থ্য অসচেতন জায়গা দ্বতীয়টি দেখিনি। প্রায় শতভাগ শিশু-কিশোরের শরীরের তুলনায় পেট বড়। একটি শিশু সামনে এলে সর্বপ্রথম ওই পেটটিই চোখে পড়ে। এছাড়াও নাকে সর্দির ঝুল এবং মুখে ঘা স্বাভাবিক একটি বিষয়। নারীদের বেলায় এক কথায় কারো শরীরে মাংস নেই- এ যেন কোনো মতে বেঁচে থাকা। বিশ-বাইশ বছরের একেকজন নারী কমপক্ষে তিন সন্তানের জননী। আর পুরুষের কথা তো বলাবাহুল্য- প্রত্যেকেই মৎস্যজীবী। বছরের পর বছর সমুদ্রের জলে মাছ শিকার করে তাদের বর্ণ তামাটে অথবা কুচকুচে কালো হয়ে গেছে। দেশে এত এত এনজিও; জনপ্রতি বেটে দিলে বোধহয় এক-দুটি করে ভাগে পরবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষগুলোর হিতাকাঙ্ক্ষায় তাদের চোখের ঘুম হারাম। অথচ তারা থাকা সত্বেও এখানকার মানুষের সার্বিক স্বাস্থ্যের একি দুরবস্থা!

মরুভূমির মতো নিখাঁদ বালির পাথার পেরিয়ে সারি সারি ঝাউগাছ। গাছের ফাঁক দিয়ে দৃষ্টি সীমায় ধরা দেয় সমুদ্রের ঢেউয়ের অনবরত আছড়ে পড়ার দৃশ্য। দূর দিয়ে ভেসে যায় মাছ ধরা ট্রলার। বাঁধের মতো উঁচু পাড়ের অনেকখানি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। সাথে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে অসংখ্য ঝাউগাছ। প্রবল জোয়ারে উপড়ে পরা গাছগুলো জলধোয়া শেকড়গুচ্ছসহ সৈকতজুড়ে উল্টে পরে রয়েছে। খানিক দূরেই জেগে উঠছে নতুন চর। পূর্ণ ভাটায় তাতে হেঁটেই যাওয়া সম্ভব। আমার আসার সংবাদ পেয়ে দশ-বারো বছরের দুই কিশোর জাবের আর তৈয়ব দৌড়ে এসে হাজির। অতন্দ্র প্রহরীর মতো তারা পিছে পিছে হাঁটছে আর বর্ণনা করে যাচ্ছে ভরা বর্ষার জোয়ারে যখন পাড় ভেঙে ভেসে নিয়ে যাচ্ছে; তখন কতটা ভয় আর আতঙ্কে কেটেছে তাদের একেকটি দিন। শিক্ষার আলো থেকে এরা বঞ্চিত। দ্বীপের একমাত্র বিদ্যালয় বন্ধ। জানালা-দরজা ভাঙ্গা বিদ্যালয় কক্ষ দুটি আস্তাবলে রূপ নিয়েছে। তাতে গরু-ছাগলের অবাধ যাতায়াত। মাঝে মধ্যে বিশেষ কর্ম সাধনের নিমিত্তে বদনা হাতে মানুষেরও যাতায়াত ঘটে সেখানে। নিশ্চিতভাবেই অশিক্ষিত হয়ে বড় হতে চলা এই শিশুদের কথা কেউ ভাবে বলে মনে হয় না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কারো নেক নজরে পড়ে থাকলেও অহেতুক আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা যদি হয়; দেখা যাবে এই সময়ের মাঝ দিয়ে এক দুইটি প্রজন্ম অশিক্ষিত থেকেই বড় হয়ে উঠেছে। কে নেবে এদের এই পরিণতির দায়?

জাবের আর তৈয়ব কথা বলেই যাচ্ছে। কখনও কখনও তথ্য বিভ্রাট বা মতভেদ হওয়ায় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। এবার চানাচুর, বিস্কুট জাতীয় কিছু খাওয়া দরকার। পকেট থেকে টাকা বের করে দিতেই দুই ভাই মালকোচা মেরে দৌড়! এই সামান্য লোভটুকুর জন্যই হয়ত কিশোরদ্বয়ের পিছে পিছে ঘোরাঘুরি। সমুদ্রে মাছ শিকার করতে গিয়ে দস্যুদের দায়ের কোপে প্রাণ হারায় তাদের বাবা। তারপর থেকেই মায়ের যুদ্ধ শুরু। এখন মায়ের সাথে এর-ওর কাজে হাত লাগিয়েই তাদের দিন চলে। দুমুঠো ভাত জোটাবার যুদ্ধে নামতে হয়েছে এ বয়সেই। কঠিন বাস্তবতার সাথে লড়তে লড়তে প্রতিনিয়ত এমন কত জাবের-তৈয়বের শৈশব, কৈশর হাওয়ায় উড়ে যায় তার কোনো হিসাব নেই!



চানাচুর নিয়ে হাজির দুই ভাই। এদিকে সূর্যাস্তের সময় হয়ে এল। এই বিষয়টি নিয়ে বস্তাপঁচা একটি কাব্যিক বর্ণনা থাকা উচিৎ কিন্তু সে ইচ্ছা নেই। ইচ্ছা নেই বললে সঠিক বলা হবে না। আসলে যাই বলি না কেন তা চর্বিতচর্বন বিনা অন্য কিছু হবে না। মোহাম্মদ ভাইযের বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে আবারও ছুটলাম সৈকতের টানে। তিনি বলেছেন, বর্ষাকাল; জোয়ারের ঢেউ ঝাউবন উপচে এ-পাড়ে চলে আসে। সুতরাং, ঝাউবনে তাবু খাটিয়ে থাকা সম্ভব হবে না। তারপরও যদি থাকতে চাই ফোন দিলেই আমাদের সাথে থাকার জন্য চলে আসবেন। পূর্ণিমার রাত কি না জানা নেই তবে ভরাট চাঁদ বালির বুকে আমাদের স্পষ্ট ছায়া এঁকে দিয়েছে। বিকেলে দেখা এক-দেড়শ মিটার দূরের ঢেউ এখন ঝাউবন ছুঁই ছুঁই। স্রোতের সর্বশেষ পাতলা রেশটুকুতে পা ধুয়ে যাচ্ছে বারবার। পানি দ্রুতই চলে যাচ্ছে সমুদ্রে; আবারও ঢেউ হয়ে ফিরে আসবে বলে। এই সামান্য সময়ের ফাঁকটুকুতে চাঁদের আলোয় ঝলমল করে উঠছে সদ্য জল ধোয়া বালুরাশি।

অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় বসে সমুদ্র পাড়ের জ্যোৎস্না রাত উপভোগ করতে কোনো বাঁধা নেই। সমস্ত সৈকতে মানুষ বলতে কেবল আমরা দুইজন। দূর দিয়ে এগিয়ে যায় টিমটিমে আলোর মাছ ধরা ট্রলার। খানিক পরেই সেগুলো হারিয়ে যায় ঢেউয়ের আড়ালে- এই বুঝি ডুবে গেছে! রাত দশটা পেরিয়ে গেল, জোয়ার আরো ক্ষিপ্র রূপ ধারণ করল। ঢেউ এসে ছিটকে পড়ছে সম্মুখে। ঝাউবনের পাশ ধরে খানিক এগিয়ে হেলে পরা গাছটির ডালে বসে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চাওয়া দোষের কিছু নয়। বিরাট ঢেউয়ের ফেনায় অনবরত ভেসে গেল গাছের তলদেশ। কোনো কোনো ঢেউ-এর ছিটা শরীর সিক্ত করে দিল। তাতেও হার মানবার নয়, গাছের ডালে শক্ত করে বসে আছি। একেকটি ধাক্কায় নড়েচড়ে উঠছে গাছ, যেন এখুনি সব টেনে নিয়ে যাবে মাঝ সমুদ্রে, সাঙ্গ করে দেবে সব লীলা।

পরের দিন ভোরে গিয়ে দেখি সমুদ্র সরে গেছে আবারও পূর্বের জায়গায়। সম্মুখের চর পিঠ উঁচু করে রেরিয়ে পরেছে। হাঁটতে থাকলাম উত্তরে, যতদূর ঝাউগাছের সারি। গুড়ি গুড়ি বালি তোলা অজস্র কাকড়ার নকশা মাড়িয়ে হাঁটতে বড় মায়া হলো।  দুরন্ত লাল কাকড়ার ঝাক দূর থেকেই আমাদের অস্তিত্ব টের পেয়ে দ্রুত পালালো। কটকটে রোদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সৈকত। শুরু হলো জোয়ার। দেখলাম চারদিক থেকে জড়ো হচ্ছে চিংড়ি পোনা শিকারীর দল। বিশেষভাবে জাল পেতে শুরু হলো পোনা শিকার। লক্ষ কোটি মাছ ও সামদ্রিক প্রাণীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোনার মাঝ থেকে বেছে চিংড়ি পোনা আলাদা করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। দক্ষতার সঙ্গে এই কাজটির পর ডাঙ্গায় ফেলে দেয়া হয় লতা, গুল্ম ও শ্যাওলামিশ্রিত বাকি অন্য সব পোনা। বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের বিপ্লব  ঘটেছে, অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মূদ্রা। পরিণামে আমরা নিজেদের ভবিষ্যত ঠেলে দিয়েছি অপুরণীয় এক দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতির দিকে। এসব দেখার কেউ আছে বলে মনে হয় না। থাকলেও তারা কতটুকু সক্রিয় ও আন্তরিক তা একটি প্রশ্ন। সুইয়ের মতো সরু প্রতিটি পোনার মূল্য তিন থেকে সাত টাকা। দরিদ্র মানুষগুলোর পেটের ভাত দরকার, মাথা গোজার ঠাঁই দরকার। চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ধ্বংস করে ফেলছি সমুদ্রের জীববৈচিত্র; জীবন যুদ্ধের নির্মম বাস্তবতায় তাদের কাছ থেকে এই বিবেচনাবোধ আর কতটুকুই বা আশা করা যায়? পুনর্বাসন অথবা বিকল্প কাজের ব্যবস্থা থাকলে এমন কাজে কোন মানুষ নিজেকে জড়াতে চায়? তাছাড়া হাজার হাজার চিংড়ি ঘের রেখে প্রান্তিক এই ভুখা-কাঙ্গালদের দমন করারই বা যৌক্তিকতা কতটুকু? এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে যে সমুদ্র ভ্রমণের ইতি ঘটবে ভাবতেই পারিনি!



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়