ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কাফকা সন্দর্শনে একদিন প্রাহা গিয়েছিলাম

শিহাব শাহরিয়ার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২৮ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কাফকা সন্দর্শনে একদিন প্রাহা গিয়েছিলাম

প্রাগের প্রধান দর্শণীয় জায়গার একটি চার্লস ব্রিজ

শিহাব শাহরিয়ার: একদিন প্রাহা গিয়েছিলাম। প্রাহা মানে প্রাগ। প্রাগ মানে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী। দিনটি ছিল ২১ আগস্ট ২০১৬। সেদিন বার্লিন থেকে খুব ভোরে বের হলাম। যাচ্ছি আমরা তিনজন। লেখক ও সাংবাদিক নাজমুন নেসা পিয়ারি, কবি শামীম রেজা ও আমি। পিয়ারি আপার বাসা থেকে বের হয়েই বার্লিনের ভোরটি মনোরম লাগল। একটা ট্যাক্সি নিয়ে বাস ধরতে যাচ্ছি। হালকা ঠান্ডা, ভালোই লাগছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসস্টপে গিয়ে পৌঁছলাম। ফ্লিক্স বাস। বলে রাখি, এই বাস সার্ভিসটি সারা ইউরোপের অনেক দেশেই চলাচল করে। অত্যন্ত উন্নত মানের বাস। শামীম ও আমার পাসপোর্ট দেখাতে হলো আর পিয়ারি আপার শুধুই টিকিট, কারণ তিনি জার্মানির নাগরিক। নির্দিষ্ট সময় বাস ছেড়ে দিল। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি, বার্লিনের এই বাসস্টপ থেকেই বিভিন্ন সার্ভিসের বাসাগুলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করে। ফলে একটার পর একটা বাস আসছে, যাচ্ছে আর বিচিত্র বর্ণ ও ভাষার মানুষ সারি সারি উঠছে, নামছে। তবে ফ্লিক্স বাসটিই অধিক বলে মনে হলো।

আমাদের বাসটি দ্বিতল এসি বাস। আমরা দোতালায় বসলাম। বাস ছাড়ার সাথে সাথেই দিনের আলো ফুটে উঠল। শীতের ইউরোপে গ্রীষ্মের নরম রোদ দেখে বেশ আনন্দ পেলাম। আমরা রোদের দেশের মানুষ, বৃষ্টির দেশের মানুষ; শীতের তীব্রতা বুঝি কম। তাই শীতের দেশে গ্রীষ্মের মজা নিতে ভালোই লাগছে। বাস ছুটে চলেছে, কিন্তু কোনো ঝাঁকি নেই, ঝুঁকি নেই। শহর বার্লিন থেকে বেরিয়ে আমরা পূর্ব দিকে যাচ্ছি- একদিকে পোল্যান্ড। যেদিকে যাচ্ছি, সেই দেশটিই চেক রিপাবলিক। পিয়ারি আপা বললেন, চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগবে প্রাগে পৌঁছাতে। যেতে যেতে নানা ভাবনার সঞ্চার হচ্ছে মনের ভিতর। মনে পড়ছে বঙ্গবন্ধু ও মার্শাল টিটোর কথা। দুজনেই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। একজন বাংলাদেশের জাতির পিতা, আরেকজন যুগোস্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রনায়ক ও বলকান অঞ্চলের শোষিত মানুষের দরদী কাণ্ডারি। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে মার্শাল টিটো সস্ত্রীক বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এসে সদ্য স্বাধীন দেশটির জন্য সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌ-বিহারে তারা বাংলাদেশ ও বাংলার প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আর ওদিকে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন যুগোস্লোভাকিয়ায়। মার্শাল টিটো সফরসঙ্গীসহ বঙ্গবন্ধুকে বেলগ্রেডে রিসিভ করে নিয়ে গিয়েছিলেন এড্রিয়াটিক সাগরের ব্রাইওনি দ্বীপের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কেন্দ্রে। বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধু মার্শাল টিটোর দেশের পার্শ্ববর্তী দেশটিই ছিল চেকোস্লোভাকিয়া। বিগত ১৯৯৩ সালে দেশটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একটি চেক প্রজাতন্ত্র বা চেক রিপাবলিক, অন্যটি স্লোভাকিয়া।

প্রাগের আরেকটি দর্শণীয় স্থান ওল্ড টাউন স্কয়ার


মধ্য ইউরোপের এই চেক প্রজাতন্ত্রের চতুর্দিকের দেশগুলো হলো- উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে স্লোভাকিয়া, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া এবং পশ্চিমে জার্মানি। কয়েকটি ঐতিহাসিক অঞ্চল নিয়ে এই দেশ গঠিত- এগুলো হলো বোহেমিয়া অঞ্চল, মোরাভিয়া অঞ্চল ও সাইলেসিয়া অঞ্চল। দেশের মধ্যস্থলে অবস্থিত হলো সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানী প্রাগ, যে শহরে আমরা যাচ্ছি। চেক ভাষায় চেক প্রজাতন্ত্রকে বলা হয়- eská republika. (চেস্কা রেপুব্লিকা)। দেশটির পর্বতবেষ্টিত পাহাড়ি পশ্চিম ভাগের নাম বোহেমিয়া আর পূর্বের নিম্নভূমির নাম মোরাভিয়া। উত্তরের নিম্নভূমি অঞ্চল সাইলেসিয়া নামে পরিচিত এবং এটি দক্ষিণ পোল্যান্ডের বিস্তৃত অঞ্চল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশটি সোভিয়েত প্রভাবাধীন ছিল। ১৯৯০-এর দশকে দেশটির অর্থনীতি বেসরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পায়িত দেশগুলোর একটি। তবে এর ফলে দেশটি পরিবেশ দূষণেরও শিকার হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। গথিক, রেনেসাঁস, বারোক ও আধুনিক ধাঁচের স্থাপত্যকলা, নৈসর্গিক দৃশ্যাসমৃদ্ধ গ্রামাঞ্চল, প্রাচীন প্রাসাদ, স্বাস্থ্যসম্মত খনিজ ঝরনা বা স্পা, ফ্রান্ৎস কাফকার লেখা আর আন্তোনিন দ্ভোরাকের সংগীতের জন্য দেশটির বিখ্যাত। আমাদের এই একদিনের যাত্রায় অন্তত ফ্রান্ৎস কাফকার সঙ্গে একটু দেখা করা।

কাফকার ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে লেখক


সীমান্ত অতিক্রম করে বাস প্রবেশ করলো প্রাগে। খেয়াল করলাম, সীমান্তে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা নেই। মনে হলো একই দেশের এক শহর থেকে যেন আরেক শহরে ঘণ্টা চারেকের ভ্রমণ শেষে নামলাম। নেমেই দুপুরের খাবার খেলাম; ভাত তো আর পাবো না, বার্গার, কোল্ড ড্রিংকস- এই তো। পেট মোটামুটি ভরল। তারপর হাঁটতে হাঁটতে গেলাম সাবওয়ের দিকে, কারণ আমরা যেখানে নেমেছি, সেখান থেকে দুই স্টেশন গেলেই প্রাগের মূল শহর। কিন্তু আমরা ঠিক করতে পারছিলাম না, আমাদের ট্রেনটি কোন দিক থেকে আসবে। আমাদের এই ইতস্ততা দেখে মধ্যবয়সী এক সাদা ভদ্রলোক এগিয়ে এসে সহযোগিতা করলেন। তিনি সব বুঝিয়ে দিয়ে এক স্টেশন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে গেলেন। যেতে যেতেই তার পরিচয় নিলাম, তিনি প্রাগের বাসিন্দা, পেশায় নৃ-তত্ত্বের শিক্ষক। গবেষক মানুষ, খুবই ভদ্র এবং অমায়িক। বাংলাদেশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালাম। তিনি খুশি হলেন। ইতোমধ্যে ভদ্রলোকের নামবার সময় হয়ে গেল এবং আমাদের জানিয়ে নেমে গেলেন। এর পরের স্টেশনেই আমরাও নামলাম। তখন দুপুর গড়াচ্ছে। রোদের হালকা আভা। স্টেশনের পাশেই যে জায়গাটিতে আমরা প্রবেশ করলাম, সেটি বেশ খোলামেলা, সারি সারি কারুকাজময় বিল্ডিং। এখানে বলে রাখি, বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পায়িত দেশগুলোর একটি এবং উন্নত দেশগুলোরও একটি। এছাড়াও চেক প্রজাতন্ত্র ১১তম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা হামলার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছে দেশটির রাজধানী শহর প্রাগ। ফলে ঐতিহ্যিক বিল্ডিং ও স্থাপত্যগুলো দাঁড়িয়ে আছে গৌরবের অহংকার নিয়ে। তাই শহরের অতিথিরা প্রাগের স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। আমরাও প্রথম দৃষ্টিতেই আকৃষ্ট হলাম। পুরনো প্রাচীরগুলো থরে থরে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যের ছাপ নিয়ে। আমরা এক এক করে পা বাড়িয়ে এগোচ্ছি আর ভাবছি এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐতিহ্যময় এই শহরের কতটুকুই বা সৌন্দর্য-সাধ নিতে পারবো? যতটুকু পারি। আগে থেকেই ভেবে রেখেছি যে, নেমেই প্রাগের ন্যাশনাল মিউজিয়ামটি দেখবো। আমাদের কাছেই ছিল মিউজিয়ামটি কিন্তু বিধি বাম, নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে বলে সেটি বন্ধ। দেখা হলো না। তাতে কি? কাফকা তো আছে, ফ্রানৎস কাফকা। তাঁর সঙ্গেই না হয় এক বিকেল কাটিয়ে ফিরে যাই আবার। কারণ সে এতো বড় মাপের লেখক যে, বাংলাদেশে প্রচুর অনুবাদ হয়েছে তাঁর। যেমন মাশরুর আরেফীনের কাফকার অনুবাদটি অসাধারণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যর্থনায় লেখকসহ অন্যরা


প্রাগের প্রধান দর্শণীয় জায়গা হলো- ক্যাসল, চার্লস ব্রিজ ও ওল্ড টাউন স্কয়ার। আমরা আপাতত ওল্ড টাউন স্কয়ারেই হাঁটতে শুরু করলাম।  কাফকার গ্রামের দিকে। একজন বললেন, তাঁর গ্রামের বাড়িটা একটু দূরেই, ভেবে দেখলাম, আমাদের হাতে যে সময় আছে তাতে ওঁর বাড়ি থেকে ঘুরে আসা যাবে না। তাহলে সে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই বরং যাওয়া যাক। হাঁটতে হাঁটতে খেয়াল করলাম অসংখ্য পর্যটক এই অঞ্চল ঘিরে ধরেছে। আমাদের মধ্যে পিয়ারি আপার চেহারা পুরোটাই প্রায় ইউরোপিয়ান আর বাকি দুই নাদান শ্যামলা মায়ের বাঙাল। সুবিধা হলো পিয়ারি আপার জন্য একটু জায়েজই হচ্ছি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই ১৪তম বৃহত্তর শহরে। আমার যেমন জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শামীমও তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় দেখার প্রস্তাব দিল। বলল, আমরা প্রথমেই ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। আমরা যেদিক দিয়ে হাঁটছি তার অনতি দূরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ক্যাম্পাস। হেঁটে হেঁটে সেখানে গেলাম কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন বন্ধ ছিল। আমরা রিসিভশনে গিয়ে যে কোনো একজন প্রফেসরকে চাইলাম, যাতে একটু কৌতূহল মেটানো যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একজন লম্বাটে ভদ্রমহিলা এলেন, কুশল বিনিময় হলো, তিনি জানালেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সাতশ বছরের পুরনো এবং অত্যন্ত নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়। যেহেতু এখন বন্ধ, সেকারণে তিনি আমাদের কিছু দেখাতে পারবেন না, তবে পাশেই একটি এক্সিবিশন চলছে, সেটি যেন আমরা দেখে যাই। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ছবি উঠিয়ে প্রবেশ করলাম প্রদর্শনীতে। প্রবেশ পথেই প্রদর্শনীর উপলক্ষে প্রকাশিত ফোল্ডার পেলাম। তারপর নামতে হলো নিচের দিকে অর্থাৎ আন্ডারগ্রাউন্ডে। ছোট ছোট কক্ষ একটু প্রাচীন দূর্গের মতই লাগছে। প্রদর্শনী কক্ষগুলোতে কোনো লোকজন নেই, আমার কাছে একটু ভয়ই লাগছে, কারণ খুব নির্জন আবার পুরনো বহেমিয়ান অঞ্চলের অসংখ্য ছবি, নিদর্শন দেয়াল ও শোকেসগুলোতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। মনে হলো এক একটা কক্ষ এক একটা গ্যালারি। সেই অর্থে চেক প্রজাতন্ত্রের পুরনো ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ, জীবন-প্রণালির অনেক কিছুই। প্রায় ১৫টি কক্ষে এসব নিদর্শন উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই অর্থে চেক’র ন্যাশনাল মিউজিয়াম দেখাই হয়ে গেল। সব মিলিয়ে ভালো- দেখতে পারলাম অনেক কিছু।

প্রাগের আরেকটি দর্শণীয় জায়গা ক্যাসল


ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে হাঁটতে থাকলাম কাফকার দিকে। হাঁটছি আর লক্ষ করছি, রাস্তা আর ফুটপাত সবই পাথরের তৈরি, হাজার হাজার পর্যটক হাঁটছেন, ছবি তুলছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, খাচ্ছেন। শোভা পাচ্ছে অনেক প্রাচীন প্রাসাদ। এক জায়গায় দেখলাম মাঠের মতো এবং এখানে বিশাল বিশাল কালো পাথরের ভাস্কর্য। সেই মাঠ অতিক্রম করে অনতি দূরেই পেয়ে গেলাম কাফকাকে। বিশাল ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পর্যটকরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে, কেউ কেউ বসে ছবি তুলছে। কাফকার ভাস্কর্য বেশ লম্বা। আমি, আমরাও কয়েকটি ছবি উঠালাম। তারপর গেলাম ওঁর নামের ক্যাফেতে- কাফকা ক্যাফে। সেখানে ওঁর নানা ধরনের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বলে রাখি, এর আশেপাশে এলাকাজুড়ে ক্যাফে ও ফাস্টফুডের দোকান। নানা দেশের, নানা চামড়ার, নানা বয়সের মানুষ বসে খাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে। আমরাও কাফকা ক্যাফেতে ছবি উঠালাম ও কিছু খেয়ে বেরিয়ে গেলাম। তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে, আমাদের ফিরতে হবে ঘরে, ঘরে মানে বার্লিনে, বার্লিনে মানে পিয়ারি আপার বাসায়। সুতরাং হাঁটতে হাঁটতে সাবওয়ের দিকে এগোতে থাকলাম। হঠাৎ আমার এক আত্মীয়ের কথা মনে পড়ল, যার শ্বশুর বাড়ি এই প্রাগে। তাদের ফোন নাম্বার সঙ্গে আনিনি, আনিনি কারণ আমি যে জার্মানি থেকে চেক প্রজাতন্ত্রে সফরে আসবো, সেটি পূর্ব পরিকল্পনায় ছিল না। তাই যাওয়া হলো না। হাঁটতে হাঁটতে ন্যাশনাল মিউজিয়ামের সামনে এসে হাজির হলাম। আবারো আফসোস হলো মিউজিয়ামটি না দেখতে পেরে। ভবিষ্যতের ডানায় চোখ মেলে, পাশের সাবওয়েতে গিয়ে রওনা করলাম বার্লিনের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে ভাবলাম ব্রহ্মপুত্রের পেটে বেড়ে ওঠা এক বালক পঞ্চাশে এসে একদিন পা ফেললাম প্রাগে।

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জুলাই ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়