ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

আগ্রার পথে পথে

মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আগ্রার পথে পথে

মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম: প্রতিদিনই হাজারো বাংলাদেশি ভারতে যাত্রা করেন বিভিন্ন প্রয়োজনে। কেউ চিকিৎসা, কেউ ব্যবসা আবার কেউবা শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভারত যাত্রা করেন। বৈচিত্র্যময় এই ভারত অনন্য এক বিস্ময়ের নাম। কি নেই ভারতে- সাগর, পাহাড়, মরুভূমি কিংবা বরফ। তাইতো ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভারত অন্যতম পছন্দ। আমিও এদের একজন।

প্রস্তুতি: বেশ আগে থেকেই অন্যদের মতো আমার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিল আগ্রার তাজমহল ঘিরে। সেই ছেলেবেলা থেকেই পড়ে আসছি সম্রাট শাহজাহান আর মমতাজের সেই অবিস্মরণীয় প্রেমগল্পের কথা। যার সারাংশে রয়েছে এই তাজমহল। যে কারণে সুযোগ মিলতেই মুঘলদের ঐতিহ্যবাহী আগ্রা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করিনি। ভ্রমনপিপাসু হওয়ায় প্রতি মাসের আয় থেকে ভ্রমণের জন্য ক্ষুদ্র একটা সঞ্চয় রেখে দেয়ার অভ্যাস আমার বেশ পুরনো। আর এবার শ্বশুরমশাই যখন নিজেই ট্রেনের টিকেট কেটে ই-মেইল করে দাওয়াত করলেন, তখন আর দেরি করিনি। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে যাত্রার জন্য তৈরি হই।

দুজনে বাসে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি এক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে। আকাশ সুন্দর ছিল। জানালার ফাঁক গলে রাতের ঠাণ্ডা হাওয়া আমাদের ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য করে তুলছিল। কিন্তু সে আনন্দে ভাটা পড়ে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টার জ্যাম আমাদের ক্লান্ত করে। কিন্তু তারপরও পরদিন যখন দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোলে পৌঁছাই তখন আবার এক ধরণের উদ্যম চলে আসে। একটু পরেই আমরা ভারতে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যদিও সকালেই সেখানে পৌঁছে যাবার কথা ছিল।

ভারতে প্রবেশ: যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিজ্ঞতা এটিই ছিল প্রথম। যে কারণে একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম, না জানি কতটা সময় ইমিগ্রেশন আর কাস্টমস নিয়ে নেবে। দিনটা শুক্রবার হওয়ায় টেনশন আরো বেশি ছিল। শুনেছিলাম অন্য দিনের তুলনায় ওইদিন নাকি একটু বেশি ভিড় হয়। এদিকে কলকাতা থেকে আগ্রার ট্রেনের টিকেট আগে থেকেই করে রাখা যা ওইদিন দিবাগত রাত ১১টায় শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। সবমিলিয়ে দুশ্চিন্তা কাজ করছিল তখন। আর আমি একা নই; সস্ত্রীক এই ভ্রমণ।

যাই হোক, বেনাপোলের এই বন্দরের কথা শুনে যেমন ভেবেছিলাম তেমন নয়। অনেক আধুনিক হয়েছে। মনে হলো কিছুটা বিমানবন্দরের স্বাদও যেন পাচ্ছি। ভারতগামী যাত্রীরা ডিউটি-ফ্রি শপ থেকে এলকোহল জাতীয় পানীয় ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে নিয়ে যেতে পারেন কারণ ভারতে মদ পান নিষিদ্ধ নয়। এখানে বলে রাখা ভালো যে, একজন যাত্রী ভারত ভ্রমণ শেষে সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার সমমূল্যের পণ্য কেনাকাটা করে নিয়ে আসতে পারবেন বিনা ট্যাক্সে। সাধারণের অজ্ঞতার সুযোগে এই বিষয়ে এক শ্রেণীর দালাল ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করে ও যাত্রী হয়রানী করে। অনেকে বিষয়টি জানে না বলে দালালেরা এই সুযোগ নিতে পারে। যদিও ৪০০ ডলার মূল্যের বেশি বাজার হলে নিয়ম অনুসারে ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে পণ্য খালাস করতে হবে। বেনাপোলে অত্যাধুনিক লাগেজ স্ক্যানার থাকায় যাত্রীদের ব্যাগ হাতড়ে হয়রানি থেকে বেঁচে যাওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। কারণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কাস্টমস ব্যাগ চেক করে ছেড়ে দেবার পর পুনরায় সব সামলে ওঠা বেশ বিরক্তির উদ্রেক করে। যদিও বাংলাদেশের বেনাপোল অতিক্রম করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর বেশ কিছুটা অনুন্নত মনে হয়েছে। যা হোক মূল ভ্রমণ প্রসঙ্গে আসি।

ভারতে যাবার পর: সকল অফিশিয়াল কার্যক্রমের পর ভারতের পেট্রাপোল থেকে বনগাঁ ট্রেন স্টেশনে যেতে মাথাপিছু মাত্র ৩০ রুপি খরচ হলো। লোকাল ট্রেনে বনগাঁ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছুতে প্রায় দু’ঘণ্টা লেগে গেলো। কিন্তু যাত্রাটি অনেক ঝামেলাবিহীন মনে হয়েছে। বিকেলে কলকাতা থেকে কিছু জরুরি কেনাকাটা ও খাবার খেয়ে রাতের ট্রেনের জন্যে স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। যখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা তখন হঠাৎ চোখে পড়ল রেস্টরুমের সাইনবোর্ড। খোঁজ নিয়ে জানা গেল দূরের যাত্রীরা সহজেই এখানে বিশ্রাম ও গোসলের কাজ সেরে চাঙ্গা হতে পারেন বিনা পয়সায়। মুহূর্তেই মনে পড়ল গত একদিনের জার্নিতে গোসল করার সুযোগ পাইনি, আবার আগামী ২২ ঘণ্টা ট্রেনে থাকলে সেখানেও এই সুযোগ হয়ত হয়ে উঠবে না। ব্যাস, স্টেশনের ফার্স্টফ্লোরে গিয়ে সুন্দর করে গোসল করে শরীরটা এতই ঝরঝরে লাগলো যে, মনে হচ্ছে দুদিনের সফর একটানা করা যাবে।

যাই হোক, গোসল সেরে ট্রেনের জন্য আবারো অপেক্ষা। ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ৯/এ-তে যখন থামলো তখন সাথে সাথেই হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় ঘোষণার ফলে ট্রেনের কামড়া খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়নি। নিজের কাছে রক্ষিত মেইলের প্রিন্ট কপির সাথে কামড়ার দরজায় লাগানো সিট প্ল্যান মিলে যেতেই উঠে বসলাম নিজেদের আসনে। স্লিপার সিট, শুয়ে বা ঘুমিয়ে যাবার এইসব আসনে বসা মাত্রই সারাদিনের ক্লান্ত শরীর ঘুমের জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠল। ব্যস, হাতের ব্যাগগুলো সিটের নিচে চেইন দিয়ে বেঁধে সটান শুয়ে পড়ামাত্র একঘুমে সকাল। 

খাবার-দাবার: দূরপাল্লার বেশীরভাগ ভারতীয় ট্রেনে খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা থাকে। সকাল, দুপুর এবং রাতে ট্রেনের বুফে কার থেকে খাবার সরবরাহকারীরা তিন বেলা নিয়ম করে জানতে আসেন- কি খাবেন? ভেজ নাকি ননভেজ?



নন-ভেজ মানে আমিষ জাতীয় খাবার অর্থাৎ মাছ, মুরগি বা ডিমের তরকারী সমৃদ্ধ খাবার। আর ভেজ- এক বাটি সাদাভাত, দুটো রুটি, সবজি, ডাল, দই বা মিষ্টি দিয়ে পূর্ণ খাবার প্লেট। ইন্ডিয়াতে সব থেকে মজার খাবারের তালিকায় আমার কাছে ভেজ। কারণ এরা হরেক পদের মশলার ব্যবহার করে খাবারে। অথচ অম্বলের সমস্যা তৈরি করে না। মাত্র ১০০ রুপিতে এক বেলার জন্যে পর্যাপ্ত খাবার মেলে এসব চলন্ত ট্রেনে।  তিন বেলা ট্রেনের খাবার ও বোতলে সরবরাহকৃত বিশুদ্ধ পানিতে ভরপেট ভোজনে দীর্ঘ ভ্রমণকে আরামদায়ক মনে হয়েছে।  

ইন্টারনেটের দুনিয়া: ভারতে প্রবেশের সাথে সাথে সবার আগে একজন ভ্রমণকারীর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারে ইন্টারনেট। সেক্ষেত্রে আমার পছন্দ ছিল এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ও মোবাইল সার্ভিস 'জিও'। নন-স্টপ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানে জিও বেশ সাহায্য করেছে আমাকে।    

ট্রেনে রাতের খাবারের পর ঘুম দিতে গিয়ে একটু টেনশনে পড়তে হয়েছিল। কারণ এক্সপ্রেস ট্রেন আগ্রা ফোর্ট স্টেশন পার হয়ে আমাদের আবার দূরের কোনো স্টেশনে নিয়ে না যায়! বিষয়টা পাশের সিটের একজনের সাথে শেয়ার করতেই সে জানাল আমার মোবাইলে ট্রেনের কোনো অ্যাপস আছে কিনা? না সূচক উত্তরে সহযাত্রী নিজেই আমার ফোনে একটি বিশেষ ফ্রি অ্যাপস ডাউনলোড করে দিলেন। চলন্ত ট্রেনটি কোথায় থামবে ও পরবর্তী স্টেশন কত দূর সব জানা যাবে ওই অ্যাপসের মাধ্যমে। এতে আমার ট্রেনের জার্নিটা আরো স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠল। তাছাড়া মোবাইলে জিপিএস তো রয়েছেই।

হোটেল প্রাপ্তি: যেহেতু আমার লক্ষ্য ছিল ভারতের উত্তর প্রদেশ ও তার দর্শনীয় স্থান, তাই ইন্টেরনেটে যতদূর সম্ভব খোঁজ নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা খানিকটা ভিন্ন ছিল সেখানে। রাত ১১টার কিছু সময় পরে আগ্রা ফোর্ট স্টেশনে নেমেই প্রথম খপ্পরে পড়তে হলো সিএনজি অটো ও ট্যাক্সিওয়ালাদের। এরা টুরিস্টদের নাজেহাল করতে ওস্তাদ। একজন তো বলেই ফেলল, স্যার কোনো টাকা লাগবে না, হোটেলে ফ্রি পৌঁছে দেব। পরবর্তীতে দেখলাম ঠিক একই কথা বলছে আরও কয়েকজন। বিষয়টা বেশ খটকা লাগলো। যাই হোক, মাত্র ৩০ রুপিতে একজন যেতে রাজি হলো। সে জানালো সে হোটেল এরিয়াতে নিয়ে যাবে যতক্ষণ হোটেল পছন্দ না হয় সে আমাদের সাথে থেকে ঘুরে ঘুরে অন্য হোটেলে যাবে। ট্যাক্সিওয়ালার আইডিয়া বেশ ভালো লাগলো। তার দেখানো একটা হোটেল পছন্দ করলাম। আগ্রা ফোর্ট স্টেশন থেকে হোটেল ও তাজমহলের দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। 

মজার ব্যাপার, হোটেল বয় রুমে নিয়ে যাবার সময় বলল, ট্যাক্সিওয়ালাকে টিপস বা ভাড়া না দিলেও চলত! কেন? জানতে চাইলে সে বলল, ট্রেন স্টেশনে বেশিরভাগ ট্যাক্সি হোটেলে যাত্রী নামিয়ে রিসিপশন থেকে পয়সা নেয়। কারণ ওদের দ্বারাই  হোটেলগুলোর আয় বেশি হয়। তখন বুঝতে পারলাম কেন ট্যাক্সি ড্রাইভার অল্পতে রাজি বা ফ্রি প্যাসেঞ্জার নিয়ে আসতে এক পায়ে খাড়া থাকে।

তাজমহল: সম্রাট শাহজাহান ও তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন তাজমহল যা পৃথিবীজুড়ে পরিচিত। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের অকাল মৃত্যুতে সম্রাট অত্যন্ত ব্যথিত হন ও তার প্রিয়তম স্ত্রী বিয়োগে নির্মাণ করেন এক ব্যয়বহুল সমাধিসৌধ। এটাই আজকের তাজমহল। আগ্রা ভ্রমণের মূল ছিল এই মুঘল স্থাপনা পরিদর্শন। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্যে জন প্রতি ৫৩০ রুপিতে টিকেট কেটে তাজমহলে ঢুকতে হয়, যদিও ভারতীয় নাগরিকদের জন্যে টিকেটের মূল্য মাত্র ৪০ রুপি। এবং ইয়োরোপীয়দের জন্য এই টিকেটের মূল্য হাজার রুপির ওপরে। সকাল থেকে সারাদিন তাজমহল ভ্রমণ শেষে বেলা ৪টার দিকে ব্যথাযুক্ত পা নিয়ে বেরিয়ে দুপুরের ভেজ খাবার খেয়ে পরের দিনের ভ্রমণের জন্যে প্রস্তুতি নিলাম।

আগ্রায় টুরিস্টদের জন্যে বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। এরা হোটেল থেকে যাত্রী নিয়ে যায়। কিন্তু শুরু থেকেই নিজের মতো ঘুরে বেড়াবো এই পরিকল্পনা থাকায় ওসব সার্ভিস এড়িয়ে গেছি। নিজেদের পুরোদস্তুর ভারতীয় বানিয়ে লোকাল বাস ও ট্যাক্সি ধরে টুরিস্ট স্পটগুলো ঘুরেছি স্বাধীনভাবে কারণ অন্যান্য টুরিস্ট বাসগুলো খুব অল্প সময়ে ঘুরে আসতে বলে যাতে দিনের আলোতে পরবর্তী স্পটে টুরিস্ট নিয়ে যাওয়া যায়। এই ধরনের চাপ এড়াতে নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব অন্যের হাতে না দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর আইডিয়াটা বেশ ছিল। 

সম্রাট আকবরের সমাধি: মুঘল ইতিহাস ঘেটে দেখলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যায়। সম্রাট আকবরের নাতি শাহবুদ্দিন মুহাম্মদ শাহজাহানের সৃষ্ট তাজমহল আজ বিশ্বে আলোচিত কিন্তু আকবরের সমাধিটি তাজমহল থেকে চার থেকে পাঁচ গুন বেশি এলাকাজুড়ে অবস্থিত এবং ঐ স্থানটি আমার কাছে তুলনামূলক বেশি ভালো লেগেছে। আগ্রা থেকে সামান্য দূরেই ট্যাক্সিতে মাত্র ১০ রুপিতে আকবরের টম্ব বা সমাধিতে যাওয়া যায়। আগ্রাগামী ভ্রমণকারীদের বলব- শুধু তাজমহল নয় এর চার পাশের দর্শনীয় স্থানগুলো বেশি আকর্ষণীয়। সেক্ষেত্রে ফতেহপুর সিক্রি নামক এলাকায় আকবরের নির্মিত বেশকিছু স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন, প্রাচীন ও ইতিহাস সমৃদ্ধ।

সতর্কতা: সমগ্র ভারতে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি ও বিরক্তি হলো ট্যাক্সিচালক ও তাদের সেবা। সামান্য সুযোগ পেলেই এরা আপনাকে নাজেহাল করে ছাড়বে ও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নেবে। এদের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। যদিও হাওড়া স্টেশনে সরকার নির্ধারিত প্রি-পেইড ট্যাক্সি সার্ভিস রয়েছে এই সমস্যা সমাধানের জন্যে। কিন্ত তা সব জায়গায় না হওয়াতে ভ্রমণপিপাসুদের সতর্কতার সাথে চলতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়