ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সম্ভাবনাময় উপকূল

শুঁটকি উৎপাদন, বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুঁটকি উৎপাদন, বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ

বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। সমুদ্র-নদী থেকে আহরিত মৎস্য সম্পদে জীবিকা চলে লাখো মানুষের। লবণ চাষ, শুঁটকি উৎপাদন, কাঁকড়া চাষ, চিংড়ি চাষে বহু মানুষ বেঁচে আছে। দ্বীপের পলি মাটিতে কৃষি আবাদ বহু মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সয়াবিনের মতো অর্থকরী ফসল উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটেছে উপকূলে। সমুদ্র সৈকতের খনিজ বালু এই জনপদের আরেক সম্ভাবনা। পর্যটন খাতেও উপকূল জুড়ে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। এসব সম্ভাবনা ও সম্ভাবনা বিকাশের অন্তরায় নিয়ে উপকূলের প্রান্তিক জনপদ ঘুরে তুলে ধরেছেন রফিকুল ইসলাম মন্টু। আজ প্রকাশিত হলো এই ধারাবাহিকের সপ্তম পর্ব।

উপকূলজুড়ে শুঁটকি উৎপাদনের বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও পদে পদে রয়েছে বাধা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর বাজারজাতকরণে বহুমূখী সমস্যার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই শিল্পে আরও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এ শিল্পে জীবিকা নির্বাহ হতে পারে বহু মানুষের।

সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পূর্ব উপকূল, মধ্য উপকূল ও পশ্চিম উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি উৎপাদনের ক্ষেত্র রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে সামুদ্রিক মাছ থেকে শুঁটকি তৈরির উদ্যোগ নেন। কক্সবাজারের নাজিরারটেক, খুরুশকূল, সোনাদিয়া দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ, শাপলাপুর, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড; খুলনার সুন্দরবন, দুবলার চর, ও বরিশাল অঞ্চলের পাথরঘাটা, রাঙ্গাবালী, চরফ্যাশন, মনপুরা এলাকা; নোয়াখালীর অঞ্চলের নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় শীত মৌসুম আসার আগেই শুঁটকি উৎপাদনের ধুম পড়ে। শুঁটকি তৈরির জন্য মাছ ধরা, মাছ আনা, মাছ বাছাই, মাছ রৌদ্রে দেওয়া ও তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয় হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশু। ব্যবসায়ীরা জেলেদের দাদন দিয়ে নেমে পড়েন মৌসুমী বাণিজ্যে।    

শুঁটকি উৎপাদন মৌসুমের আগ মুহূর্তে খুলনার পাইকগাছার কপোতাক্ষ তীরের বোয়ালিয়া হিতামপুরের জেলেপল্লী ঘুরে চোখে পড়ে প্রস্তুতি পর্বের ব্যস্ততা। আরও মাসখানেক আগে থেকে এই ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। কেউ জাল কিনে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত করছেন, কেউ নৌকা মেরামত করছেন, নৌকায় আলকাতরা দিচ্ছেন। এই পল্লীর ১২০টি পরিবারের মধ্যে ১০০ পরিবার সুন্দরবন থেকে বাইরে দুবলার চরে শুঁটকি মৌসুমে মাছ ধরতে যায়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে উপকূলের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেরা দুবলার চরে যেতে শুরু করে। জীবিকার তাগিদ থাকলেও সেখানে তাদের সমস্যার অন্ত নেই, জানালেন জেলেরা।

একজন তাপস বিশ্বাস। বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। ছোটবেলা থেকে বড়দের সঙ্গে শুঁটকি মৌসুমে দুবলার চরে যান। এক সময় নৌকার হাল ধরেছেন। এখন তিনি মাঝি। শুঁটকি মৌসুমের পাঁচ মাস দুবলার চরে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার সহযোগীরা। তাপস জানালেন, শুঁটকি মৌসুমে দুবলার চরে জেলেরা হাজারো সমস্যায় পড়েন। কিনারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জোরদার টহল থাকলেও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে জলদস্যু হানা দেয়। মুক্তিপণের দাবি পূরণ করতে গিয়ে লোকসানে পড়তে হয়।



একই গ্রামের আরেকজন জেলে সুকুমার বিশ্বাস। বয়স ৪৫। তিনিও ছোটবেলা থেকেই দুবলার চরে মাছ ধরতে যান শুঁটকি মৌসুমে। তিনি জানালেন, শুঁটকি মৌসুম সামনে রেখে প্রত্যেক জেলেকে মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিতে হয়। এবার তিনি দাদন নিয়েছেন ৫ লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে জাল কেনা, নৌকা মেরামত ইত্যাদি কাজ চলছে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়াও শুরু হয়ে গেছে এরইমধ্যে। কিন্তু দিনে দিনে শুঁটকি উৎপাদনে যে বিপদ বাড়ছে, তাতে এই পেশায় টিকে থাকা নিয়েই তার শংকা।

বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে শুঁটকির আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে কুয়াকাটা। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই এলাকার শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় উৎপাদিত শুঁটকিতে কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় হাজারখানেক পরিবার এই এলাকায় প্রতি বছর শুঁটকি ব্যবসার মাধ্যমে আয় করছে লাখ লাখ টাকা। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের নিকটে শুঁটকির খুচরা বাজার গড়ে ওঠায় এ ব্যবসায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা।

কুয়াকাটায় শুঁটকি উৎপাদনের এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সৈকতের পশ্চিম দিকে মাঝিবাড়ি, খাজুরা, খালগোড়া, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর ও ধুলাসার। প্রতিটি স্থানে ৭ থেকে ১২জন ব্যবসায়ী মৌসুমের শুরুতেই এ ব্যবসা শুরু করেন। শুঁটকি মৌসুমে সমুদ্র থেকে আহরিত লইট্টা, ফাহা, ফালিসা, চাবল, কোরাল, হাঙ্গর, ছুরি, পোমা, চান্দাকাটা, চিংড়ি, লাক্ষ্মা, নোনা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুঁটকি করা হয় কুয়াকাটায়।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই এলাকায় শুঁটকি ব্যবসায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। শুঁটকির জন্য মাছ ধরা, জাল থেকে মাছ ছড়ানো, মাছ কাটা, শুকানো, পরিবহন ইত্যাদি কাজে বিপুল সংখ্যক লোকের প্রয়োজন। কুয়াকাটাসহ কলাপাড়া উপজেলায় শুঁটকি ব্যবসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহস্রাধিক পরিবার সম্পৃক্ত বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।



কুয়াকাটায় শুঁটকি উৎপাদনের বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও গত কয়েক বছরে অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে জানালেন সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন আদি বাসিন্দারা। তারা বলেন, প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়াকাটায় শুঁটকির ব্যবসা চলে আসছে। পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার আগে এখানে অনেক বড় শুঁটকি পল্লী ছিল। ব্যবসা বাণিজ্য ছিল ভালো। কিন্তু সেই জমজমাট শুঁটকি উৎপাদনের ধারা এখন আর নেই। মূল সৈকত থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর সৈকতের পশ্চিম দিকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি পল্লী গড়ে ওঠে। সেখান থেকে প্রায় সাত মাইল দূরে লেম্ফুর চরে কয়েক ব্যবসায়ী মিলে আরেক পল্লী করেছেন। কিছু ব্যবসায়ী মহিপুর ইউনিয়নের খালগোড়ায় ছোট্ট শুঁটকি পল্লী তৈরি করেছেন। যে যেভাবে পারছেন, ব্যবসা টিকিয়ে রেখে কোনভাবে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা ৮-১০ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় নামেন। মাছ শুকানোর জন্য বাঁশের মাচান তৈরি করতে হয়। কিনতে হয় জাল-নৌকা। এর ওপর রয়েছে বাসা তৈরি আর জেলেদের দাদন বাবদ পুঁজি। আগে এই বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হতেন। এখন লোকসানের ভয়টাই বেশি।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুঁটকি পল্লীর জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিবছর নতুন নতুন স্থানে পল্লী করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত খরচ বাড়ে। এর ধারাবাহিকতায় বাড়ে লোকসানের পরিমাণ। শুঁটকি উৎপাদনের সম্ভাবনা বিকাশে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থায়ীভাবে সরকারি উদ্যোগে শুঁটকি পল্লীর জন্য জায়গা নির্ধারণ, শুঁটকি বিক্রির জন্য টলশেডসহ বাজার তৈরি করা এবং ব্যাংক থেকে স্বল্পসুদে পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা করা। তারা বলেছেন, এইসব উদ্যোগ নেওয়া না হলে কুয়াকাটা থেকে এক সময় শুঁটকি ব্যবসা হারিয়ে যাবে। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ বলেছেন, শুঁটকি ব্যবসায়ীদের নিজস্ব পল্লী এবং বিক্রির নির্দিষ্ট বাজার তৈরি করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কক্সবাজারের নাজিরের টেককেই শুঁটকি উৎপাদনের বৃহৎ এলাকা হিসাবে ধরা হয়। অক্টোবর মাস আসতে না আসতেই সেখানেও প্রস্তুতি শুরু হয় উৎপাদনকারীদের। সূত্র বলছে, প্রায় একশ একর এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এ শুঁটকি মহালে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক আড়ত রয়েছে। এখানে দুই সগস্রাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। এদের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় দুই টন বিভিন্ন জাতের মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হয়। প্রতি মৌসুমে ৫০-৬০ হাজার টন শুঁটকি উৎপাদিত হয়; যার বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও এখানকার শুঁটকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।

আলাপ হলো এখানকার শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা জানালেন, নাজিরের টেক শুঁটকির বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এখানে মৌসুমে প্রায় অর্ধ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। সমুদ্র থেকে আহরিত মাছের যোগান অনুযায়ী এখানে উৎপাদিত হয় প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি। এর মধ্যে রূপচাঁদা, ছুরি, লইট্যা, কোরাল, সুরমা, পোপা উল্লেখযোগ্য। মধ্য-উপকূল এবং পশ্চিম-উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে শুঁটকি খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা কম থাকলেও পূর্ব-উপকূলের মানুষজনের কাছে শুঁটকি অত্যন্ত প্রিয়।



সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬২৩ মেট্রিক টন শুঁটকি বিদেশে রপ্তানি করা হয় (২০১১-১২ অর্থবছরে হিসাব) দেশে ৮-১০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুঁটকি তৈরি হয়।  এক কেজি শুঁটকি মাছ তৈরিতে প্রজাতি ভেদে প্রায় ৩-৫ কেজি কাঁচা মাছ প্রয়োজন। উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন শুঁটকির জন্য সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহ করে। অধিকাংশ এলাকায় প্রচলিত নিয়মে সূর্যের আলো ব্যবহার করে শুঁটকি শুকানো হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য শুঁটকির প্রক্রিয়াজাতকরণকালে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ক্ষতির দিক বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকি উৎপাদনের বেশকিছু বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ছে।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকি উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উদ্ভাবিত হয়েছে শুঁটকি উৎপাদনের নতুন নতুন পদ্ধতি।  মৎস্য বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নওশাদ আলম বিষ ও লবণমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনের জন্য রিং ও বক্স ট্যানেল উদ্ভাবন করেন, যা কম খরচে অল্প পরিমাণে শুঁটকি উৎপাদন করা সম্ভব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনষ্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সস এন্ড ফিশারিজ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন বিষমুক্ত ও নিরাপদ শুঁটকি তৈরির নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব ড. মো. জলিলুর রহমান উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির ড্রায়ারটির নাম হলো ‘বিএফআরআই ফিশ ড্রায়ার’। এই ড্রায়ারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত গুণগতমানসম্পন্ন শুঁটকি মাছ তৈরি করা সম্ভব। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের মৎস্য উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিন মশারির জালে ঢাকা ট্যানেল এবং হলুদ-মরিচ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এই প্রযুক্তির ট্যানেল তৈরিতে ব্যয় অন্য প্রযুক্তিগুলির তুলনায় অত্যন্ত কম ও ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং উৎপাদনকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য।

প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি শুঁটকিখাতের অন্যান্য সংকটেরও সমাধান করতে হবে। সে কথাই বললেন কক্সবাজারের নাজিরারটেক শুঁটকি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি, কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদসহ শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, নাজিরেরটেক শুঁটকি মহাল থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও, বহু লোকের কর্মসংস্থান হলেও এর সম্ভাবনা বিকাশে সরকারের বিশেষ নজর নেই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, জেলেদের দাদন মুক্ত করা গেলে এবং শুঁটকি বাজারজাতকরণের সমস্যাসমূহ দূর করতে পারলে উপকূলের শুঁটকি বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়