ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

পাহাড়ি বনে আগুন : ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৯ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাহাড়ি বনে আগুন : ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার ঘটনায় পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বনজ সম্পদসহ অন্তত ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও নথিভুক্ত হয়েছে।

তবে কে বা কারা সংরক্ষিত বনে আগুন লাগিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ বিট কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) মো. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে টেকনাফে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের প্রধান বন-সংরক্ষক মো. আলী কবির। এ সময় টেকনাফের ইউএনও ও ওসিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার  দিকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে অবস্থিত সংরক্ষিত বনের ২৮ হাজার একর পাহাড়ি এলাকারজুড়ে ৪০টি জায়গায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। যা প্রাথমিকভাবে নাশকতার ঘটনা বলে ধারণা প্রশাসনের।

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর  রাতে দমকল বাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন ধরা সংরক্ষিত বনটির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ‘নয়াপাড়া’ ও ‘লেদা’ রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

এদিকে সংরক্ষিত বনের বিশাল এলাকার ৪০টি জায়গায় কাছাকাছি সময়ে একসঙ্গে আগুন লাগানোর ঘটনাটি এখনো রহস্যাবৃত্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন টেকনাফ বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘কে বা কার আগুন লাগিয়েছে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশাল পাহাড়ি এলাকার ৪০টি জায়গায় একসঙ্গে আগুন লাগানোর ঘটনাটি কোনোমতেই ছোট নয়। এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত হতে বন বিভাগসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা তৎপর রয়েছে।’

সংরক্ষিত বনে আগুন লাগানোর ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার কথা জানান বন বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ২৮ হাজার একর সংরক্ষিত বনের ১২০ থেকে ১৩০ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সাজ্জাদ বলেন, ‘আগুনে শুধু ২৫ লাখ টাকার বনজ সম্পদের আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারিত হলেও পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যসহ সার্বিক ক্ষতির দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭০ লাখ টাকার বেশি।’

 

 

কক্সবাজার/৯ মার্চ ২০১৮/সুজাউদ্দিন রুবেল/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়