ব্যাংককে নেওয়া হতে পারে আমজাদ হোসেনকে
আমজাদ হোসেন
বিনোদন ডেস্ক : নগরীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইমপালস হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন আমজাদ হোসেন। বরেণ্য এ চলচ্চিত্র নির্মাতা-অভিনেতার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে আজ বুধবার বিকেলে তার ছেলে সোহেল আরমান বলেন, ‘আব্বুর শারীরিক অবস্থা একই রকম। কোনো উন্নতি হয়নি।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য আমজাদ হোসেনকে দেশের বাইরে নেওয়া হবে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সে সিদ্ধান্তও অনেকটা আটকে আছে। এ প্রসঙ্গে সোহেল আরমান বলেন, “যখন আব্বুকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তৈরি হবে তখনই আমরা বিদেশে নিয়ে যাব। প্রাধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু তার আগে ভেনটিলেশন খুলে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, বিমানে উঠানো আবার বিমান থেকে নামানোর যে হ্যাসেল সেটুকু নেওয়ার মতো শরীরিক অবস্থা আব্বুর নেই। ভেনটিলেশন খোলা মানেই বিপদ ডেকে আনা। এজন্য আব্বুর শারীরিক অবস্থা স্ট্যাবল পর্যায়ে আসা প্রয়োজন। কিন্তু আব্বুর শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল। এজন্য চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তিন চার দিন না গেলে ভালো মন্দ বোঝা যাচ্ছে না।’ তবে যে ধরণের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো আন্তর্জাতিক মান মেনেই দেওয়া হচ্ছে।”
উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন দেশে নেওয়া হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাচ্ছি, ব্যাংকক নিয়ে যেতে। কারণ সিঙ্গাপুর যেতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা। আর ব্যাংকক যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা ২০ মিনিট। এ অবস্থায় সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছি। আব্বুর সমস্ত রিপোর্ট ব্যাংককের বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। আজ দুপুর থেকেই এ কাজগুলো আমি করছি। এখন ব্যাংককের চিকিৎসকরা যদি মনে করেন এ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে তবে আমরা আব্বুকে নিয়ে যাব।’
গত রবিবার ভোরে স্ট্রোক করেন আমজাদ হোসেন। তারপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার আমজাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার।
এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ সিনেমা নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান আমজাদ হোসেন। ১৯৭৬ সালে ‘নয়নমনি’ সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তারপর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘ভাত দে’, ‘জয়যাত্রা’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন আমজাদ হোসেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ নভেম্বর ২০১৮/শান্ত/মারুফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন