ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আয়ারল্যান্ডে রাইজিংবিডির প্রশংসা

উদয় হাকিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আয়ারল্যান্ডে রাইজিংবিডির প্রশংসা

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢল। নিজ দেশের খেলা দেখতে অনেকেই মাঠে এসেছিলেন পুরো পরিবারসহ

উদয় হাকিম : একসময় ফুলটাইম সাংবাদিক ছিলাম। এখন লেখার চেয়ে বেশি সময় দিতে হয় কর্পোরেট চাকুরিতেই। তারপরও যখনই আকর্ষণীয় কোনো জায়গায় যাই, লেখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে রাইজিংবিডিতে। আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার পর ক্রিকেটের পাশাপাশি সুন্দর দেশটির সুন্দর মনের মানুষও আমাকে আকর্ষণ করে দারুণভাবে। মানুষের সঙ্গে কত ভদ্র ব্যবহার করা যায়- তার একটা প্রতিযোগিতা চলে ওখানে। একজন গাড়ি চালককেও ওরা ‘স্যার’ সম্বোধন করেন। তাদের যুক্তি- অন্যকে সম্মান দিয়ে নিজে সম্মানিত হই।

বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করে। কিন্তু তারচেয়েও বেশি মুগ্ধতা রাইজিংবিডির প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে। লক্ষ্য করছিলাম- আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা রাইজিংবিডি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। রাইজিংবিডিকে তারা দেখছেন ইতিবাচক চিন্তার দূরদর্শী পোর্টাল হিসেবে। সমন্বিত অন লাইন পোর্টাল হিসেবে।

এ বিষয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা গেল বিভিন্নজনের প্রশংসা। সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে ক্রিকেটের পাশাপাশি রাইজিংবিডি তুলে ধরেছে সেখানকার নানান বিষয়। বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আবেগ অনুভূতি এবং সরব উপস্থিতি তুলে ধরেছে এই নিউজ পোর্টাল। আর তাতেই তারা ভীষণ খুশি।

বিদেশিরাও প্রশংসা করেছেন রাইজিংবিডির। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর ডেনিস কুজিন এবং তার সহযোগী সবাই রাইজিংবিডি দেখে খুশি। তাদের মতে, এই পোর্টালটি ছাড়া আর কেউ খেলার বাইরের আবহ তুলে ধরতে পারে নি। ম্যাচের বাইরেও দর্শক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের দুর্নিবার আগ্রহ থাকে। সেটা কেবল বাংলাদেশের রাইজিংবিডি মেটাতে পেরেছে বলে তাদের ধারণা। ডেনিস কুজিন বলেন, আধুনিক নিউজ পোর্টাল এ রকমই হওয়া দরকার। যারা পাঠকদের সামনে কোনো খণ্ডচিত্র নয়; বরং একটি প্যাকেজ উপস্থাপন করবেন।

 


দূর-দূরান্ত থেকে আসা সবাইকে এক করেছে ক্রিকেট। লেখক ও ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিমের সেলফির ফ্রেমে বন্দি ক্রিকেটপ্রেমিরা

 

বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। তিনি ২০১৬ সালের সেরা মডেল হয়েছেন আয়াল্যান্ডের। ২০১৪ সালে হয়েছেন মিজ আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচের দিন তার সঙ্গে দেখা মালাহাইড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

রাইজিংবিডির নাম শুনেই শুরু করলেন প্রশস্তি। ‘ও রাইজিংবিডি! ওটাতো খুব ভালো সাইট। ভেরি পপুলার ইন বাংলাদেশ। ওরা ভেরি মাচ পজিটিভ। আমার বেশ কিছু নিউজ করেছে। বাংলাদেশে গেলে এই পোর্টালের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় আমার।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে যে ওরা তারকাদের নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে গসিপ করে না। নেগেটিভ কিছু করে না। এজন্যই আমি বলছি ওরা পজিটিভ জার্নালিজম করে।’ প্রিয়তি বলেন, ‘রাইজিংবিডি পজিটিভ। লাইভ। প্রাণবন্ত। গ্রহণযোগ্য। সাদামাটা কিন্তু অভিজাত।’

বিপুল খন্দকার। পেশায় মার্কেটিং স্পেশালিস্ট। থাকেন আয়ারল্যান্ডের সোর্ডস-এ। তিনি বললেন, ‘আমি ভাবতে পারিনি বাংলাদেশের একটা অনলাইন হঠাৎ করে আয়ারল্যান্ডে এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা যারা খেলা দেখতে মাঠে আসছি প্রায় সবাই এখন রাইজিংবিডি ফলো করছি। পোর্টালটির গেটআপ, মেকাপ খুবই সুন্দর। একটি আধুনিক এবং রুচিশীল সাইট। এর পাঠকও অনেক। কারণ একেকটা নিউজ অনেক শেয়ার হচ্ছে।’

রফিকুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন। থাকেন আয়ারল্যান্ডের মেয়ো কাউন্টিতে। বললেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা রীতিমত ভক্ত হয়ে উঠেছে রাইজিংবিডির। তারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই খুঁজতে শুরু করে রাইজিংবিডিতে কার নাম ছাপা হলো, কার ছবি ছাপা হলো সেসব দেখার জন্য।’

নয়ন ও শিবলীর সঙ্গে কথা হয় কোলনটার্ফ গ্রাউন্ডে। তারাও জানালেন, প্রতিদিনই রাইজিংবিডি দেখছি। দেখছি কার কার ছবি এলো, কার বক্তব্য এলো। তাদের মতে, রাইজিংবিডির কনটেন্টগুলো ইন্টারেস্টিং।

সম্পা এবং নাঈম। ভাইবোন। থাকেন ডাবলিন শহরে। তারা বললেন, ‘রাইজিংবিডি আগে থেকেই পড়তাম। আয়ারল্যান্ড থেকে তাদের কমিউনিটি নিয়ে রেগুলার সংবাদ প্রকাশ করায় এখন নিয়মিত দেখা হচ্ছে। পরিচিতদের কথা, ছবি দেখে খুবই ভালো লাগছে।’

স্যাম, কোলকাতার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে আয়ারল্যান্ডে আছেন। ভালো বাংলা বলতে পারেন। পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী। তিনি বলেন একটু অন্যরকম করে। ‘মানুষের কথা যিনি বলবেন, তিনিই মানুষের মধ্যে প্রিয়তম হবেন। রাইজিংবিডি আয়ারল্যান্ডের কথা বলছে। তাই এখানকার মানুষ ওই পোর্টালকে ভালোবাসছে’।

 

গালিব হকের তোলা সেলফির মধ্যমনি  উদয় হাকিম। সঙ্গে একাত্তর টিভির সাংবাদিক শামসুল আরেফিন

 

সারোয়ার ফারুক। আরেক ক্রিকেট ভক্তের নাম। তিনি সবগুলো খেলাই মাঠে বসে দেখেছেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। প্রতিদিনই কথা হয়েছে, হাই হ্যালো হয়েছে। পরিচয় করিয়ে দিলেন পরিবারের সবার সঙ্গে। জানালেন, রাইজিংবিডি নিয়মিত দেখছেন তারা।

মাঠেই কথা হলো গালিব হকের সঙ্গে। তিনিও রাইজিংবিডি ফলো করছেন। সেলফি তুলতে চাইলেন আমার সঙ্গে। বললাম ওকে। ঠিক তখনই স্টেডিয়ামের প্রেস বক্স থেকে এসে হাজির শামসুল আরেফিন। ৭১ টিভির দর্শকপ্রিয় ক্রীড়া প্রতিবেদক। ফ্রেমের ভেতরে টেনে নিলাম তাকেও। সবাই মিলে সেলফি তুললাম। গালিব বললেন, ভাই ছবিটা দিয়ে দিয়েন রাইজিংবিডিতে।

স্টেডিয়ামে হসপিটালিটি বক্সের দিকে হাঁটছিলাম শামসুল আরেফিনের সঙ্গে। মজা করলেন, ‘রাইজিংবিডিতো পুরা হিট। কিন্তু একজন রিপোর্টারকে তারা পুরো দস্তুর কর্পোরেট বানিয়ে ফেলেছে।’

রাইজিংবিডি এগিয়ে চলো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/উদয় হাকিম/অগাস্টিন সুজন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়