ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মায়ের জন্য ওয়ালটন টিভি কিনে লাখ টাকার ভাউচার

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১৫ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মায়ের জন্য ওয়ালটন টিভি কিনে লাখ টাকার ভাউচার

মা ও পরিবার নিয়ে ওয়ালটন প্লাজায় এসেছেন সাভারের আজহারুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাকে একটি স্মার্ট টিভি কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সাভারের আজহারুল ইসলাম। বাজার যাচাই করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের টিভি কেনার।

আগ্রহের কেন্দ্রে নতুন করে যুক্ত হয় ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। সেই সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে যাচাই করারও সুযোগ হিসেবে গত শনিবার সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ওয়ালটন প্লাজায় যান আজহারুল। অনেক যাচাই-বাছাই করে ২৫ হাজার ৭৫১ টাকা দিয়ে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কেনেন তিনি।

টিভি কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন আজহারুল। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মোবাইল নাম্বারে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পৌঁছে যায়। কৌতূহলী ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা দেখেন সেই মেসেজ। এরই মধ্যে লাখ টাকা, লাখ টাকা বলে চিৎকার করতে থাকেন ভাগ্যবান আজহারুল ইসলাম। এদিকে একজন ক্রেতার লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার কথা শুনে ওয়ালটন প্লাজায় ব্যাপক লোকসমাগম হয়। রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায় সাভার এলাকায়।

আজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাভারের স্থানীয় ঠিকাদার ব্যবসায়ী তিনি। তবে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ জমিদার বাড়ির একজন গর্বিত সদস্য। নিজে এখনো বিয়ে করেননি। বাবা আছাদুল ইসলাম চৌধুরী মারা গেছেন ২০০৭ সালে। এর পর থেকে মা হোসনে আরা বেগম ও একমাত্র বোন এবং তার জামাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করেন সাভারে। ইতিমধ্যে ঘর আলো করে বোনের পরিবারে দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সব মিলে বর্তমানে ছয় সদস্যের সংসার তাদের।

তিনি বলেন, যখন দেশে কোনো এলইডি বা এলসিডি টিভি ছিল না, তখন থেকেই আমাদের ঘরে ২৪ ইঞ্চি টিভি ছিল। বর্তমানে সেটির একটু সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে মায়ের আবদার ছিল একটি স্মার্ট টিভির। আমাদের পরিবার আগে থেকেই দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন পছন্দ করে। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ওয়ালটন শোরুমে যাই খোঁজ নেওয়ার জন্য। সেখানকার বিক্রয়কর্মীদের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। সেলসম্যান আসাদুল হক আসিফের পরামর্শে আমি ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিই। পরে গত শনিবার শোরুমে গিয়ে কাঙ্খিত পণ্যটি ক্রয় করি। সঙ্গে সঙ্গে একটি মেসেজে আসে লাখ টাকার। যা ছিল অভাবনীয়।

তিনি বলেন, এই প্রথম বড় কোনো পুরস্কার পেলাম। তবে এটা আমার ভাগ্যে নয়, মায়ের ভাগ্যতেই পেয়েছি। কারণ এত টাকার পুরস্কার পাবো, অতো বড় ভাগ্য নিয়ে আমার জন্ম হয়নি। আজ বাবা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন।

 


আজহারুল ইসলামের হাতে ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

 

এদিকে সাভার ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম জানান, লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আজহারুল ইসলাম তার পরিবারে সবাইকে শোরুমে ডেকে আনেন। পরে তাদের পরিবার ও সদস্য সবার জন্য পছন্দ করে মোট এক লাখ এক হাজার ৯৪০ টাকার পণ্য সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা তার ক্যাশ ভাউচার থেকে সমন্বয় করা হয়। বাকি ১৯৪০ টাকা আমাদের নগদ পেমেন্ট করেন।

তিনি জানান, আজহারুল আরো একটি স্মার্ট এলইডি টিভি (২৭৯৯০ টাকা), একটি ল্যাপটপ (২৩৪৯০ টাকা), সঙ্গে একটি র‌্যাম (৩১০০ টাকা), তিনটি মোবাইল (প্রিমো এন প্লাস থ্রি, ৭৭৯০ টাকা, এন থ্রি ৯৯৯০ টাকা ও ইএস সিক্স প্লাস ৪৯৯০ টাকা), একটি ওভেন (১১৩৫০ টাকা) এবং একটি ওয়াল প্যাড ( ১০বি-১০৪৯০ টাকা) নেন।

আজহারুল ইসলাম জানান, ভাউচারের টাকায় কেনা পণ্য থেকে তার মাকে একটি স্মার্ট টিভি এবং মোবাইল ফোন, বোনকে ওভেন ও রাইস কুকার, দুলাভাইকে ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল, বোনের দুই মেয়েকে ওয়ালপ্যাড দিয়েছেন। আর নিজের ব্যবহারের জন্য পছন্দমতো একটি মোবাইল ও স্মার্ট টিভিটি রেখেছেন।

ওয়ালটন সম্পর্কে জানতে চাইলে আজহারুল ইসলাম বলেন, ওয়ালটন দেশের সবচেয়ে বড় দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। এখন বললে লোকে মনে করবে আমি লাখ টাকার পুরস্কার পেয়েছি বলে কোম্পানির গুণগান করছি। আসলে তা নয়, ২০০৫-০৬ সাল থেকেই আমরা ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি। গত ১২ বছর ধরে ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করছি। এখনো পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। এটা থেকে বোঝা যায়, কোম্পানির পণ্যের মান কেমন। তবে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি চাইবো এই গুণগত মানের ধারা যেন বজায় থাকে। 

তিনি আরো বলেন, আর একটা কথা না বললেই নয়। অন্যান্য কোম্পানির বিক্রয়কর্মীদের চেয়ে ওয়ালটনের বিক্রয়কর্মীদের ব্যবহার অনেক সুন্দর ও অমায়িক। ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জনে এটা ওয়ালটনকে আরো উপরে উঠতে সাহায্য করবে।

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোঁড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ অক্টোবর ২০১৭/জাকির হুসাইন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়