‘আমার ঘরে এখন সব পণ্যই ওয়ালটনের’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমার ঘরে ফ্রিজ থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যই ওয়ালটনের। শুধু টেলিভিশনটা ছিল একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের। সম্প্রতি সেটি নষ্ট হয়ে যায়। প্রয়োজন দেখা দেয় নতুন আরেকটি টেলিভিশনের। এবার আর বিদেশি ব্র্যান্ড নয়। সোজা চলে যাই দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের শোরুমে। পছন্দের টিভি কিনে পেয়ে যাই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এখন আমার ঘরের সব পণ্যই ওয়ালটনের।’

কথাগুলো মো. আব্দুল মোতালেব খানের। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার প্রাপ্তদের একজন তিনি। গত মঙ্গলবার এলইডি টিভি কিনে এই ভাউচার পান মোতালেব। যা দিয়ে তিনি নিজের জন্য এয়ার কন্ডিশনার নিয়েছেন। আবার ভাই এবং বোনকে ১টি করে ফ্রিজ উপহার দিয়েছেন।

মোতালেব খানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি সরকারি চাকুরিজীবী। কাজ করছেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী হিসেবে। সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। তবে জুবিলি রোডে বাড়ি করে বর্তমানে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।

মোতালেব খান জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের পণ্য দেয় ওয়ালটন, যে কারণে তার ঘরের প্রায় সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যই এই দেশীয় ব্র্যান্ডের। টেলিভিশনটিই ছিল কেবল অন্য ব্র্যান্ডের। সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন একটি টিভি কেনা জরুরি হয়ে পড়ে। ছেলেকে নিয়ে গত মঙ্গলবার বাসার কাছেই ওয়ালটন শোরুম লাইফ’স ইলেকট্রনিক্স-এ যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ওয়ালটনের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। ১০ হাজার টাকা বা বেশি মূল্যের পণ্য ক্রয়ে দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ভাগ্য ভালো হলে পেতে পারেন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, ‘আগে থেকে ওয়ালটনের এ অফারের কথা জানা ছিল না। প্রয়োজন বিধায় টিভি কিনতে ওয়ালটন শোরুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে যখন ক্যাশ ভাউচারের কথা জানতে পারি, তখন আগ্রহ বেড়ে যায়। আসলে দেখতে চাই আমার ভাগ্যে কত টাকার ভাউচার মেলে।’

মোতালেব জানান, তিনি এবং তার ছেলে শোরুম থেকে পছন্দ করে একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন কেনেন, যার মূল্য ২০,৯৯০ টাকা। টিভি কেনার পর অনেক আগ্রহ নিয়েই রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মোবাইল ফোনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারের মেসেজ যায়। সত্যি সত্যি লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। তার ছেলেও দারুণ খুশি হয়।

ক্যাশ ভাউচারের টাকায় কি কি পণ্য কিনলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ঘরে প্রয়োজনীয় প্রায় সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যই আছে। তাই অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া পুরস্কার থেকে ভাইবোনদের কিছু উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওই টাকায় ২টি ফ্রিজ কিনেছি। ফ্রিজ দুটির একটি ছোট ভাই এবং অন্যটি ছোট বোনকে দিয়েছি। বাকি টাকায় নিজেদের জন্য একটি এসি নিয়েছি।’

ওয়ালটন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ব্যান্ডের পণ্য দামে কম কিন্তু মানে ভালো। এখন আমার বাসার সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যই ওয়ালটনের। ওয়ালটনের জন্য শুভকামনা। তারা আরো এগিয়ে যাক।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ নভেম্বর ২০১৭/সুজন/শাহনেওয়াজ