ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘আমার নতুন সংসার সাজিয়ে দিয়েছে ওয়ালটন’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ১১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আমার নতুন সংসার সাজিয়ে দিয়েছে ওয়ালটন’

ওয়ালটন ফ্রিজই সাজিয়ে দিলো ডা. মো. আব্দুর রশিদের নতুন সংসার। স্বামী-স্ত্রী তাই মহাখুশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ঢাকায় আসা, নতুন কর্মস্থলে যোগদান, বিয়ে এবং নতুন সংসার - সবই ডিসেম্বরের শুরুতে এক সাথে হয়েছে। নতুন সংসারে কয়েকটি হাড়ি-পাতিল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। প্রথমে কিছু ফার্নিচার অর্ডার দিই। ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যও কেনা শুরু করি। তবে স্ত্রীর দাবিতে প্রথমে ফ্রিজ কিনি। এরপর এসিসহ নানান পণ্যে ঘর ভরে গেছে। যা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে কিনতে হয় নি। কারণ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আমি পেয়েছি এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। আসলে ওয়ালটনই সাজিয়ে দিয়েছে আমার নতুন সংসার।’

কথাগুলো ঢাকার মুগদা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এনেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুর রশিদের। গত ৪ জানুয়ারি মুগদার কেএসটি ইলেকট্রনিক্স থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পান তিনি।

ক্যাশ ভাউচারের সেই টাকা দিয়ে নতুন সংসারের যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনেছেন আব্দুর রশিদ। তিনি ভাবতেও পারেননি যে, এমন ধরনের পুরস্কার পাবেন। তাও আবার প্রয়োজনের সময়। ওয়ালটনের এই পুরস্কার পেয়ে ডা. মো. আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী খুবই আনন্দিত।

মো. আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাড়ি শরীয়তপুরের গোশাঘাট থানায়। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। সবাই লেখা পড়া করছেন। এর মধ্যে তিন জন ঢাকাতে ও বাকিরা বাবা-মার সঙ্গে থাকেন। মো. আব্দুর রশিদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে ২ বছর ঢাকার বাইরে কাজ করেছেন। সম্প্রতি মুগদা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন তিনি।

মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মেডিকেলের পাশে উত্তর মুগদা এলাকায় নতুন বাসা নিয়েছি। এখানেই শুরু হয়েছে আমাদের নতুন সংসার। নতুন সংসারের কিছুই কেনা হয়নি। কেবল মাত্র রান্না-বান্না করার জন্য কিছু হাড়ি পাতিল কিনেছি। বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচারের অর্ডার দিয়েছি। এখনো হাতে পাইনি। ডিজিটাল যুগের কোনো ছোঁয়া লাগেনি ঘরে। অর্থাৎ কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য কেনা হয়নি। নতুন চাকরিতে জয়েন করেছি। জিনিস-পত্র কেনার জন্য সময় বের করতে পারছিলাম না। তারপরেও পরিবারের প্রয়োজনে কিছু পণ্য না কিনলে একেবারেই চলছিল না। তাই স্ত্রীর দাবিতে সংসার সাজাতে শুরুতেই ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করি।’

তিনি বলেন, ‘কোন কোম্পানির ফ্রিজ কিনবো তা আমার স্ত্রী জানতে চায়। তাকে বললাম ফ্রিজ হিসেবে ওয়ালটন খুবই ভালো। আমাদের বাড়িতে অনেক দিন ধরে ব্যবহার হচ্ছে। ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। শুনেছি দামও নাকি অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে সাশ্রয়ী। তা ছাড়া ওয়ালটন আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড। দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ফ্রিজ। আমার এসব যুক্তি এক বাক্যে মেনে নেয় আমার স্ত্রী।’

মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ওয়ালটনের শোরুম কেএসটি ইলেকট্রনিক্সে যাই। সেখান থেকে দুই জন মিলে সাড়ে ১৫ সিএফটি সাইজের একটি ফ্রিজ পছন্দ করি। যার দাম ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।’

 


ডা. মো. আব্দুর রশিদ এবং তার স্ত্রীর হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেয়া হচ্ছে

 

তিনি বলেন, ‘ফ্রিজ কেনার সময় শোরুমের ম্যানেজার হারুণ অর রশিদ জানান, ওয়ালটন পণ্য কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় কোটি কোটি টাকার অফারে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ আছে। তার সে কথা আমার বিশ্বাস হয়নি। কারণ এমন ধরনের পুরস্কার পাওয়া যাবে তা কোথাও শুনিনি। ফলে আমি তেমন গুরুত্ব দেই না। তারপরেও তিনি আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন। এর মাত্র ৪ থেকে ৫ মিনিট পরেই আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এটা আমার বিশ্বাসই হতে চায় না। তখন শোরুমের ওই কর্মকর্তা বলেন, স্যার আপনি ভাগ্যবান। সত্যিই আপনি পেয়েছেন এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। তখন আমাদের খুশি দেখে কে! আমার স্ত্রী সাথে সাথে সব বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে আনন্দের সংবাদটি জানাতে থাকে।’

মো. আব্দুর রশিদ বলেন, বলেন, ‘কোনো কোম্পানি পণ্য কেনার পর এক লাখ টাকার পুরস্কার দেবে এটা আগে কখনো শুনিনি। এই প্রথম জানলাম ওয়ালটন দিচ্ছে এবং সেটা সত্যি। কারণ আমার নিজের নামও এই তালিকায় উঠেছে। ধন্যবাদ ওয়ালটনকে কথার সাথে কাজের মিল রাখার জন্য। আমি ওয়ালটনের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশীয় কোম্পানি হিসেবে দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা না করার জন্য। ওয়ালটনের মতো এভাবে যদি দেশের সব ব্যবসায়ীরা কথার সাথে কাজের মিল রাখে, তাহলে দেশের চেহারা পাল্টাতে বেশি দিন লাগবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’

পুরস্কারের এ টাকা দিয়ে কি কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন সংসারে কিছুই ছিল না। ফ্রিজ কিনে যেহেতু আমার ভাগ্যেই জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার লেগেছে। তাই স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে লাখ টাকার এ পুরস্কার দিয়ে নতুন সংসারের প্রয়োজনীয় সব পণ্য কিনেছি। এর মধ্যে রয়েছে একটি এসি, একটি টিভি, তিনটি ফ্যান, রাইস কুকার, আয়রন, পানির ফিল্টার, মোবাইল ফোন, ব্লেন্ডার, ফ্রাইপ্যানসহ মোট ১২টি পণ্য।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়