ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ভালোবাসা ও ভালোলাগা থেকেই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভালোবাসা ও ভালোলাগা থেকেই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করি’

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারে কেনা পণ্য নিতে ওয়ালটন শোরুমে মো. আমির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনকে প্রথম থেকেই ভালোবাসি। ভালো লাগে ওয়ালটন পণ্য। তাই সব সময় ওয়ালটন পণ্য কিনি ও ব্যবহার করি। এমনকি অন্যদেরও কেনার জন্য উৎসাহিত করি। আমার এ ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছে ওয়ালটন। উপহার দেওয়ার জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পেয়েছি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এটা আমার ভালোবাসার উপহার বলে আমি মনে করি।’

কথাগুলো রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আমির উদ্দিনের। বোনের মেয়ের (ভাগ্নি) বিয়েতে উপহার দেবেন বলে গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর দনিয়ায় ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ইলেকট্রো ভিশন থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিনি। এটাকে জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার মনে করছেন তিনি।

আমির উদ্দিন বলেন, ‘জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু ওয়ালটনের পুরস্কারটি সবচেয়ে বড় ও সেরা। এত বড় উপহার আর কখনো ভাগ্যে জোটেনি। উপহারটি হয়তো ওয়ালটনের ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে জুটেছে।’

মো. আমির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার তার। আগে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ছয়তলা বাড়ির দেখাশুনা করেন। বাড়ি ভাড়ার টাকায় চলে তার সংসার।

আমির উদ্দিন বলেন, ‘ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য বাজারে আসার পর থেকেই ব্যবহার শুরু করি। এরপর যখন জানতে পারি, এটা আমাদের দেশের কোম্পানি, বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে ফ্রিজ ও টিভির মতো অত্যাধুনিক পণ্য, তখন ওয়ালটনের প্রতি এমনিতেই ভালোবাসা জন্মে। একই সঙ্গে পণ্যের মান, কালার, দাম সব কিছুই আমার ভালো লাগে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমার এমন কোনো আত্মীয়-স্বজন নাই, যারা ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করে না। শুধু তাই নয়, আমার বাড়িতে যত ভাড়াটিয়া আসে সবাইকে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেই। এলাকার পরিচিতজনদেরও পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

 

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারে কেনা ওয়ালটন পণ্য নিয়ে পিক-আপে মো. আমির উদ্দিন। মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন ওয়ালটনের প্রতিনিধিরা


আমির উদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের এলাকায় একটি পিকনিক হয়। সেখানে র‌্যাফেল ড্রয়ের দ্বিতীয় পুরস্কার আমিই পেয়েছি। পুরস্কার হিসেবে তারা দিয়েছে একটি ৩২ ইঞ্চি টিভি। সেটিও ওয়ালটন কোম্পানির।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও অনেককে ওয়ালটন পণ্য উপহার দেই। এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ফ্রিজ বিভিন্ন সময়ে কিনে আত্মীয়দের উপহার হিসেবে দিয়েছি। সর্বশেষ আমার ভাগ্নির বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করি। তাছাড়া, ওয়ালটনের পণ্য কিনলে যে অফার দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু বাসায় সব ধরনের পণ্য থাকায় নতুন করে কিছুই কেনার প্রয়োজন ছিল না। তাই এই অফারে নিজের ভাগ্য যাচাই করতে পারছিলাম না। এবার ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে সেই সুযোগটাও এসে গেল।’

আমির উদ্দিন জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর দনিয়ায় ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ইলেকট্রো ভিশনে যান তিনি। যাচাই-বাছাই করে ১৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ৯ সিএফটি আয়তনের একটি ফ্রিজ কেনেন। পরে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিজ নিয়ে বাসায় চলে যান।

তিনি বলেন, ‘শোরুম থেকে জানানো হয়েছিল, মোবাইলে একটি মেসেজ যাবে। তাতেই ভাগ্য যাচাই হবে। এ কারণে মোবাইলে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম কখন এসএমএস আসে। তবে বেশি সময় দেরি করতে হয়নি। বাসায় পৌঁছানোর পর আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজেই লেখা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির কথা। উপহারের মেসেজ পড়েই আনন্দ ধরে রাখতে পারিনি। আমার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ সব আত্মীয়-স্বজনও মহাখুশি।’

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী কিনেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরস্কারের এ টাকা দিয়ে এসি, ফ্রিজসহ মোট ছয়টি আইটেমের পণ্য নিয়েছি। এতে ১ লাখ টাকার চেয়ে আরো ৮৫০ টাকা বেশি হয়। যা সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করি।’

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই ওয়ালটনের ভক্ত। আমার বাসার সব পণ্যই ওয়ালটনের। টিভিটি অন্য কোম্পানির ছিল। এক বছর আগে সেটিও পরিবর্তন করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট থেকে ওয়ালটনের ৪২ ইঞ্চি সাইজের টিভি কিনি। ওয়ালটনের সব পণ্যের সার্ভিস খুবই ভালো। দামে অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে সাশ্রয়ী বলে আমি মনে করি। সব মিলে আমি ওয়ালটনের সফলতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়