ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ওয়ালটনের সৌজন্যে আব্বার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ সত্যি হলো’

আজিজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটনের সৌজন্যে আব্বার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ সত্যি হলো’

ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে বাবার জন্য কেনা মোটরসাইকেল এবং এলইডি টেলিভিশনসহ শোরুমে রিপন মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নিজের ঘরে একটা এলইডি টিভি, একটা ফ্রিজ এবং বাইরে যাতায়াতের জন্য একটা মোটরসাইকেল থাকবে- দীর্ঘদিন ধরে আব্বার এমন স্বপ্ন ছিল। চার ভাই এবং এক বোনের সংসারে প্রতিনিয়ত অভাব ছিল। এলাকায় কারেন্টও ছিল না। ফলে আব্বার সাধ পূরণ করতে পারিনি। গত মাসে কারেন্ট এসেছে। তাই কষ্ট হলেও আমার কিছু জমানো টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনেই আব্বার সব আশা পূরণ করতে পেরেছি। এর সবই সম্ভব হয়েছে ওয়ালটনের সৌজন্যে।’

কথাগুলো মো. রিপন মিয়ার। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কাজলা বগারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে ওয়ালটনের ডিলার শোরুম সাব্বির ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স থেকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিনি।

রিপন মিয়া জানান, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি মেজো। কিশোরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। বড় পরিবারে অভাব-অনটন সব সময় লেগেই থাকত। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় একটি এনজিওতে কাজ করতেন। ফলে সংসার খরচের কিছুটা বহন করতে সমর্থ হন তিনি। কিন্তু দূরে পোস্টিং দেওয়ায় চাকরিটা ছেড়ে দেন। এখন পড়াশোনার পাশাপাশি তার বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে সময় দিচ্ছেন রিপন মিয়া।

রিপন মিয়া বলেন, ‘আমার আব্বার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল বাড়িতে একটা টেলিভিশন থাকবে, একটা ফ্রিজ থাকবে এবং বাইরে যাওয়ার জন্য একটা মোটরসাইকেল থাকবে। কিন্তু একদিকে কারেন্ট না থাকা, অপরদিকে আর্থিক সংকট। ফলে আব্বার সে স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়নি। ভেবেছি, আব্বার সব আশা পূরণ করব লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার পর।’

তিনি আরো বলেন, ‘এতদিন ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখতে ৩০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে দূরে এক আত্মীয়ের বাসায় যেতে হতো। গত ডিসেম্বরে এলাকাতে কারেন্ট এসেছে। তাই আমার কাছে জমানো টাকা দিয়ে প্রথমেই ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’

রিপন মিয়া বলেন, ‘ওয়ালটন কোম্পানির ফ্রিজ যে কিনব, তা ঠিক করাই ছিল। কারণ, আমার খালা, চাচা সবাই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করে খুশি। এজন্য আমাদের পছন্দও ছিল ওয়ালটন।’

 


রিপন মিয়ার হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়

 

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৬ জানুয়ারি সাব্বির ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে যান। সেখান থেকে দেখে-শুনে ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কেনেন। তবে ওয়ালটন পণ্য কিনে উপহার পাওয়া যাবে তা আগে থেকে জানতেন না। ফ্রিজ কেনার সময় শোরুমের বিক্রয়কর্মীরাই তাকে বিষয়টি জানান। তারপর নিয়ম অনুযায়ী তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেন। পরে ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।

তিনি বলেন, ‘নতুন ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি আসায় সবাই খুব খুশি। সেই আনন্দ শত গুণে বেড়ে যায় ওয়ালটন থেকে পাঠানো একটা ম্যাসেজে। সেদিন সন্ধ্যার দিকে একটি এসএমএস আসে আমার মোবাইলে। এসএমএস পড়ে আমি অভিভূত হয়ে পড়ি। সেখানে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার কথা লেখা। তখন যে আমার কেমন আনন্দ লাগে তা বলে বোঝাতে পারব না।’

রিপন মিয়া বলেন, ‘প্রথমইে আব্বাকে সালাম করে বললাম, আব্বা আমরা ওয়ালটনের লাখ টাকার পুরস্কার পেয়েছি। এ কথা বলতেই আব্বা-আম্মা সবাই আনন্দে আত্মহারা। রাতেই পাড়ার সব লোক আমাদের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করে।’

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী কিনলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আব্বার স্বপ্ন অনুযায়ী প্রথমেই ওয়ালটনের একটা মোটরসাইকেল কিনি। যার দাম ৮০ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়ে একটা এলইডি টেলিভিশন এবং একটা চার্জার লাইট নিয়েছি।

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যে কত খুশি তা বলে বোঝাতে পারব না। শুধু আমি বা আমার পরিবার না, পুরা এলাকাবাসি খুশি। স্টুডেন্ট লাইফেই আমার আব্বার সব আশা পূরণ করতে পেরে মহাখুশি আমি। এজন্য ওয়ালটনকে অশেষ ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়