ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রিজার্ভ চুরি : ফেরত আসার প্রক্রিয়ায় ৭২ লাখ ডলার

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিজার্ভ চুরি : ফেরত আসার প্রক্রিয়ায় ৭২ লাখ ডলার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ১.২ মিলিয়ন বা ১২ লাখ ডলার ফেরত আসার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। আরো ৬ মিলিয়ন বা ৬০ লাখ ডলার ফেরত আনার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সোমবার রাতেই ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির একটি দল।

সোমবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংবলিত ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করা হয়।

ফজলে কবির বলেন, ‘চুরি হওয়া মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে ১৪ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার (১২ লাখ ডলার) বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত আসা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আরো ৬ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ওই ৬ মিলিয়ন ডলার আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির একটি দল আজ রাতে ফিলিপাইনে যাচ্ছে। এছাড়া ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসার বিষয় আদালতের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় ও ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে।

এদিকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০১৮) জন্য সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা একটু বৃদ্ধি করে ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। যা  ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয়ার্ধের নতুন এ মুদ্রানীতিকে কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি বলছেন গভর্নর।

মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যা আগে প্রথমার্ধে ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর। এ বছর ঋণপ্রবাহ বাড়বে। তবে আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এডিআর রেশিও বাড়ানো হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংক ঋণ আমানতের রেশিও এডিআর বেশি রয়েছে তাদের আগামী জুনের মধ্যে নির্ধারিত আইনি সীমার মধ্যে আনতে হবে। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক এডিআর সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করবে। ব্যাংকগুলোকে আমানত সংগ্রহ ও ভালো ঋণ বিতরণের ওপর জোর দিতে পরামর্শ দেন গভর্নর।   

মূল্যস্ফীতি বিষয়ে গভর্নর বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে খাদ্যের সংকট হয়েছে। এ কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে খাদ্য ছাড়া অন্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কম রযেছে। আগামী বোরো মৌসুমে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা এর কাছাকাছি থাকবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পরিচালনায় ব্যাংকগুলোকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া করপোরেট গ্রাহকদের মেয়াদি ঋণ নিতে ব্যাংকগুলোর ওপর অতিনির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে পুঁজিবাজারে বন্ড ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহে উৎসাহ ও সহায়তা প্রদানে ব্যাংকগুলোকে সক্রিয় করা হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়