ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ওয়ালটন থেকে জীবনের প্রথম ও সেরা পুরস্কার পেলাম’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটন থেকে জীবনের প্রথম ও সেরা পুরস্কার পেলাম’

নিশি বেগম এবং তার প্রিয়জনদের হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাঁচ মাস ধরে চলছে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ সময়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে সারা দেশের অসংখ্য ক্রেতা পেয়েছেন বিভিন্ন অংকের ক্যাশ ভাউচার। এ অফারে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন ক্রেতারা। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারপ্রাপ্তদের একজন নিশি বেগম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধোলাইপাড় থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি এ ক্যাশ ভাউচার পান। যা দিয়ে মনের মতো পণ্যে সাজিয়েছেন তার ছোট্ট সংসার।

পেশায় পোশাককর্মী নিশি বেগম জানান, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া এই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তার জীবনের প্রথম ও সেরা পুরস্কার। এই টাকা দিয়ে তিনি সেসব পণ্য কিনেছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজন ছিল। ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনেই মিলেছে তার মনের মতো সব পণ্য। তাই তিনি মহাখুশি।

ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারপ্রাপ্তি নিয়ে নিশি বেগমের সঙ্গে কথা হয় রাইজিংবিডির। তার সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথন সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।

রাইজিংবিডি : আপনি কী করেন?
নিশি বেগম : আমি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। যাত্রাবাড়ীর একটি গার্মেন্টসে গত ১০ বছর ধরে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করছি। একই প্রতিষ্ঠানে আমার স্বামী সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন।

রাইজিংবিডি : আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায় এবং পরিবারে কে কে আছেন?
নিশি বেগম : আমার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানায়। তবে জন্মসূত্রে আমি ঢাকার বাসিন্দা। আমার জন্মের অনেক আগ থেকে বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে সবাই বেড়াতে যাই। বাবা বেঁচে নাই। তাছাড়া বাকি সবাই আছেন। দুই ভাই ও তিন বোন আমার। সবার বিয়ে-শাদি কমপ্লিট। নিজেদের মতো করে সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। আমার স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমিও আমার সংসার সাজিয়েছি। 

রাইজিংবিডি : ওয়ালটনের কোন পণ্যটি কিনে আপনি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পান?
নিশি বেগম : ফ্রিজ। এখন সব পরিবারের জন্য এটা দরকারী জিনিস। তাছাড়া স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করার কারণে আরো বেশি দরকার হয়ে পড়েছিল। তাই আমার পরিবারের প্রয়োজনে যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড়ে ওয়ালটন শোরুম রুমেল ইলেকট্রনিক্স থেকে সাড়ে ১৫ সিএফটি সাইজের একটি ফ্রিজ ২৬ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনি। পরে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় অফারে অংশ নিতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করি। ভাগ্যগুণে তাতেই পেয়েছি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

রাইজিংবিডি : ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার কারণ?
নিশি বেগম : বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানির ফ্রিজ আছে। তাই কষ্টের টাকায় যাচাই-বাছাই করে ভালো ফ্রিজ কিনতে চেয়েছিলাম। স্বামী বলল ওয়ালটন ফ্রিজের কথা। তাদের ফ্রিজের দাম কম, কিন্তু মান ও সার্ভিস সবই ভালো। তিনি খোঁজ নিয়ে এসে আমাকে বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশীয় কোম্পানি। আমাদের অনেক সহকর্মী ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছে। তারা ব্যবহার করে ভালো বলছে। তাই অন্য কোনো চিন্তা না করে একই সাথে স্বামীর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম দেশীয় কোম্পানির ফ্রিজই কিনব। তাই ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা।

রাইজিংবিডি : ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং এই অফারে লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ সম্পর্কে আগে থেকে জানতেন?
নিশি বেগম : না। ফ্রিজ কেনার আগে ওয়ালটনের এই ধরনের অফার সম্পর্কে জানতাম না। পরিবারের প্রয়োজন তাই ফ্রিজ কিনতে যাওয়া। তখন শোরুমের ম্যানেজার আমাকে জানান যে, আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে লাখ টাকার গিফট ভাউচারও পেয়ে যেতে পারেন। পণ্যের প্রচারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে ওয়ালটন যে উদ্যোগ নিয়েছে এটাকে আমি স্বাগত জানাই।

রাইজিংবিডি : লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার পর কেমন লেগেছে?
নিশি বেগম : ম্যানেজারের কথা শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সংশয়ও ছিল। জিনিস কিনে লাখ টাকা পাওয়ার এমন ঘটনা কোথাও ঘটেছে বলে আমার জানা ছিল না। ভেবেছি, এমন ঘোষণা সব কোম্পানিই দিয়ে থাকে। আসলে বাস্তবে ঘটে না। তাছাড়া আমার ভাগ্য এত ভালো না। তাই পুরস্কার পাওয়ার আশা ছিল কম। তারপরও নিয়ম অনুযায়ী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করি। এর ছয় থেকে সাত মিনিট পর আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল, আমি ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা পেয়েছি। প্রথমে মনে করেছিলাম, মশকরা। কারণ, এত বড় ভাগ্যবান আমি, এটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তবে যখন নিশ্চিত হলাম, তখন এতটা আনন্দিত হয়েছিলাম যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তারপরও সংশয় ছিল। তবে যখন ক্যাশ ভাউচারে কেনা পণ্য হাতে পেলাম তখন সব ধরনের সংশয় দূর হয়েছে।

রাইজিংবিডি : ১ লাখ টাকার এই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী কী কিনেছেন?
নিশি বেগম : আমার জীবনের প্রথম ও সেরা পুরস্কারটি পেয়েছি ওয়ালটন থেকে। এতে আমি মহাখুশি। তবে বেশি খুশি হয়েছি ১ লাখ টাকা দিয়ে আমার মনের মতো এবং চাহিদামতো পণ্য কিনতে পেরে। লাখ টাকার এ ভাউচার দিয়ে একটা ৪৩ ইঞ্চি এলইডি টিভি, একটা ফ্রিজ, দুটা মোবাইল ফোন, একটা করে ফ্যান, আয়রন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকারসহ ১৫ আইটেমের পণ্য নিয়েছি। যেগুলোর প্রয়োজন তো ছিলই, আবার আমার পছন্দও ছিল।

রাইজিংবিডি : ওয়ালটন ব্র্যান্ড ও পণ্য নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
নিশি বেগম : ওয়ালটন সম্পর্কে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। কারণ, এ ব্যাপারে আমার তেমন ধারণা নাই। তবে এটুকু বলতে চাই যে, আমার স্বামী ওয়ালটনের একনিষ্ঠ ভক্ত। আমার মনে হয়, ভক্তির প্রতিদান হিসেবে আমরা এক লাখ টাকার পুরস্কার পেয়েছি। ফ্রিজ কেনার ও পুরস্কার পাওয়ার পর আমি এখন আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছি। তাদের কাছ থেকে জেনেছি যে, তারা সবাই এই দেশীয় কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করে। এখন থেকে আমিও ওয়ালটনের ভক্ত হয়ে গেলাম। আমি ওয়ালটনের সাফল্য কামনা করছি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়