ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ওয়ালটনের ভালোবাসার উপহার সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়েছি’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটনের ভালোবাসার উপহার সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়েছি’

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারে কেনা পণ্যসহ ওয়ালটন শোরুমের সামনে ফারজানা আক্তার সীমা এবং তার ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ওয়ালটন পণ্যের সঙ্গে আমার সখ্যতা বহুদিনের। ১০ বছর আগে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছিলাম। এখনো নতুনের মতো সার্ভিস পাচ্ছি। সম্প্রতি নতুন একটি ফ্ল্যাট কিনেছি। এই ফ্ল্যাটের এসি থেকে শুরু করে ঘর মোছার মপসেট পর্যন্ত সবই ওয়ালটনের। তারপরও নতুন করে ছোট একটি ফ্রিজ কিনে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্রতি এই ভালোবাসার প্রতিদানে পেলাম লাখ টাকার উপহার। যা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছি।’

কথাগুলো বলছিলেন ফারজানা আক্তার সীমা। সম্প্রতি একটি ৮ সিএফটি আয়তনের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইনে তিনি পেয়েছেন এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। যার পুরো টাকার পণ্যই উপহার দিয়েছেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের। ভাগ্যগুণে পাওয়া লাখ টাকার পণ্য কিনে সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন বলে জানান তিনি।

ফারজানা আক্তার সীমা জানান, তিনি রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। শশুরবাড়িও পুরান ঢাকার আলাউদ্দিন রোডে। তবে সম্প্রতি লালবাগ এলাকায় নতুন ফ্ল্যাট কিনে সেখানেই দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। তার স্বামী ৮ বছর ধরে ইতালি থাকেন। তবে প্রতি বছরই ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার বাসার সব পণ্যই আগে বিদেশি কোম্পানির ছিল। তবে যেদিন থেকে শুনেছি এ ধরনের পণ্য দেশেই তৈরি হচ্ছে। সেদিন থেকেই আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশীয় কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করবো। সেই থেকে শুরু করে ওয়ালটনের অনেক পণ্য ব্যবহার করছি। দারুণ সার্ভিস পাচ্ছি। ওয়ালটন পণ্যের সার্ভিসে আমিসহ আমাদের পরিবারের সবাই সন্তুষ্ট।’

ফারজানা আক্তার সীমা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। তাই দেশকে ভালোবাসা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। এ ভালোবাসার টানে দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের ভক্ত হয়েছি। বিদেশি পণ্য বর্জন করে শুরু করেছি দেশীয় পণ্য ব্যবহার। আমাকে দেখে এবং আমার সুপারিশে আমাদের ৫০টি পরিবার এখন ওয়ালটন পরিবার। এই পরিবারগুলোর কোনো কিছু লাগলেই তা প্রথমে ওয়ালটন থেকে খোঁজ করে। তাছাড়া আমার বাবা নবাবপুর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। তার কারণে এলাকার সবাই আমাকে সম্মান করতো। এলাকার লোকদেরও পরামর্শ দিয়েছি ওয়ালটন পণ্য কেনার ব্যাপারে। দেশীয় কোম্পানির প্রতি ভালোবাসার টানে এসব নিজ থেকেই করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার নতুন ফ্ল্যাটের প্রতিটি পণ্যই ওয়ালটনের। পুরাতনগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে ওয়ালটন থেকে সবই কিনেছি। বাসায় আমার ২ ছেলেসহ আমরা মাত্র তিন জন। বড় ফ্রিজ আছে ঠিকই, কিন্তু আরেকটি ছোট ফ্রিজ কিনবো বলে ঠিক করি। তাই গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার রুহিতপুরে ওয়ালটনের শোরুম ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্সে যাই। সেখান থেকে সবচেয়ে ছোট সাইজের ফ্রিজটি ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনি। আর তাতেই এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি।’

 

ফারজানা আক্তার সীমার হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে


তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের এই অফার সম্পর্কে আগে থেকেই আমার জানা ছিল। কারণ এর আগে অফার চলাকালীন সময়ে আমার তিন আত্মীয়র জন্য তিনটি ফ্রিজ কিনে দিয়েছিলাম। তখন কারোর ৩০০, আবার কারোর ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। আমার ক্ষেত্রেও তাই হবে মনে করেছিলাম। তবে আমি কল্পনাই করতে পারিনি যে আমার ভাগ্যে এক লাখ টাকার উপহার জুটবে।’

ফারজানা আক্তার সীমা বলেন, ‘এক লাখ টাকা হোক বা এক টাকা হোক-পুরস্কার সব সময় পুরস্কারই। যা এর আগে কখনো এমন পুরস্কার পাইনি। আমার এ প্রাপ্তিতে আমার ছেলেরা, সব আত্মীয়-স্বজন এমনকি স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশিরাও দারুণ খুশি। আমার বিশ্বাস ও ভালোবাসার মূল্যায়ন করেছে ওয়ালটন। মন থেকে কোনো বিষয় বা কোনো কিছুকে ভালোবাসলে তার প্রতিদান পাওয়া যায়। যার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজে। আশা না করা সত্ত্বেও এক লাখ টাকার উপহার পেয়েছি। ওয়ালটনের এই প্রতিদানে আমি মহাখুশি।’

ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে কি কি পণ্য কিনলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার বাসায় ওয়ালটনের সবই আছে। নতুন করে আর কিছুই দরকার নেই। তাই পুরস্কারের এ টাকা দিয়ে ১০টি আইটেমের পণ্য কিনে আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশিদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছি। নতুন করে কেনা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২টি ১১ সিএফটির ফ্রিজ, একটি ডিপ ফ্রিজ, ১৯ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি, চারটি ফ্যান এবং ২টি গ্যাস স্টোভ।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হয় নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। এই সুযোগ শেষ হচ্ছে আজই।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়