ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অপ্রদর্শিত আয় : রিহ্যাবের প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রীর ‘না’

হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২১, ২৯ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অপ্রদর্শিত আয় : রিহ্যাবের প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রীর ‘না’

বিশেষ প্রতিবেদক : বিদেশে অর্থপাচার ঠেকানো এবং আবাসন শিল্পের স্বার্থে আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত আয় বিনাপ্রশ্নে আবাসন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

 

রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বসেন আবাসন শিল্প মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতারা।

 

এ সময় তারা আবাসন খাতে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের জন্য ‘আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪’-এর ১৯-বি ধারার যুগোপযোগী সংশোধনের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি সরাসরি নাকচ করেন অর্থমন্ত্রী।

 

রিহ্যাব প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী। প্রাক-বাজেট আলোচনায় রিহ্যাব নেতারা ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।

 

বৈঠকে রিহ্যাব নেতারা বলেন, আবাসন খাতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য গৃহায়ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ ফ্ল্যাট, প্লট, বাণিজ্যিক ভবন ও বিপণীবিতানে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাবে।

 

এ ছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ‘সেকেন্ড হোম’গ্রহণের সুযোগ থাকায় দেশের অর্থ স্বাভাবিকভাবেই বিদেশে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে তা ট্যাক্স নেটের আওতায় আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

 

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, অপ্রদর্শিত আয় এভাবে বিনিয়োগের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই থাকবে। এ নিয়ে কিছু করার নেই।

 

আগামী জুলাই থেকে দেশে নতুন ভ্যাট আইন চালু হবে। এ আইন বাস্তবায়ন হলে তা ব্যবসায়ীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে তা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এ নিয়ে সরকার অনমনীয় রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের এ মনোভাবের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না। দু-তিন দিন পর বাজেটেই সব জানতে পারবেন। আর ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করতেই পারেন। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

 

রিহ্যাবের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘ মেয়াদী পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা চালু করা, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, গেইন ট্যাক্স ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ, গৃহায়ণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুদের হারে আবাসন তহবিল গঠন করা।

 

এ ছাড়া আবাসন শিল্পের জন্য বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর হ্রাসসহ নতুনভাবে মূল্য সংযোজন কর আরোপ না করা, রাজউক ও সিডিএর আওতাভুক্ত ও বহির্ভূত এলাকার সব জমির ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩ এইচ ধারায় আরোপিত কর প্রত্যাহার, আবাসন খাতের সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা উল্লেখযোগ্য।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৬/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়